ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহ অংশের ৪৫কিলোমিটার ব্যস্ততম রাস্তা ভেঙেচুরে যান চলাচলে অনুপযোগী মৃত্যু ফাঁদের সৃষ্টি : অত্যান্ত ঝুঁকি নিয়েই চলছে চলাচলকারী যানবাহনগুলো

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:২২:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ২৯৯ বার পড়া হয়েছে

Jhenidah-Road-Photo

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের ঝিনাইদহ অংশের ৪৫কিলোমিটার ব্যস্ততম রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যোগাযোগ মন্ত্রী ওবাইদুল কাদের ঝিনাইদহ সফরের আগে দুই মাস আগে সড়কটি মেরামত করলেও বেশ কিছু জায়গায় ভেঙ্গেচুরে যান চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে ওই সড়কের। কমপক্ষে ২০টি স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পিস ও পাথর কুচি উঠে মৃত্যু ফাঁদের সৃষ্টি হয়েছে গোটা সড়ক জুড়ে। চলাচলকারী যানবাহনগুলো অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়েই চলছে। মাসের পর মাস এই অবস্থা বিরাজ করলেও কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই। ফলে মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও পথচারীদের কষ্টের শেষ নেই। সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, আরো কিছুদিন কষ্ট করতে হবে সবাইকে। তারা আপাতত যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে গর্ত ভরাটের কাজ করছেন। সড়কের বাকি ক্ষতিগ্রস্থ স্থানগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করে মেরামত করা হবে। যা অল্পদিনেই করতে পারবেন বলে তারা আশা করেন। ঝিনাইদহ-যশোর-কুষ্টিয়া মহাসড়কের ঝিনাইদহ থেকে বারোবাজার পর্যন্ত বড় বড় গর্তের কারনে চলাচল করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে যানবাহন ও পথচারীদের। কমপক্ষে ২০টি স্থানে ভেঙ্গেচুরে এই গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যে স্থানগুলো বেশি খারাপ সেখান দিয়ে ভারি যানবাহনগুলো চলাচল করতে পারছে না। কোনো কোনো স্থানে এতোই খারাপ যে চলাচল করাই দায় হয়ে পড়েছে। অনেক যানবাহনের চালক ভাঙ্গাচুরা স্থানে ব্যবহার করছেন পাশের মাটির রাস্তা। আর মাটির উপর দিয়ে যাত্রী বোঝায় যানবাহন চলাচল করায় প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার লাউদিয়, তেতুলতলা বাজার, বিষয়খালী এলাকা, কয়ারগাছি, বেজপাড়া, বাকুলিয়া, কালীগঞ্জ কলেজ মোড়, বৈশাখী পেট্রোল পাম্প এলাকা, মোবারকগঞ্জ চিনিকলের সামনে, ফুলবাড়ি এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে এই স্থানগুলো ভেঙ্গেচুরে ক্ষতি হয়। মাঝে মধ্যে ইট-বালি দিয়ে গর্তগুলো ভরাট করা হলেও সেই মেরামত দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ঝিনাইদহ-যশোর-কুষ্টিয়া সড়কে চলাচলকারী একটি যাত্রীবাহি বাসের চালক নজরুল ইসলাম জানান, বাস বোঝাই যাত্রী নিয়ে এই ভাঙ্গাচুরা রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করতে হয়। অনেক স্থানে মাটির উপর দিয়ে চলতে বাধ্য হন তারা। এতে তারা সব সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। ৪৫ মিনিটের রাস্তা পার হতে এক ঘন্টাও লেগে যায় তাদের। একই সড়কে চলাচলকারী ট্রাক চালক আজিজুল ইসলাম জানান, তারা যখন মালামাল বোঝায় ট্রাক নিয়ে যান তখন খুবই কষ্ট করে যেতে হয়। সামান্য কারনে উল্টে যাওয়ার ভয় হয়। বেবি চালক অরুন কুমার জানান, ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে বড় বড় গাড়িগুলো কিছুটা যেতে পারলেও তাদের ছোট গাড়ি নিয়ে চলাচল করা কোনো ভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। তিনি দাবি করেন ভাঙ্গা জায়গাগুলো দ্রুত মেরামত করে চলাচল উপযোগি করা হোক। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সেলিম আজাদ খাঁন জানান, মহাসড়কের কিছু কিছু স্থানে অবস্থা খারাপ এটা ঠিকই। তবে তারা আপাতত চলাচলের জন্য মেরামত করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি সড়ক মেরামতের জন্য টেন্ডার আহবানের কাজ চলছে। দ্রুত টেন্ডার সম্পন্ন করে রাস্তা মেরামতের কাজ করতে পারবেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ঝিনাইদহ অংশের ৪৫কিলোমিটার ব্যস্ততম রাস্তা ভেঙেচুরে যান চলাচলে অনুপযোগী মৃত্যু ফাঁদের সৃষ্টি : অত্যান্ত ঝুঁকি নিয়েই চলছে চলাচলকারী যানবাহনগুলো

আপলোড টাইম : ০১:২২:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০১৭

Jhenidah-Road-Photo

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের ঝিনাইদহ অংশের ৪৫কিলোমিটার ব্যস্ততম রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যোগাযোগ মন্ত্রী ওবাইদুল কাদের ঝিনাইদহ সফরের আগে দুই মাস আগে সড়কটি মেরামত করলেও বেশ কিছু জায়গায় ভেঙ্গেচুরে যান চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে ওই সড়কের। কমপক্ষে ২০টি স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পিস ও পাথর কুচি উঠে মৃত্যু ফাঁদের সৃষ্টি হয়েছে গোটা সড়ক জুড়ে। চলাচলকারী যানবাহনগুলো অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়েই চলছে। মাসের পর মাস এই অবস্থা বিরাজ করলেও কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই। ফলে মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও পথচারীদের কষ্টের শেষ নেই। সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, আরো কিছুদিন কষ্ট করতে হবে সবাইকে। তারা আপাতত যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে গর্ত ভরাটের কাজ করছেন। সড়কের বাকি ক্ষতিগ্রস্থ স্থানগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করে মেরামত করা হবে। যা অল্পদিনেই করতে পারবেন বলে তারা আশা করেন। ঝিনাইদহ-যশোর-কুষ্টিয়া মহাসড়কের ঝিনাইদহ থেকে বারোবাজার পর্যন্ত বড় বড় গর্তের কারনে চলাচল করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে যানবাহন ও পথচারীদের। কমপক্ষে ২০টি স্থানে ভেঙ্গেচুরে এই গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যে স্থানগুলো বেশি খারাপ সেখান দিয়ে ভারি যানবাহনগুলো চলাচল করতে পারছে না। কোনো কোনো স্থানে এতোই খারাপ যে চলাচল করাই দায় হয়ে পড়েছে। অনেক যানবাহনের চালক ভাঙ্গাচুরা স্থানে ব্যবহার করছেন পাশের মাটির রাস্তা। আর মাটির উপর দিয়ে যাত্রী বোঝায় যানবাহন চলাচল করায় প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার লাউদিয়, তেতুলতলা বাজার, বিষয়খালী এলাকা, কয়ারগাছি, বেজপাড়া, বাকুলিয়া, কালীগঞ্জ কলেজ মোড়, বৈশাখী পেট্রোল পাম্প এলাকা, মোবারকগঞ্জ চিনিকলের সামনে, ফুলবাড়ি এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে এই স্থানগুলো ভেঙ্গেচুরে ক্ষতি হয়। মাঝে মধ্যে ইট-বালি দিয়ে গর্তগুলো ভরাট করা হলেও সেই মেরামত দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ঝিনাইদহ-যশোর-কুষ্টিয়া সড়কে চলাচলকারী একটি যাত্রীবাহি বাসের চালক নজরুল ইসলাম জানান, বাস বোঝাই যাত্রী নিয়ে এই ভাঙ্গাচুরা রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করতে হয়। অনেক স্থানে মাটির উপর দিয়ে চলতে বাধ্য হন তারা। এতে তারা সব সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। ৪৫ মিনিটের রাস্তা পার হতে এক ঘন্টাও লেগে যায় তাদের। একই সড়কে চলাচলকারী ট্রাক চালক আজিজুল ইসলাম জানান, তারা যখন মালামাল বোঝায় ট্রাক নিয়ে যান তখন খুবই কষ্ট করে যেতে হয়। সামান্য কারনে উল্টে যাওয়ার ভয় হয়। বেবি চালক অরুন কুমার জানান, ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে বড় বড় গাড়িগুলো কিছুটা যেতে পারলেও তাদের ছোট গাড়ি নিয়ে চলাচল করা কোনো ভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। তিনি দাবি করেন ভাঙ্গা জায়গাগুলো দ্রুত মেরামত করে চলাচল উপযোগি করা হোক। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সেলিম আজাদ খাঁন জানান, মহাসড়কের কিছু কিছু স্থানে অবস্থা খারাপ এটা ঠিকই। তবে তারা আপাতত চলাচলের জন্য মেরামত করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি সড়ক মেরামতের জন্য টেন্ডার আহবানের কাজ চলছে। দ্রুত টেন্ডার সম্পন্ন করে রাস্তা মেরামতের কাজ করতে পারবেন।