আলমডাঙ্গা থেকে খাসকররা সড়কটির বেহাল দশা ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক, আলমডাঙ্গা: আলমডাঙ্গা-খাসকররা রাস্তাটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। ফলে রাস্তাটিতে সাধারণ মানুষের পায়ে হেঁটে চলাচল করাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে। যানবাহন চলাচলে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। জাহাপুর গ্রামের আবু জাফর জানান, আলমডাঙ্গা পৌর শহর থেকে খাসকররা ইউনিয়নের বাজার পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার পিচঢালা রাস্তা। এই রাস্তায় প্রতিনিয়ত কয়েকশ’ নছিমন, করিমনসহ থ্রি-হুইলার মাহেন্দ্র ও ইঞ্জিনচালিত ভ্যান চলাচল করে থাকে। আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছী, খেজুরতলা, জাহাপুর, চিলাভালকী ও খাসকররা ইউনিয়নসহ আংশিক লোকজনের একমাত্র অবলম্বন এই রাস্তা। কিন্তু রাস্তাটির আলমডাঙ্গার হাউসপুর থেকে জাহাপুর পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকার অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিনিয়ত রাস্তায় ছোট-বড় যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এই রাস্তা গত ১ বছর পূর্বে কার্পেটিং এর কাজ করা হলেও বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবারও পূর্বের রূপে ফিরে এসেছে রাস্তাটি। আলমসাধু চালক লিটু জানান, রাস্তাটির পিচ উঠে বড় বড় খানা-খন্দে রূপ নিয়েছে। ইঞ্জিনচালিত বাহনগুলি প্রায় দুর্ঘটনায় পতিত হয়। আলমডাঙ্গা থেকে খাসকররা রাস্তা সংস্কার করা না হলে গাড়ি চালানো ঝুকি হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে প্রায় ৫শ’ চালক বেকার হয়ে পড়বে। যদি রাস্তা নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা যদি একবার পরিদর্শন করে তবে তারাই নির্দিষ্টভাবে বলতে পারবে রাস্তা সংস্কার করা যাবে কি না। বেলগাছী গ্রামে জব্বার হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার কবলে পরে হাত-পা ভেঙ্গে হাসপাতালে অবস্থান করছে এই এলাকার অনেক মানুষ। এছাড়া মাঝে মধ্যেই মাছের ট্রাকসহ ভারী যানবাহন প্রবেশ করায় রাস্তাটি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। উপজেলার এই অঞ্চলে কৃষি আবাদের জন্য গাড়ীর চাপ একটু বেশি থাকে। সকাল হলেই এই রাস্তা দিয়ে কাঁচা সবজি নিয়ে বৃহত্তম আলমডাঙ্গা সবজি বাজারে নিয়ে যায়। এ সময় রাস্তার ভয়াবহ অবস্থার জন্য ঝুকি নিয়ে গেলেও অনেক সময় পরতে হয় মরণ ফাঁদে। বেলগাছী ও খেজুরতলা ইউপি সদস্যগণ জানান, রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে জনসাধারণের চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়বে। তাই, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।