আরশের সুশীতল ছায়ায়
- আপলোড তারিখঃ ২৯-১১-২০১৯ ইং
ধর্ম ডেস্ক
আমরা যে পৃথিবীতে বাস করছি এর কোনো অস্তিত্ব একদিন থাকবে না। সবকিছু বিলীন হয়ে কেয়ামত কায়েম হবে। প্রত্যেককে আল্লাহ পুনরুজ্জীবিত করবেন। ইসলামের অন্যতম বিশ্বাস হলো, মৃত্যুর পর অনন্ত-অসীমকালের একটি জীবন রয়েছে। হাশরের ময়দানে সবাইকে একত্রিত করা হবে। সেখানে বিচার অনুষ্ঠিত হবে। মহান আহকামুল হাকিমিন আল্লাহ হলেন একমাত্র বিচারক। কোটি কোটি বছর কেটে যাবে সেই বিচার অবস্থায়। হাশরের ময়দানে মানুষের এমন ভয়াবহ অবস্থা হবে যে, সবাই উলঙ্গ থাকলেও কেউ কারো দিকে ফিরে তাকানোর সুযোগ থাকবে না। হাশরের সেই উš§ুক্ত ময়দানে থাকবে না কোনো শামিয়ানা। থাকবে না কোনো সাহায্যকারী বন্ধু। থাকবে শুধু দুনিয়ায় করে যাওয়া নেক আমল। সেই আমলের বিনিময়ে মহান আল্লাহ প্রাথমিক পুরস্কার হিসেবে দান করবেন তার আরশে আজিমের ছায়া। সেদিন আরশের ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, সাত ধরনের লোককে আল্লাহ তায়ালা হাশর ময়দানে নিজের আরশের ছায়ায় স্থান দেবেন, যখন সে ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না। তারা হলেন (১) মুসলমানদের সুবিচারক ও ইনসাফগার শাসক ও বাদশা; (২) সেই যুবক যে আল্লাহ তায়ালার বন্দেগিতে জীবন অতিবাহিত করেছেন; (৩) যে ব্যক্তির অন্তর মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর পুনরায় মসজিদে প্রবেশ না করা পর্যন্ত মসজিদের সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট থাকে অর্থাৎ তার অন্তর থাকে মসজিদে, দেহ থাকে বাইরে; (৪) যে দু’ব্যক্তি আল্লাহর জন্য একে অপরকে ভালোবাসেন এবং সেই মহব্বতের জন্যই তারা একত্রিত হন, আবার সেই মহব্বতের কথা স্মরণ রেখেই পরস্পর থেকে পৃথক হন; (৫) যে ব্যক্তি নিভৃতে একাকী অবস্থায় আল্লাহর জিকির করে এবং তার ভয়ে নয়ন যুগল হতে অশ্রু প্রবাহিত হয়; (৬) যে ব্যক্তিকে কোনো পরমাসুন্দরী ও অভিজাত শ্রেণির মহিলা ব্যভিচারের জন্য আহ্বান জানালেও সে সুস্পষ্টভাবে এ জবাব দেয় যে, আমি আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করি; (৭) যে ব্যক্তি এমন সংগোপনে দান করে যে, তার বাঁ হাত জানে না তার ডান হাত কী দান করেছে। হাশরের ময়দানের সেই সুশীতল ছায়াপ্রাপ্তির প্রত্যাশা প্রতিটি মুমিনের। আর সেই ছায়া পেতে হলে উল্লিখিত সাতটি গুণ অবশ্যই অর্জন করতে হবে।
কমেন্ট বক্স