ভালো মানুষের সান্নিধ্য
- আপলোড তারিখঃ ২১-০৬-২০১৮ ইং
ধর্ম ডেস্ক: মানুষ সামাজিক জীব; সমাজেই মানুষের বসবাস। ভালো সমাজ ও পরিবেশের কারণে মানুষ ভালো হয় এবং খারাপ সমাজ ও পরিবেশের কারণে মানুষ খারাপ হয়। আবার এই খারাপ সমাজটাকেই মানুষ ভালো বানিয়ে ফেলতে পারে। এই সমাজের মানুষকেও ভালো বানিয়ে ফেলতে পারে। এই দাওয়াত আর এই আহ্বান নিয়েই ইসলামের আগমন। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দাওয়াতকে আজকের ভাষায় ব্যাখ্যা করলে এর মর্ম হবে-একমাত্র আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতা। একটি সমাজ কোনো দিন শান্তিপূর্ণ সমাজ হতে পারবে না, যতদিন পর্যন্ত তার অন্তরে আল্লাহতায়ালার কাছে জবাবদিহিতার মনোভাব সৃষ্টি না হবে। এই একিন আর বিশ্বাস যতদিন তার অন্তরে না আসবে, ততদিন পর্যন্ত এই সমাজের মানুষ ভালো হবে না। ইসলাম যাবতীয় সমস্যার প্রকৃত সমাধান দিয়েছে। ইসলাম শুধু কিছু আইন আর বাহ্যিক চাপের বিধান দিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি, সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চরিত্র গঠন ও আত্মশুদ্ধির ব্যবস্থাও করেছে। ইসলামের মূল বিষয় হলো মানুষের চরিত্র গঠন। রিপুর তাড়নায় মানুষ অন্ধ, নির্বোধ ও বুদ্ধিহীন হয়ে যায়। এই রিপুগুলো প্রশমিত করা জরুরি এবং এর নামই হলো তাজকিয়াহ বা চারিত্রিক পরিশুদ্ধি। আজকের পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় অভাব আত্মশুদ্ধির। যে কারণে হিংসা, হানাহানি, মারামারি, কাটাকাটি, মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব-সংঘাত বেড়েই চলেছে। এ জন্য ইসলাম সৎ ও নিষ্ঠাবান লোকের সংস্পর্শে থাকার তাগিদ দিয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘ধৈর্যের সঙ্গে নিজেকে সেসব লোকের সংস্পর্শে রাখ, যারা সকাল ও সন্ধ্যায় নিজেদের প্রতিপালককে এ কারণে ডাকে যে, তারা তার সন্তুষ্টি কামনা করে। পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য কামনায় তোমার দৃষ্টি তাদের থেকে সরিয়ে নিও না।’ আজকাল আমরা ভালো মানুষের সান্নিধ্য গ্রহণে আগ্রহী নই। ভালো মানুষের সন্ধানও আমরা করি না। অপেক্ষাকৃত ভালো মানুষ আজকের সমাজে অনেকটা অপাঙ্ক্তেয়। অথচ তারাই হলেন আল্লাহর কাছে অতি প্রিয়। তাদের অছিলাতেই আল্লাহ দুনিয়া টিকিয়ে রেখেছেন। পরকালে তারাই হবেন সেরা। দুনিয়ার চাকচিক্যের পেছনে দৌড়ালে কোনো লাভ হবে না, যদি না পরকাল বিনাশ হয়ে যায়। মানুষ দুনিয়াতে যার সঙ্গে চলবে, যাকে বন্ধু বানাবে তার সঙ্গেই হাশর হবে। পরকালে তার সঙ্গেই আল্লাহর সামনে হাজির হতে হবে। এ জন্য সবার উচিত ভালো মানুষের সান্নিধ্য গ্রহণ করা; ভালো মানুষ খুঁজে বের করা।
কমেন্ট বক্স