মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি পূরণে কাজ করছে জেলা প্রশাসন
- আপলোড তারিখঃ ০৮-১২-২০১৯ ইং
নানা আয়োজনে চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস পালন, আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক
বিশেষ প্রতিবেদক:
শ্রদ্ধা নিবেদন, র্যালি, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনে ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে নয়টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছার ম্যুরালে পুষ্পস্তর্বক অর্পণ করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড। এ সময় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদিক্ষণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। র্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুজ্জামান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম, আবু হোসেন প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে চুয়াডাঙ্গার ভূমিকা অন্যতম। সীমান্ত ঘেষা জেলা হওয়ার সুবাদে এখান থেকেই যুদ্ধ পরিচলানাসহ নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। জেলার এসব স্মৃতি রক্ষার্থে নানা ধরনের স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। তবে এখনো মুক্তিযোদ্ধাদের কিছু প্রত্যাশিত দাবি রয়েছে, সেসব দাবি পূরণে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।
মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জনের দিন ৭ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে প্রভাতী সূর্যের আলোয় ঝলমলিয়ে উঠেছিল চুয়াডাঙ্গার রক্ত¯œাত শিশির ভেজা মাটি, অবসান হয়েছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর সাড়ে ২৩ বছরের নির্বিচার শোষণ, বঞ্চনা আর নির্যাতনের কালো অধ্যায়। ৯ মাসের যুদ্ধ শেষে এ দিন জন্ম হয়েছিল আমাদের সবুজ, শ্যামল, সুফলা চুয়াডাঙ্গার। আমরা সেদিন বীরদর্পে লাল সবুজের পতাকা তুলে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম সারির অংশীদার হয়েছিলাম।’
এদিকে, সকাল সাড়ে সাতটায় চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। এরপর সকাল আটটায় দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদাহের আট শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন নেতৃবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খুস্তার জামিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান, মাসুদুজ্জামান লিটু, প্রচার সম্পাদক ফেরদৌস ওয়ারা সুন্না, উপপ্রচার সম্পাদক শওকত আলী, দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. আবু তালেব বিশ্বাস, সদস্য অ্যাড. বেলাল হোসেন (পিপি), চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দীন হেলা, জেলা পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম শাহান, সাবেক পৌর কাউন্সিলর শহিদুল কদর জোয়ার্দ্দার, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আফজালুল হক, সাধারণ সম্পাদক রিপন ম-ল, জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের, আব্দুর রশিদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম আসমান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জি এস রাসেদুজ্জামান বাকি, জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক আফরোজা পারভীন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক প্রমুখ।
এ ছাড়া বেলা সাড়ে তিনটায় শহরের কবরী রোডস্থ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মহাফিল এবং সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস উপলক্ষে শহীদ হাসান চত্বরে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট।
কমেন্ট বক্স