জামজামিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষ : আহত ৩
- আপলোড তারিখঃ ২৩-১২-২০১৮ ইং
নিজস্ব প্রতিবেদক: আলমডাঙ্গা জামজামি গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে জমির মালিক পক্ষের তিনজনকে আহত করেছে হামলাকারীরা। আহতরা জামজামি ফাঁড়ি পুলিশের কাছে সাহায্য চাইলে ফাঁড়ি পুলিশের এসআই অচিন্ত কুমারের পক্ষপাতমূলক আচরনের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার সকালে জামজামি বাজারপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জমির মালিক আহত পিতা পুত্র এখনো চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতলে চিকিৎসাধীন।
আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি এলাকার বর্তমান জামজামি গ্রামের গিয়াস উদ্দীনের ছেলে সাইফুল ইসলাম তার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন, গত শুক্রবার সকালে আমার ছেলে সাইফুল ইসলামকে বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা আনতে বলে আমি জামজামি বাজারে চা পান করতে যায়। এর কিছুক্ষণ পর আমার ছেলে মোবাইল ফলে জানায়, আমাদের জমি দখল করে নিচ্ছে এবং তাকেও জমিতে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এরপর ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আমি সাথে সাথে জমিতে গিয়ে দেখি আমার ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় জমিতে লুটিয়ে পড়ে আছে। ধারালো দা ও চাইনিজ কুড়ালসহ বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আলী হোসেন, মনির উদ্দীন, আক্কাচ, শিউলি খাতুন, আতিয়ারসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন এ হামলা চালায়। এসময় আমার ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে আলী হোসেন আমাকে এলোপাতাড়ি কোপ মারতে থাকে। আমি চাদরের মধ্যে মাথা লুকালে আমার দু’হাত মারাত্মকভাবে কেটে যায়। এসময় আলী হোসেনের সাথে আমার ধস্তাধস্তি হলে তার বড় ভাই এসে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আমার বাম হাতে কোপ মারে। এতে আমার বাম হাত ক্ষত বিক্ষত হয়। পরে আবার আক্কাচ চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আমার ডান হাতে কোপ মারে এতে আমার ডান হাত ক্ষত বিক্ষত হয়। এসময় আলী হোসেনের হাতে থাকা অস্ত্র চেপে ধরলে টানাটানিতে তারও হাত কেটে যায়।
এসময় আমি ও আমার ছেলে আহত অবস্থায় জামজামি ফাঁড়ি পুলিশের এসআই অচিন্ত কুমারের দিকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যায়। কিন্তু তিনি আমাকে ও আমার ছেলেকে রক্ষা না করে হামলাকারীদের পক্ষ হয়ে আমাকে গ্রেফতার করে। এছাড়াও হামলাকারীদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত ৫টি দেশীয় অস্ত্র পুলিশ বা সরকারি খাতে জমা করা হয়নি।
এছাড়াও পরে আমার ছেলের আহত হওয়ার খবর শুনে তার এক বন্ধু দেখতে আসলে আমার বাড়ির সামনে থেকে তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয় হামলাকারীরা। পরে আমাকে ও ছেলের বন্ধুকে ছেড়ে দিলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসি। বর্তমানে আমি ও আমার ছেলে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি।
কমেন্ট বক্স