হামাস-ইসরাইল প্রাথমিক সমঝোতা, বিশ্বমোড়লদের আন্তরিক সমর্থন দরকার

আপলোড তারিখঃ 2025-10-11 ইং
হামাস-ইসরাইল প্রাথমিক সমঝোতা, বিশ্বমোড়লদের আন্তরিক সমর্থন দরকার ছবির ক্যাপশন:

গাজায় শত শত মানুষ হত্যার খবর শুনে বিশ্ববাসীর প্রতিদিন ঘুম ভাঙে। সেখানে প্রতিদিন পঙ্গু হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। উপত্যকাটিতে শিশুরা খাদ্যের অভাবে হাড়জিরজিরে হয়ে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে। পশাচিকতার নতুন নজির হচ্ছে ত্রাণ নিতে আসা মানুষকে হত্যা। হাসপাতাল-শরণার্থীশিবির কিছুই বাদ যাচ্ছে না হানাদার ইসরাইলিদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু থেকে। এর প্রতিবাদে নেতানিয়াহুর জাতিসঙ্ঘে ভাষণের সময় একে একে বিশ্বনেতারা হলরুম ত্যাগ করেন। বিশ্ববাসী এ দানবের হাত থেকে ফিলিস্তিনিদের মুক্তি চান। বৈশ্বিক চাপে ইসরাইলের নতি স্বীকারের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। গাজায় যুদ্ধ বন্ধে হামাস ও ইসরাইল প্রাথমিকভাবে সম্মত হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইলি হামলা শুরুর পর থেকে বেশ কয়েকবার শান্তি উদ্যোগ জায়নবাদী শক্তির সীমালঙ্ঘনে ভণ্ডুল হয়ে যায়। এবারের যুদ্ধবিরতি ও গাজার নির্দিষ্ট কিছু এলাকা থেকে ইসরাইলি সেনা সরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। ইতোমধ্যে যুদ্ধে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া গাজায় স্বস্তি ও আনন্দের ঢেউ দেখা যাচ্ছে। সেখানে প্রতিদিনকার যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যে থাকা নাগরিক ও সেবাদানকারী সংস্থার সদস্যরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। এই নারকীয়তা ইসরাইলের সাধারণ নাগরিকরাও চান না। যুদ্ধবিরতিতে দু’পক্ষ রাজি হওয়ায় তেলআবিবের বাসিন্দাদেরও আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায়। বরাবরের মতো এ খুশি কতক্ষণ স্থায়ী হয় তা বলা মুশকিল। আবার ইসরাইলের সীমালঙ্ঘনে ভণ্ডুল হয়ে যায় কি না তার আশঙ্কা রয়েছে।


মিসরের শারম আল শেখে আরব দেশগুলোর প্রতিনিধি ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শান্তি স্থাপনের আগ্রগতির কথা জানানো হয়। ইসরাইলি মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব পাস হওয়ার পর এটি কার্যকর হতে শুরু করবে। ধাপে ধাপে এটি বাস্তবায়িত হবে। এতে রয়েছে হামাসের কাছে থাকা ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি। গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ অগ্রগতি হয়েছে। কিছু বিষয় এখনো সুরাহা হয়নি। এর মধ্যে রয়েছে ট্রাম্পের পরিকল্পনার অন্তর্র্বতী সরকার ও হামাসের অস্ত্রসমর্পণ। ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে নিলে হামাসের জন্য কোনো সুযোগ অবশিষ্ট থাকে না। যতটুকু ইসরাইলকে বাগে আনা গেছে তা বৈশ্বিক জনমতের চাপ। ইসরাইলকে একঘরে করে ফিলিস্তিনি অধিকার আদায়ের পথে বিশ্ববাসী যদি ভবিষ্যতে সোচ্চার থাকেন, তাহলে সেখানে শান্তির সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। গত দুই বছরে ৭০ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা ও এক লাখ ৭০ হাজার জনকে আহত করেছে ইসরাইল। এরই মধ্যে পুরো গাজা ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সরসারি মদদে এটি করতে পেরেছে ইসরাইল। যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র-রসদ সরবরাহ করে যাচ্ছে আগ্রাসী ইসরাইলকে। তেলআবিরের জন্য বরাদ্দ করছে বিপুল অর্থ। সাথে রয়েছে ব্রিটেন-ফ্রান্সের সমর্থন। যদিও ব্রিটেন, ফ্রান্সসহ পশ্চিমা কয়েকটি দেশ স্বাধীন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটা অনেকটা লোকদেখানো। যেখানে পশ্চিমারা চাইলে ইসরাইলকে আগেই নিবৃত্ত করতে পারত ফিলিস্তিনিদের হত্যা উৎখাত অপকর্ম থেকে। বিশ্বমোড়লরা চাইলে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের আগ্রাসন মুহূর্তে বন্ধ করা সম্ভব। এবার হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার পর পরাশক্তিগুলো সবাই মিলে এ ব্যাপারে তেলআবিককে বাধ্য করতে পারে। তেমনটি হওয়ার সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ।

সম্পাদকীয় :

প্রধান সম্পাদকঃ নাজমুল হক স্বপন
ফোনঃ +৮৮০২৪৭৭৭৮৭৫৫৬

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ শরীফুজ্জামান শরীফ

ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ শরীফুজ্জামান শরীফ

বার্তা সম্পাদকঃ শরীফুজ্জামান শরীফ


বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ

অফিসঃ পুলিশ পার্ক লেন (মসজিদ মার্কেটের ৩য় তলা) কোর্ট রোড, চুয়াডাঙ্গা।

ইমেইলঃ dailysomoyersomikoron@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১-৯০৯১৯৭, ০১৭০৫-৪০১৪৬৪(বার্তা-বিভাগ), ০১৭০৫-৪০১৪৬৭(সার্কুলেশন)