শবে বরাত : গুরুত্ব ও ফযিলত
- আপলোড তারিখঃ ২১-০৪-২০১৯ ইং
ধর্ম ডেস্ক:
যে সকল মাসে আল্লাহ তায়ালা বান্দার জন্য বিশেষ বরকত রেখেছেন তার মধ্যে অন্যতম হলো শাবান মাস। রাসূল সা. এ মাসে সবচেয়ে বেশি নফল রোযা রাখতেন। হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, তিনি বলেন, আমি রাসূল সা. কে রমজান মাস ব্যতীত অন্য কোনো মাসে পূর্ণ রোযা রাখতে দেখিনি এবং শাবান মাসের চেয়ে অন্য কোনো মাসে এতো বেশি রোযা রাখতে দেখিনি। (বুখারি, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসায়ী)। অন্য হাদিসে হযরত উসামা ইবনে যায়েদ রা. বর্ণনা করেন, আমি একদিন রাসূল সা.-এর খেদমতে আরজ করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ, আমি আপনাকে শাবান মাস ব্যতীত অন্য কোনো মাসে এতো অধিক পরিমাণে রোযা রাখতে দেখিনি। রাসূল সা. বললেন, এটা ওই মাস যে মাস সম্পর্কে অধিকাংশ লোকই গাফেল থাকে। এটা রজব ও রমযান মাসের মধ্যবর্তী মাস। এটা এমন মাস, যে মাসে মানুষের আমলসমূহ আল্লাহ তায়ালার দরবারে পেশ করা হয়। আমার আকাক্সক্ষা যে, আমার আমল আল্লাহর দরবারে এ অবস্থায় পেশ হোক যে, আমি রোযাদার। (নাসায়ী, শুআবুল ঈমান)। এছাড়াও এ মাসের ফযিলত সম্পর্কে বিভিন্ন সহিহ হাদিসের কিতাবে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে। যার দ্বারা এ মাসের ফযিলত ও গুরুত্ব প্রমাণ হয়। সুতরাং এ মাসে রোযা রাখা প্রমাণিত হলো। এবারে আসি শবে বরাত প্রসঙ্গে। মুমিন মাত্রই এ বিশেষ রাতের নামের সাথে পরিচয় আছে। তবে হাদিস শরিফে এ রাতকে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ তথা ‘শাবানের পনেরতম রজনী’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। ‘শবে বরাত’ শব্দটি ফারসি শব্দ। যা ‘শব’ ও ‘বরাত’ দু’টি শব্দ মিলে গঠিত হয়েছে। ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত আর ‘বরাত’ অর্থ হলো নাজাত, মুক্তি রক্ষা ইত্যাদি।
কমেন্ট বক্স