গাংনীতে পর স্ত্রীর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় বেরসিক জনতার হাতে আটক

- আপডেট সময় : ০৮:১৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৬ ২৯৩ বার পড়া হয়েছে
গাংনী অফিস: গাংনী উপজেলার গাড়াডোব-পোড়াপাড়া গ্রামে বাবার বাড়ীতে স্বামীর অবর্তমানে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে গভীর রাতে দুই সন্তানের জননী সালমা খাতুন (৩২) অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকাবস্থায় স্বামীসহ বেরসিক জনতার হাতে ধরা পড়ার মত ঘঁটনা ঘটেছে। বেরসিক প্রতিবেশী ও স্বামীর হাতে নারী লোভী লম্পট মনিরুল ইসলাম (৩৮) গ্যাড়াকলে পড়ে। লম্পট মনিরুল ইসলামের ধরাপড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে মনিরুল ঘরের গ্রীল ভেঙ্গে পালাতে চেষ্টা করে। এসময় স্বামী রহিদুল ইসলাম ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিলে ধর্ষক মনিরুলের হাতের আঙ্গুল কেটে যায়। একপর্যায়ে স্থানীয় মাস্তানদের সহযোগিতায় মনিরুল ইসলামের এক আঙ্গুল কাটা অবস্থায় পালিয়ে যায়। সবজি ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম একই গ্রামের ইটঁভাটা পাড়ার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, পোড়াপাড়ার হঠাৎপাড়ার মৃত সামসুল আলীর স্ত্রী তাহেরা খাতুন তার দুই মেয়ে সালমা খাতুন ও হালিমা খাতুনকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। প্রায়শঃ তার বাড়ীতে অচেনা লোকজনের আসা-যাওয়া চলে। ইতোপূর্বে বেশ কয়েকজনের সাথে অবৈধ মেলা মেশার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার দিনগত গভীর রাতে স্ত্রীর সাথে প্রতিবেশী মনিরুল ইসলামের অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ার সন্দেহ হলে নিকটস্থ শ্বশুর বাড়ীতে লোকজনসহ ঢুকেই পরে স্বামী রহিদুল। এসময় অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকাবস্থায় হাতে নাতে লম্পটকে ধরে ফেলে। পরে ধাঁরালো অস্ত্রের কোপ খেয়ে কৌশলে পালিয়ে গেলেও সালমার ঘরে রক্তের ছাপ রেখে গেছে।
আরো জানা গেছে, লম্পট মনিরুল ইসলামরা গ্রামের প্রভাবশালী ও দুর্দান্ত প্রকৃতির হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না। মনিরুল ইসলামের ভাই মোমিন তার স্ত্রীকে হত্যা করায় বর্তমানে ফেরারী আসামী। এ ব্যাপারে পোড়াপাড়া বাসষ্ট্যান্ড পাড়ার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রহিদুল ইসলাম জানান, তিনি পারিবারিক জীবনে দুই সন্তানের জনক। ১৬-১৭ বছর আগে একই গ্রামের প্রতিবেশী সালমা খাতুনের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর সাথে ভুল বোঝাবুঝি চলতে থাকে। পরিবারে দ্বন্দ্ব হলে ৪ মাস যাবৎ মায়ের কাছে সালমা অবস্থান করছে। সে আমার উপর অভিমান করে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। আমি এদের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছি। আমি উপযুক্ত বিচার চাই। জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় গ্রামে সালিশ মিমাংসার উদ্যোগ নেয়া হলেও লম্পট মনিরুল ইসলাম সালিসে উপস্থিত হয়নি।