গাংনী অফিস: মেহেরপুরের গাংনীর গোপালনগর গ্রামে পাওনা টাকা আদায় করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে বন্দি হন পৌর এলাকার আব্দুল্লাহ ওরফে বাবু। এমন খবর পেয়ে আপোস করতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ ও ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম। এসময় ধারালো অস্ত্রের কোপে গাংনী পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ সাহিদুল ইসলামসহ ৫জন রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। এদিকে হামলার শিকার বাবুর নগদ টাকাও ছিনতাই হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তিনি। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গোপালনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হাসপাতালে আসলে গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম ও গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আনোয়ার হোসেন তার সাথে দেখা করতে ও খোঁজ খবর নিতে ছুটে যান। আহতরা হচ্ছেন, গাংনী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পৌর প্যানেল মেয়র-২ ও ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম (৪০), একই ওয়ার্ডের মান্নাফ মিয়ার ছেলে খোকন হোসেন (৪২), ইউনুছ আলী (৩৫) আব্দুল্লাহ ওরফে বাব (২৬) এবং রফিকুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৬)। এ ঘটনায় গাংনী থানার সেকেন্ড অফিসার মনিরুজামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে স্বপন নামের এক যুবককে আটক করেছে। আহত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাংনী শহরের ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল মান্নাফের ছেলে আব্দুল্লাহ মিয়া সন্ধ্যায় গোপালনগর গ্রামে পচার ছেলে মাছ ব্যবসায়ী মিনহাজুলের কাছে পাওনা ৬ হাজার টাকা আদায়ে যায়। সেখানে দুজনের মধ্যে বাকবিত-া বাধে। এক পর্যায়ে আব্দুল্লাকে চরথাপ্পর মেরে আটকে রাখে মিনহাজ। এ খবর পেয়ে আব্দুল্লাহর ভাই খোকন ও ইউনুছ আলী পৌর প্যানেল মেয়র-২ সাহিদুলকে বিষয়টি আপোস মিমাংসার জন্য নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে গেলে আরো উত্তেজনা বেশি হয়। সন্ত্রাসী স্টাইলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় মিনহাজ, জাকারিয়া, দোকানদার রানাসহ কয়েকজন। এলোপাতারী কুপিয়ে জখম করে কয়েকজনকে। এসময় সাহিদুল তার লোকজনের মার বাঁচাতে হাতে বেশ কয়েকটি কোপ খাই। এঘটনায় সাহিদুলসহ ৫ জন রক্তাক্ত জখম হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় আহতরা গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করে। এঘটনায় সাহিদুল আহত হওয়ার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পরলে হাজারো মানুষ ছুটে আসে তাদের দেখতে হাসপাতালে। এসময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। এদিকে আব্দুল্লাহ ওরফে বাবু জানান, তার নিকট নগদ টাকাও তারা ছিনিয়ে নিয়েছেন। গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এমকে রেজা জানান ইউনুস ও খোকনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হবে। গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে গোপালনগর গ্রামের স্বপন নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।