সমীকরণ প্রতিবেদন 
দামুড়হুদার হোগলডাঙ্গা মরাগাংনী বিলে মুরগীর নাড়ি-ভুড়ি ফেলে পানি দূষন
প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
দামুড়হুদার হোগলডাঙ্গা মরগাংনী বিলে মাছের গ্রোথ বাড়াতে মুরগীর নাড়ি-ভুড়ি ফেলে পানি দূষিত করার অভিযোগে গ্রামবাসীর তোপের মুখে পড়তে হয়েছে কমিটির নেতৃবৃন্দকে। গ্রামবাসির রোষানল থেকে রেহায় পেতে সুইপার দিয়ে পরিষ্কার করার কাজ শুরু করা হয়েছে। বিল কমিটির নেতৃবৃন্দ ভূল স্বীকার করে আগামী সোমবারের মধ্যে বিলের পানিতে ভেসে থাকা মুরগীর সমস্ত নাড়ি-ভূড়ি পরিষ্কার করার পাশপাশি পানি দূষণমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অঙ্গীকার করেছেন। এদিকে, উত্তেজিত গ্রামবাসি বিলের ৪টি ছোট সালটি ও একটি বড় নৌকাসহ অফিস ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে বলে বিল কমিটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দামুড়হুদা মডেল থানায় উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়নের হোগলডাঙ্গা, নতিপোতা, ভগিরথপুর জুড়ে রয়েছে সরকারি বিল। মরগাংনী নামের বিশাল ওই বিলের পানি এলাকার লোকজন গোসলসহ রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকে। কেউ কেউ আবার বিলের পানি ফুটিয়ে পানও করে। বিলটি দীর্ঘদিন ধরে সরকারিভাবে ইজারার মাধ্যমে মাছ চাষ কার্যক্রম চলে আসছে। বর্তমান বিল ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম মাছের গ্রোথ বাড়ানোর জন্য গত বুধবার দিনগত রাতে মুরগীর নাড়ি-ভূড়ি মাছের খাবার হিসেবে বিলে ফেলেন। পরদিন অর্থাৎ গত বৃস্পতিবার এলাকাবাসি বিলে গোসল করদে গিয়ে মুরগীর নাড়ি-ভূড়ি পানিতে ভাসতে দেখে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে দূর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। সারাদিন ওই বিলের পানি কেউ ব্যবহার করতে না পেরে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। রাত ১০ টার দিকে ক্ষুদ্ধ হোগলডাঙ্গাবাসি ওই বিলের দুই নৈশ প্রহরীকে মারধর করে বিল এলাকা থেকে চলে যেতে বলে। পরে বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানায়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ওই দুই নৈশ প্রহরীকে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায় এবং বিলের নেতৃবৃন্দকে থানায় তলব করেন। এ বিষয়ে হোগলডাঙ্গা গ্রামের বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেছেন, পানিতে মুরগীর নাড়ি-ভুড়ি ফেলে পানিতে দূষিত করায় গ্রামের লোকজন চরম বেকায়দায় পড়েছে। গোসলসহ রান্নার পানি জন্য গ্রামবাসিকে অনেকটাই বেগ পেতে হয়েছে। এ ছাড়া বিলের পানিতে কুকুর মরাও ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। কুকুর মরা ফেলার বিষয়টি অস্বিকার করে বিলের সেক্রেটারী আব্দুল আলিম বলেছেন, মেহেরপুরের এক মাছ চাষির পরামর্শে আমি ওই নাড়ি-ভুমি পানিতে ফেলতে বলি। আমি না বুঝে একটা ভূল করে ফেলেছি। ইতিমধ্যেই সুইপার এনে পরিষ্কার করার হচেছ। পানি দূষতমুক্ত করতে যা যা করার তা করা হবে। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেছেন, আমি না হয় বুঝতে না পেরে একটা ভূর করেছি কিন্ত তারা আমাদের মাছ ধরা নৌকাসহ অফিসঘর পুড়িয়েছে। এবং আমাদের বিলের দুই নৈশ প্রহরীকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। শুধু তাইই নয়, এই সুযোগ রাতে কারেন্টজাল দিয়ে চুরি করে মাছ ধরছিল। পুলিশ বেশকিছু কারেন্টজাল জব্দও করেছে।
এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই রাজিব জানান, বিলের লোকজনের আগামি সোমবার পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে পানি দূষনমুক্ত না হলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
