মহিলা মেম্বারদের শ্লীতাহানীর অভিযোগ
- আপলোড তারিখঃ ০৮-০৫-২০২০ ইং
জীবননগর হাসাদাহ ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের বিরুদ্ধে
জীবননগর অফিস:
জীবননগরে উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম ও ইউপি মেম্বার শ্যামলের বিরুদ্ধে মহিলা মেম্বারদের শ্লীলতহানী ও ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিত ওই তিন মহিলা মেম্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ড মেম্বার মনোয়ারা বেগম, বেদেনা খাতুন ও নুর বানু লিখিত অভিযোগে বলেন, ‘হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবি বিশ^াস ও শ্যামল মেম্বার পরিষদের সব প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতি করে আসছে। আমরা মহিলা মেম্বাররা প্রতিবাদ করায় তাদের কাছে আমরা শত্রু হয়ে পড়েছি। যার ফলে তারা আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের সব বরাদ্দকৃত প্রকল্পের কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত করে আসছে। আমরা তিনটি ওয়ার্ডের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়েও তারা আমাদের কোনো কাজে ডাকে না। এমনকি সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত ভিজিএফ, ভিজিডি, বিভিন্ন ভাতা, কর্মসৃজনী কাজসহ ইউনিয়ন পরিষদের কোনো উন্নয়ন কাজে আমাদের সম্পৃক্ত করা হয় না।’
সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার বেদেনা খাতুন বলেন, ‘আমি ফেসবুকে চেয়ারম্যান রবি বিশ^াস এবং মেম্বার শ্যামলের বিরুদ্ধে তাদের কার্যক্রম নিয়ে একটি পোস্ট করলে শ্যামল ফোনে আমাকেসহ আরও দুই মহিলা মেম্বারকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। এ ব্যাপারে আমরা জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়। তাই আমরা ইউনিয়ন পরিষদে গেলে চেয়ারম্যান ও শ্যামল মেম্বার আমাদের বিভিন্ন বাজে ভাষায় গালিগালাজ করে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের করে দেয় এবং বলে, যদি ভালোভাবে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে না যাস, তাহলে পরনের শাড়ী খুলে উলঙ্গ করে তোদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের করব। নিজেদের সম্মান নিয়ে আমরা সেখান থেকে বের হয়ে আসি।’
এ বিষয়ে হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বিশ^াস এবং ইউপি সদস্য শ্যামল হোসেন বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাদের নামে ফেসবুকে একটা পোস্ট করেছে আমরা নাকি ইউনিয়ন পরিষদের চাল চুরি করে খাই। আমি শুধু তাদের বলেছি, আমরা যে চাল চুরি করেছি তোমরা তিনজন তার প্রমাণ দিবে, তারপর ইউনিয়ন পরিষদে আসবে। তা ছাড়া তাদের আমরা আর কিছু বলিনি।’
এ প্রসঙ্গে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউপি সদস্য শ্যামলের বিরুদ্ধে ওই ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের তিন মহিলা সদস্য একটি অভিযোগ দিয়ে গেছেন। এটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কমেন্ট বক্স