পাঁচ প্রশ্নে হিসেবনিকেশ

- আপডেট সময় : ১১:৫৬:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০১৬ ৪০৯ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: আল্লাহ তায়ালা মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। পার্থিব জীবন মানুষেরা কীভাবে কাটায় এর ওপর নির্ভর করে পরকালে তার অনন্তকালের জীবন। যারা দুনিয়াতে যথার্থ পাথেয় সংগ্রহ করে যায় তাদের জন্য পরকালে কোনো ভাবনা নেই। আর যারা হেলায়-খেলায় কাটিয়ে দেয় দুনিয়ার জীবন তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। এ জন্য দুনিয়ার জীবনকে বলা হয় পরকালের প্রস্তুতির উপযুক্ত ক্ষেত্র। মানুষ দুনিয়ার জীবনে যা কিছু অর্জন করবে এর ফলই ভোগ করবে পরকালে। এই জগতে আমরা কেউই চিরকাল থাকতে পারব না। প্রত্যেকেরই জীবনের সমাপ্তি ঘটবে একদিন না একদিন। পরকালের জীবনের শুরু আছে কিন্তু এর কোনো শেষ নেই। এজন্য পার্থিব জীবন কোনোভাবে কাটানো সম্ভব হলেও পরকালের জীবন কোনোরকম কাটানোর সুযোগ নেই। তাই পরকাল সুন্দরের চেষ্টা মুমিনের প্রধান দায়িত্ব। মৃত্যুর পর মানুষের পার্থিব জীবনের হিসাব-নিকাশ নেয়া হবে। যারা যথার্থ উত্তর দিতে পারবে তাদের জন্য রয়েছে অনন্ত-সুখের জান্নাত। আর যারা উত্তর দিতে পারবে না তাদের জন্য রয়েছে নিকৃষ্টতম জাহান্নাম। মানুষ জান্নাতি হোক অথবা জাহান্নামি তাকে পার্থিব জীবন সম্পর্কে অবশ্যই পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এই প্রশ্নগুলো এতটাই কমন যে, আল্লাহ তায়ালা তাঁর নবীর মাধ্যমে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন। মৃত্যুর পরে আল্লাহ তায়ালা সবাইকে বিচারের জন্যে সমবেত করবেন। যাকে কোরআনে বলা হয়েছে ‘ইয়াউমুল হাশর’ বা সমবেত হওয়ার দিন। সেই হাশরের ময়দানেই প্রশ্নগুলো করা হবে। তিরমিজি শরিফে আছে, রাসুল (সা.) বলেন, সেই দিন পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে কোনো আদম সন্তান এক কদমও নাড়াতে পারবে না। প্রথম প্রশ্ন হলো, ‘তুমি তোমার সারাজীবন কোন পথে কাটিয়েছো?’ পুরো জীবনের হিসাব তখন পেশ করতে হবে। এরপর প্রশ্ন করা হবে, ‘যৌবনকালে কোন আমল করেছো?’ যেহেতু জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ যৌবনকাল এজন্য যৌবনকাল সম্পর্কে হিসাব দিতে হবে। তৃতীয় ও চতুর্থ প্রশ্ন করা হবে তার পার্থিব সম্পদ সম্পর্কে। জিজ্ঞেস করা হবে, ‘ধন-সম্পদ কোন পথে উপার্জন করেছো?’ এবং ‘কোন পথে ধন সম্পদ ব্যয় করেছো?’ আর সবশেষ প্রশ্ন করা হবে, ‘দীন ইসলাম সম্পর্কে যতটুকু জেনেছো, সে অনুযায়ী কতটুকু আমল করেছ।’