তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ!
- আপলোড তারিখঃ ১৩-০৫-২০১৯ ইং
দর্শনা অফিস:
চুয়াডাঙ্গাসহ আশেপাশের এলাকায় গত কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তবে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়াবিদ সামাদুল হক আশার বানী শুনিয়েছেন, ১৩ এপ্রিল দুপুরের পর ১৫ থেকে ২০ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল রোববার সকাল থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলায় সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ছিলো ২৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও দুপুর ১২টায় ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বিকাল ৩টায় ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহে দামুড়হুদা উপজেলায় খেটে খাওয়া মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। দিনের বেলায় ধানকাটা কৃষকরা সময় পরিবর্তন করে ভোর থেকে সকাল ১১টা এবং রিক্সা ও ভ্যান চালকরা সকাল থেকে সাড়ে ১১টা এবং বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ভ্যান ও রিক্সা চালাচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে কৃষকরা রাতের বেলায় ধান ঝাড়ার কাজ করছেন। এছাড়া তীব্র গরমে পবিত্র রমজান মাসে রোজাদারদের রোজা রাখা কষ্ট হয়ে হয়ে পড়ছে। অনেকেই এ অতিষ্ঠ গরমে রোজা রাখা বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল, দর্শনা ও দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন কম বেশী রোগী গরমজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এছাড়া এ অঞ্চলে খালে বিলে পানি না থাকায় তাপদাহ বেশী বলে বিজ্ঞজনেরা জানান। তবে দেখা যায়, ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্র ছিলো ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০০৫ সালে তাপমাত্র ছিলো ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং চলতি ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ২০০২ সাল থেকে ৪২ দশমিক ৪ এবং চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৪১ থেকে ৩৯/৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্র মধ্যে হয়ে আসছে বলে আবহাওয়া অফিস জানান।
কমেন্ট বক্স