জীবননগর সীমান্ত ইউপির মেম্বার আরজাম আলীর কা- জীবননগর অফিস: জীবননগরের সীমান্ত ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আরজাম আলীর বিরুদ্ধে বয়স্ক ভাতার কার্ড দিয়ে অর্থ আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার ৫ নম্বর ওয়ার্ড হরিহরনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হরিহরনগর গ্রামের মাঠপাড়ার মৃত খোয়াদ ম-লের ছেলে আব্দুল খালেক (৬৮) অভিযোগ করে বলেন, ‘আরজাম মেম্বার রোববার বিকেলে আমার বাড়িতে এসে বলে, ‘‘তোমার তো বয়স্ক ভাতার কার্ড হয়েছে, এ জন্য অফিসারদের মিষ্টি খরচ বাবদ ৫০০ টাকা দিতে হবে’’। এ কথা বলে সে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে যায়।’ একই অভিযোগ করেন হরিহরনগর উত্তরপাড়ার মৃত শুকুর আলী ম-লের ছেলে মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আরজাম মেম্বার আমার বয়স্ক ভাতার কার্ড দেওয়ার জন্য প্রথমে ১৯০ টাকা ও পরে গত রোববার আমার বাড়িতে এসে আরও ৭০০ টাকা নিয়ে যায় অফিসে লাগবে বলে।’ তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, শুধু খালেক ও মহিউদ্দিন নন, এ রকম বেশকিছু অসহায় দরিদ্র ব্যক্তিদের বয়স্ক ভাতার কার্ড দেওয়ার সময় তাঁদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেছেন আরজাম মেম্বার। এ ঘটনায় আরজাম মেম্বারের সঙ্গে কথা বললে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কারও কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করিনি, আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। দলীয় পদ পাওয়ার জন্য কিছু ব্যক্তি আমার নামে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।’ পরবর্তীতে সমস্ত প্রমাণ দেওয়ার পর তিনি বলেন, যে টাকা তাঁদের নিকট থেকে নেওয়া হয়েছে, তা অফিসারদের নাস্তাপানির জন্য নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতার কার্ড নেওয়ার জন্য অফিসে কোনো টাকা নেওয়া হয় না। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করার জন্য ২০ থেকে ৩০ টাকা খরচ হয়, শুধুমাত্র তাই তাঁদের কাছ থেকে নেওয়া হয়। আর যদি কেউ অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকেন, তাহলে অন্যায় করেছেন। এ প্রসঙ্গে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, বয়স্ক ভাতার কার্ড নিয়ে যদি কোনো ব্যক্তি অর্থ আদায় করেন, তাহলে তদন্তপূর্বক তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।