ঈদের পর প্রথম কর্ম দিবসে প্রাণচাঞ্চল্য সরকারি অফিস-আদালত পাড়া এসএম শাফায়েত: পবিত্র ঈদুল ফিতরের পাঁচদিন ছুটির পর গতকাল রোববার খুলেছে সরকারি অফিস, আদালত ও ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠান। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের প্রাণ কেন্দ্র জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘুরে দেখা গেছে দারুণ চিত্র। লম্বা ছুটি কাটিয়ে এবার অফিসগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। প্রথম কর্মদিবসে সবাই অফিসে এসেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। অফিস কক্ষ, বারান্দা এমনকি সিঁড়ি পর্যন্ত, সর্বত্রই ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় চলছে। একে অপরকে দেখা মাত্রই বুকে জড়িয়ে নিচ্ছেন। ভেদাভেদ নেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে। সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা শেষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস। শুভেচ্ছা বিনিময় করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন। এক মাস রোজা পালন শেষে গত বুধবার সারাদেশে মুসলমানদের সবেচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার (৪, ৫ ও ৬ জুন) ছিল ঈদুল ফিতরের ছুটি। এরপর শুক্র ও শনিবার (৭ ও ৮ জুন) সাপ্তাহিক ছুটির দিন। দূর-দূরান্তে গ্রামের বাড়ি ঈদ পালন করতে যাওয়ায় কেউ কেউ রোববার অফিসে যোগ দেবেন না। তারা আরও দুই-এক দিন ছুটি নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ গ্রাম থেকে ব্যাগ নিয়ে সোজা অফিসে চলে এসেছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ কোর্ট পাড়ায়ও দেখা যায় একই চিত্র। গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপন শেষে রোববার সকালে এজলাসে বসেন জেলা ও দায়রা জজ মোহা. রবিউল ইসলাম। এর আগে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। এজলাসে বসার আগে কর্মচারীদের টেবিলে টেবিলে ঘুরে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়া হায়দার, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এসএম নুরুল ইসলাম এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিজানুর রহমানসহ অন্যান্য বিচারক, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। প্রথম কর্মদিবস থেকে আদালত পাড়া কর্মচাঞ্চল্য হয়ে উঠেছে। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার) ঈদের ছুটি কাটিয়েছেন নিজ কর্মস্থলেই। যে কারণে প্রায় প্রতিদিনই অফিসে বসতে দেখা যেত তাকে। ঈদের নামাজের পর থেকেই কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। ঈদের ছুটির পর পৌর পরিষদে ফিরে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু। এ ছাড়া ঈদের পর প্রথম কার্যদিবসে লোকজন কম থাকায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতর ও ব্যাংক-বীমা অফিসের কাজ-কর্ম চলছে ঢিলেঢালাভাবে। ছুটি শেষে যারা অফিসে ফিরেছেন তাদের সময় কাটছে কোলাকুলি, ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশলাদি বিনিময় করেই। সবাই নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ না দেওয়ায় অফিসপাড়া জমেনি পুরোপুরিভাবে। এ অবস্থা স্বাভাবিক হতে আরও দু’একদিন লাগবে বলে জানা যায়।