মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

কোটির উর্ধে টাকা নিয়ে লোপাট : দিশেহারা গ্রাহক (যদি পারেন হেডিং চেঞ্জ কইরেন)

  • আপলোড তারিখঃ ১৪-০৯-২০১৮ ইং
কোটির উর্ধে টাকা নিয়ে লোপাট : দিশেহারা গ্রাহক (যদি পারেন হেডিং চেঞ্জ কইরেন)
মহেশপুরে এমটিবি এজেন্ট ব্যাংকিং সেন্টার উদ্বোধন হওয়ার আগেই দত্তনগর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর বাজারে ডাক্তার মরহুম জিল্লুর রহমানের মার্কেটে এমটিবি এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা সেন্টারের উদ্বোধন হওয়ার আগেই গ্রাহকদের কাছ থেকে কোটির উর্দ্ধে টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে গেছে প্রতারক চক্র। এতে ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাহকরা দিশেহারা হয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে। জানা গেছে, ঝিনাইদহ শহরে অবস্থিত প্রাইম ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের ম্যানেজার আমিনুর রহমান নামের এক ব্যক্তি মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর ইউপির যোগীহুদা গ্রামের শাহ আলম এমটিবি এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার নামকরণে উপজেলার খালিশপুর বাজারে ডাক্তার মরহুম জিল্লুর রহমান মার্কেটের ২য় ও ৩য় তলা ভাড়া নিয়ে এমটিবি ব্যাংকের এজেন্টদার হিসাবে একটি শাখা অফিসের উদ্বোধন করবেন বলে গত ২ মাস আগ থেকে ওই মার্কেটের সামনে কাপড়ের ব্যানার ঝুঁলিয়ে রাখে। পাশাপাশি ওই প্রতারক চক্র এলাকার বেকার শিক্ষিত ছেলে মেয়েদের এ্যাকাউন্ট খোলাসহ চাকুরী এবং গরীব দুখি মানুষের বাড়ি তৈরীর প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল। যাদের এ্যাকাউন্টে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা সংস্থায় জমা হচ্ছে তাদেরকে দুই রুম বিশিষ্ট পাঁকা ছাদের ঘর তৈরী করে দিচ্ছে। যা সাধারণ মানুষ ওই সব দেখে গোপনে গোপনে ওখানে এ্যাকাউন্ট খুলে টাকা জমা করে আসছিল। এভাবে ওই প্রতারক চক্র এলাকা থেকে কোটির উর্ধে টাকা হাতিয়ে পালিয়ে গেছে। ভুক্তভোগীরা জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে অফিসের কোন কর্মকর্তারা অফিসে না আসায় চলতে থাকে নানা গুঞ্জন এবং গোপনে খোঁজাখুজি। এ ব্যাপারে এলাকার একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান, যোগীহুদা গ্রামের শাহ আলম এবং ঝিনাইদহের প্রাইম ইসলামী ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের ম্যানেজার আমিনুর রহমান দু’জনে খালিশপুর বাজারে এমটিবি এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা কার্যকলাপ চালাবেন এবং এই এজেন্ট ব্যাংকে নতুনভাবে বিভিন্ন পদে শতাধিক কর্মি নিয়োগ দেবেন বলে একাধিকবার ওই স্থানে সেমিনার করে। এছাড়া তাদের মাধ্যমে এলাকার গরীব দুখি মানুষের ঋণ দেয়াসহ পাঁকা ঘর নির্মাণ করে দেবারও প্রতিশ্রুতি দেয়। এসমস্ত প্রলোভন দেখিয়ে এ্যাকাউন্ট করা গ্রাহক প্রতি ১ থেকে ২ লাখ টাকা করে জমা নেয়। এসব ব্যাপারে এলাকার অনেকে জড়িত আছে বলেও জনশ্রুতি রয়েছে। যা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল। এলাকাবাসী আরো জানান, ওই সংস্থাটি এলাকায় অনেকেরই দুই রুম ছাদের পাকা ঘর নির্মাণ করেও দিয়েছে। এভাবে একের পর এক লোভ দেখিয়ে এলাকা থেকে কোটির উর্দ্ধে টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছে ওই প্রতারক চক্র। ভুক্তভোগীরা বর্তমান তাদের হদিস না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা প্রশানের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে।


কমেন্ট বক্স
notebook

দেশের কোনো নাগরিকেরই এখন দুটি এনআইডি কার্ড নেই: ডিজি