ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

Auto Draft

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:১৬:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০১৭
  • / ৩৫৯ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদার আটকবরে স্থানীয় শহীদ দিবসের আলোচনা সভায় হুইপ ছেলুন
মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আগামী প্রজন্মকে সঠিক ধারণা দিতে হবে
1এস এম শাফায়েত: বিনম্র শ্রদ্ধা আর যথাযোগ্য মর্যাদায় চুয়াডাঙ্গা জেলার স্থানীয় শহীদ দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদাহ আট শহীদের কবরে ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করে জেলা আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। সকাল ৯টায় জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ ও শোক পতাকা উত্তোলন করেন পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দিন। পতাকা উত্তোলন শেষে শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন হুইপ ছেলুন, জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দিন আহমেদ, পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দন, সার্কেল এসপি মো. কলিমুল্লাহ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসান, জেলা আ’লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা আ’লীগ, মহিলা লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আট শহীদ স্মৃতি স্তম্ভের পাদদেশে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত, দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় দোয়া করা হয়।
পরে আটকবর মুক্তমঞ্চে সভাপতির বক্তব্যে হুইপ সোলাইমান হক জোয়ার্দারের ছেলুন বলেন, যুদ্ধ চলাকালীন এইদিনে জেলার ৮বীর সন্তান সম্মুখ সমরে অংশ নিয়ে প্রাণ হারায়।
ওই দিনের সম্মুখ সমরের বর্ণনা দিতে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা হুইপ ছেলুন এমপি বলেন, ১৯৭১ সালের ৩ আগষ্ট মুক্তিযোদ্ধার গেরিলা গ্রুপ কমান্ডার হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদল বীর মুক্তিযোদ্ধা দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম জগন্নাথপুর গ্রামের শেল্টার ক্যাম্পে অবস্থান করছিল। পরদিন মুক্তিযোদ্ধারা পার্শ্ববর্তী বাগোয়ান গ্রামের মুসলিম লীগের দালাল কুবাদ খাঁ কে ধরে নিয়ে আসে। মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর উপর আক্রমন করার পরিকল্পনা করছিল। এইদিন সকালে পাকিস্তানী দালার কুবাদ খাঁর দু’জন লোক মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে এসে খবর দেয়, রাজাকাররা তাদের ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এ খবর শুনে মুক্তিযোদ্ধা হাসান জামানের নেতৃত্বে একদল মুিক্তযোদ্ধা রাজাকারদের শায়েস্তা করার জন্য অস্ত্র নিয়ে আনুমানিক ২ কিলোমিটার দুরে বাগোয়ান গ্রামের মাঠে দক্ষিন পশ্চিমে দুইদলে বিভক্ত হয়ে অগ্রসর হতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধাদের রেকি দল ফিরে আসার সাথে সাথে নাটুদহ ক্যাম্পের পাকসেনারা পুর্ব পরিনকল্পনা অনুযায়ী মাঠের আখ ক্ষেতে ‘ইউ’কাটিং অ্যাম্বুশ করে রাখে। মুক্তিযোদ্ধারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের অ্যাম্বুশে পড়ে যায়। এখানে পাকসেনাদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রায় আড়াই ঘন্টাব্যাপী যুদ্ধ হয়। পাকবাহিনীর কাছে থাকা আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের উপর ব্যবহার করতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে মুক্তিযোদ্ধারা কৌশলে দুটি দলে বিভক্ত হয়ে শত্রুকে আক্রমন করতে থাকে। এ অব¯থায় যেকোন একজনকে কাভারিং ফায়ার দিয়ে নিজ দলকে বাঁচাতে হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান জামান স্বাভাবিক ফায়ারের দায়িত্ব নিয়ে শহীদ হন। পিছু হটার সময় তারা অন্য সাথীদের বাঁচাতে পারলেও শহীদ হন বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান জামান, সাইফুদ্দিন তারেক, রওশন আলম, আলাউল ইসলাম খোকন, আবুল কাশেম, রবিউল ইসলাম, কিয়ামুদ্দিন ও আফাজ উদ্দীন। পাকবাহিনী তাদেরকে ঘিরে ফেলে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে। তবে এই সম্মুখ যুদ্ধে পাকবাহিনীর অনেক সদস্য মারা যায় এবং আহত হয়। পরে পাকবাহিনীর ক্যাপ্টেনের নির্দেশে জগন্নাথপুর গ্রামের মানুষ রাস্তার পাশে দুইটি কবরে চারজন করে আটজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার লাশ কবর দেয়। কালক্রমে এই আটজন মুক্তিযোদ্ধার কবরকে ঘিরেই এ স্থানটির নামকরন হয়েছে আটকবর। এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখতে সকলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আগামী প্রজন্মকে সঠিক ধারণা দিতে হবে।
আলোচনা সভার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ৮ শহীদের সহযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আজগার ফটিক। জেলা আ’লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন, দামুড়হুদা উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মন্জু, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি নাসির উদ্দীন জোয়ার্দ্দার, মোশারফ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগাঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান লিটু, এড. আব্দুল মালেক, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. নুরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক এড. আবু তালেব, প্রচার সম্পাদক ফেরদৌস আরা সুন্না, সহ প্রচার সম্পাদক শওকত আলী, জীবননগর উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক নজরুল ইসলাম, কুড়ালগাছি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুল্লা বাহার, নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান আজিজ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, আবু হোসেন, উপজেলা কমান্ডার আশু বাঙ্গালি, শহীদ খান, মোস্তফা খান।
এদিকে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও নেতাকর্মীদের নিয়ে আলোচনা সভায় অংশ নেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক ও সহ-সভাপতি সাহাবুল হোসেন। এ সময় সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম, আ: কাদের, আ: রশীদ, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি রুবাইত আজাদ বিন আজাদ সুস্তির, দর্শনা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক বাকি বিল্লাহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

Auto Draft

আপলোড টাইম : ০৫:১৬:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০১৭

দামুড়হুদার আটকবরে স্থানীয় শহীদ দিবসের আলোচনা সভায় হুইপ ছেলুন
মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আগামী প্রজন্মকে সঠিক ধারণা দিতে হবে
1এস এম শাফায়েত: বিনম্র শ্রদ্ধা আর যথাযোগ্য মর্যাদায় চুয়াডাঙ্গা জেলার স্থানীয় শহীদ দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদাহ আট শহীদের কবরে ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করে জেলা আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। সকাল ৯টায় জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ ও শোক পতাকা উত্তোলন করেন পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দিন। পতাকা উত্তোলন শেষে শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন হুইপ ছেলুন, জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দিন আহমেদ, পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দন, সার্কেল এসপি মো. কলিমুল্লাহ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসান, জেলা আ’লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা আ’লীগ, মহিলা লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আট শহীদ স্মৃতি স্তম্ভের পাদদেশে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত, দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় দোয়া করা হয়।
পরে আটকবর মুক্তমঞ্চে সভাপতির বক্তব্যে হুইপ সোলাইমান হক জোয়ার্দারের ছেলুন বলেন, যুদ্ধ চলাকালীন এইদিনে জেলার ৮বীর সন্তান সম্মুখ সমরে অংশ নিয়ে প্রাণ হারায়।
ওই দিনের সম্মুখ সমরের বর্ণনা দিতে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা হুইপ ছেলুন এমপি বলেন, ১৯৭১ সালের ৩ আগষ্ট মুক্তিযোদ্ধার গেরিলা গ্রুপ কমান্ডার হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদল বীর মুক্তিযোদ্ধা দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম জগন্নাথপুর গ্রামের শেল্টার ক্যাম্পে অবস্থান করছিল। পরদিন মুক্তিযোদ্ধারা পার্শ্ববর্তী বাগোয়ান গ্রামের মুসলিম লীগের দালাল কুবাদ খাঁ কে ধরে নিয়ে আসে। মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর উপর আক্রমন করার পরিকল্পনা করছিল। এইদিন সকালে পাকিস্তানী দালার কুবাদ খাঁর দু’জন লোক মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে এসে খবর দেয়, রাজাকাররা তাদের ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এ খবর শুনে মুক্তিযোদ্ধা হাসান জামানের নেতৃত্বে একদল মুিক্তযোদ্ধা রাজাকারদের শায়েস্তা করার জন্য অস্ত্র নিয়ে আনুমানিক ২ কিলোমিটার দুরে বাগোয়ান গ্রামের মাঠে দক্ষিন পশ্চিমে দুইদলে বিভক্ত হয়ে অগ্রসর হতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধাদের রেকি দল ফিরে আসার সাথে সাথে নাটুদহ ক্যাম্পের পাকসেনারা পুর্ব পরিনকল্পনা অনুযায়ী মাঠের আখ ক্ষেতে ‘ইউ’কাটিং অ্যাম্বুশ করে রাখে। মুক্তিযোদ্ধারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের অ্যাম্বুশে পড়ে যায়। এখানে পাকসেনাদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রায় আড়াই ঘন্টাব্যাপী যুদ্ধ হয়। পাকবাহিনীর কাছে থাকা আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের উপর ব্যবহার করতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে মুক্তিযোদ্ধারা কৌশলে দুটি দলে বিভক্ত হয়ে শত্রুকে আক্রমন করতে থাকে। এ অব¯থায় যেকোন একজনকে কাভারিং ফায়ার দিয়ে নিজ দলকে বাঁচাতে হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান জামান স্বাভাবিক ফায়ারের দায়িত্ব নিয়ে শহীদ হন। পিছু হটার সময় তারা অন্য সাথীদের বাঁচাতে পারলেও শহীদ হন বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান জামান, সাইফুদ্দিন তারেক, রওশন আলম, আলাউল ইসলাম খোকন, আবুল কাশেম, রবিউল ইসলাম, কিয়ামুদ্দিন ও আফাজ উদ্দীন। পাকবাহিনী তাদেরকে ঘিরে ফেলে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে। তবে এই সম্মুখ যুদ্ধে পাকবাহিনীর অনেক সদস্য মারা যায় এবং আহত হয়। পরে পাকবাহিনীর ক্যাপ্টেনের নির্দেশে জগন্নাথপুর গ্রামের মানুষ রাস্তার পাশে দুইটি কবরে চারজন করে আটজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার লাশ কবর দেয়। কালক্রমে এই আটজন মুক্তিযোদ্ধার কবরকে ঘিরেই এ স্থানটির নামকরন হয়েছে আটকবর। এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখতে সকলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আগামী প্রজন্মকে সঠিক ধারণা দিতে হবে।
আলোচনা সভার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ৮ শহীদের সহযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আজগার ফটিক। জেলা আ’লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন, দামুড়হুদা উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মন্জু, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি নাসির উদ্দীন জোয়ার্দ্দার, মোশারফ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগাঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান লিটু, এড. আব্দুল মালেক, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. নুরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক এড. আবু তালেব, প্রচার সম্পাদক ফেরদৌস আরা সুন্না, সহ প্রচার সম্পাদক শওকত আলী, জীবননগর উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক নজরুল ইসলাম, কুড়ালগাছি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুল্লা বাহার, নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান আজিজ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, আবু হোসেন, উপজেলা কমান্ডার আশু বাঙ্গালি, শহীদ খান, মোস্তফা খান।
এদিকে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও নেতাকর্মীদের নিয়ে আলোচনা সভায় অংশ নেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক ও সহ-সভাপতি সাহাবুল হোসেন। এ সময় সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম, আ: কাদের, আ: রশীদ, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি রুবাইত আজাদ বিন আজাদ সুস্তির, দর্শনা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক বাকি বিল্লাহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।