জাহিদ বাবু/মিঠুন মাহমুদ: জীবননগরে ভয়াবহ কালবৈশাখী ঘুর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড করে দিল করতোয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা আকাশের নিচে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান । গতশনিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে । সরেজমিনে জানা গেছে, গত শনিবার গভীর রাতে কাল বৈশাখী ঝড়ে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের করতোয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আম বাগান, ধান চাষ,গাছপালা ও ঘরবাড়ী লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এ অবস্থায় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে খোলা আকাশে নিচে। এলাকাবাসীর প্রানের দাবী জরুরী ভিত্তিতে বিদ্যালয়টি মেরামত করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য কতৃপক্ষের দৃষ্ঠি কামনা করছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৌফিক আহম্মেদ জানান , এক সময় এ অঞ্জলে শিক্ষার তেমন কোন সু-ব্যবস্থা ছিল না যার ফলে অনেকে শিক্ষার দিক থেকে ঝরে পড়ে সে জন্য এ অঞ্জলে শিক্ষা বিস্তারে এলাকাবাসীর সাথে নিয়ে ১৯৮৮ সালে বাঁশ ও টিন দিয়ে চৌচালা টিনের ঘর নির্মান করে পাঠ দান শুরু করা হয়েছিল বর্তমানে ছাত্র ২শ ৩০ ও ছাত্রী ২শ ৭৮ জন মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫শ ৮জন। এবং ১৭ জন শিক্ষক ৫ জন কর্মচারী মোট ২২ জন। অফিস কক্ষ সহ মোট ১১টি কক্ষ ছিল। শনিবার রাতে কাল বৈশাখি ঝড়ে বিদ্যালয়ের টিনের ছাউনী, বেড়া, বিদ্যালয়ের বৈদ্যুতিক মিটার উড়ে গেছে। ভিজে নষ্ঠ হয়ে গেছে বিদ্যালয়ের মুল্যবান কাগজ, বই ও মূল্যবান জিনিসপত্র। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান অব্যহত রাখতে গাছতলায়, খোলা আকাশের নিচে পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ না থাকায় বর্তমানে ডিজিটাল হাজিরা সহ শিক্ষার্থীদের প্রজেক্টরের মাধ্যমে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। কাল বৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়ের প্রায় ৮ থেকে ৯ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শ্রী দিনেশ চন্দ্র পাল জানান, ক্ষতিগ্রস্থ বিদ্যালয়টি সংষ্কার ও শিক্ষা উপকরনের জন্য আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। আশা করি খুব শিঘ্রই এটি মেরামত করা হবে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারজানা , শিউলী , রাজীব মন্ডল, মিথুন বিশ্বাস জানায়, মান সম্মত শিক্ষার জন্য মান সম্মত শিক্ষার পরিবেশ দরকার। আমরা যে ভবনে ক্লাস করি এটি দির্ঘ দিন জরাজির্ন্ন ভাবে পড়ে রয়েছে এটির কোন সংষ্কার করা হয়নি আমরা জীবনের ঝুকি নিয়ে ক্লাস রুমে প্রতিদিন ক্লাস করি তাই শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে জরুরী ভিত্তিতে আমাদের বিদ্যালয়টি মেরামত সহ যাবতীয় শিক্ষনীয় উপকরনের জন্য কতৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছি। উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মোঃ আঃ লতিফ অমল বলেন, শনিবার রাতে ঘুর্ণিঝড়ে করতোয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যে খতি হয়েছে এটি আমি শুনেছি এটি সংস্কারের জন্য খুব দুরত্ব ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে । উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলি রেজা জানান,করতোয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ঝড়ে যে খতি হয়েছে এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ আমাকে বলেছে এবং একটি আবেদন করেছে আমি এ বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহাদ্বয়কে জানাবো । এদিকে কাল বৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয় সহ উপজেলার বেনীপুর, ধান্যখোলা, কয়া গ্রাম সহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের আম বাগান, ধান ক্ষেতের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি সহ ঘরবাড়ী ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়েছে।