মেহেরপুরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ!
- আপলোড তারিখঃ ১৪-১০-২০১৮ ইং
বারাদী প্রতিনিধি: মেহেরপুর সদরের পিরোজপুর গ্রামে জালা খাতুন নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার সকালে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের একটি দল লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর মর্গে পাঠায়। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী গোলাম মোস্তফাসহ পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ৭ থেকে ৮ বছর আগে সদর উপজেলা হাসানাবাদ কলনি গ্রামের ফকির মোহাম্মদের মেয়ের সাথে পিরোজপুর গ্রামের মনি বিশ্বাসের ছেলে গোলাম মোস্তফার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসারে নানা কারণে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। পরে গোলাম মোস্তফা ২য় বিয়ে করলে তাদের মধ্যে অশান্তি আরো বেড়ে যায়। একপর্যায়ে ঘটনার রাতে তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। পরে সকালে ঘরের মধ্যে গৃহবধূর গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত জালা খাতুনের চাচাত ভাই সাবিরুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, তার বোনের উপর গোলাম মোস্তফা প্রায়ই নির্যাতন করতো। নির্যাতনের এক পর্যায়ে শুক্রবার রাতের কোন এক সময় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা শেষে লাশ ঘরে ঝুঁলিয়ে রেখে আত্মহত্যার গুজব ছড়িয়ে সে সহ পরিবারের সকলে পালিয়ে গেছে। ওই গৃহবধুর পিতা বলে এই হত্যাকাÐের আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। নিহতের স্বামী ও পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় সন্দেহ করা হচ্ছে এটি হত্যাকাÐ। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, ময়নাতদন্তের পর পুলিশ জালা খাতুনের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তার নামাজের জানাজা শেষে হাসনাবাদ কলোনীর কবরস্থানে তার দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।
কমেন্ট বক্স