মেহরেপুর থানার ওসি এবং আইও এসআই কেসি পালকে স্বশরীরে আদালতে হাজিরের নির্দেশ : এএসপি সার্কেলকে শোকজ

- আপডেট সময় : ০২:০৫:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ অগাস্ট ২০১৬ ৪৯৪ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: মেহেরপুর পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতারকৃত আসামীর রিমান্ডে আবেদনের সাথে মামলার সিডি প্রেরন না করায় মেহেরপুর আমলী আদালত-১ এর বিজ্ঞ বিচারক, প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ছানাউল্ল্যাহ মেহেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ও মামলার
তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই কার্ত্তীক চন্দ্র পালকে স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে এবং মেহেরপুর এএসপি (সদর) সার্কেলকে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে লিখিত কারণ ব্যাখ্যার আদেশ দিয়েছেন।
আদালতে সূত্রে জানা যায়, মেহেরপুর থানা পুলিশ চন্দন ও শাহীন নামের দু’জনকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১ আগষ্ট গ্রেফতার করে ২ আগষ্ট আদালতে সোপর্দপূর্বক জিআর ৩০১/১৬ (মেহেরপুর) মামলায় রিমান্ডে আবেদন করে শুনানীতে উল্লেখ করেন-উক্ত আসামীগন পলাতক আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীর সাথে গত ০১/০৮/১৬ইং তারিখে রাত ১.৩৫ মিনিটের দিকে মেহেরপুর পৌরসভাধীন শিশুবাগান পাড়াস্থ জনৈক কামরু কমিশনারের আমবাগানে বসে বিভিন্ন প্রকার অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণ করছিল মর্মে স্বাক্ষী প্রমান পাওয়া যাচ্ছে। মামলাটির সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে মামলার রহস্য উদঘাটন, পলাতক আসামী গ্রেফতার ও অজ্ঞাতনামা আসামীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহের লক্ষ্যে এবং আসামীদের নিকট আরও অস্ত্র থাকলে তা উদ্ধারে আসামীদেরকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞেসাবাদ করা প্রয়োজন। আসামী পক্ষের কৌশুলী রিমান্ড দরখাস্তের বিষয়ে তীব্র বিরোধীতা করেন।
প্রসিকিউশনের বক্তব্য এজাহার, এফ আই আর, পুলিশ ফরোয়ার্ডিং, রিমান্ডের দরখাস্ত ও নথি পর্যালোচনায় বিজ্ঞ আদালত দেখতে পান, আসামীদের রিমান্ডের প্রার্থনায় তদন্তকারী কর্মকর্তার দাখিলীয় দরখাস্ত সংশ্লিষ্ট অফিসার ইনচার্জ, মেহেরপুর থানা ও এএসপি (সার্কেল), মেহেরপুর আদালতে ফরোয়ার্ড করলেও উক্ত রিমান্ডের দরখাস্তের সাথে সিডির কপি আদালতে প্রেরন করেননি। আসামীদ্বয়কে গত ০১/০৮/১৬ তারিখে গ্রেফতার করে ০২/০৮/১৬ তারিখে আদালতে সোপর্দ করা হলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক আসামীদের আদালতে ফরোয়ার্ড করার সময় সিডির কপিসহ রিমান্ডের আবেদনও করেননি। আবার আসামীদ্বয়কে আদালতে ফরোয়ার্ড করার সময় সিডির কোন কপি আসামীর চালান ফরোয়ার্ডিং-এর সাথে বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট প্রেরণ করেননি।
আদালত আলোচনা ও পর্যবেক্ষনে তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক আসামী চন্দন শেখ ও মোঃ শাহিনের রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করেন। সেইসাথে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কার্ত্তীক চন্দ্র পালকে আইনগতভাবে সিডির কপি আদালতে প্রেরনে বাধ্য হওয়া সত্ত্বেও সিডির কপি ব্যতীত রিমান্ডের দরখাস্ত আদালতে প্রেরণ, আবার রিমান্ড দরখাস্তের সাথে সিডির কপি না থাকা সত্ত্বেও মেহেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ও এএসপি (সার্কেল), মেহেরপুর রিমান্ডের দরখাস্ত ও আদালতে প্রেরণ করে বিচার বিভ্রাট সৃষ্টির মাধ্যমে বিচারিক কাজে অসহযোগিতার কারণের ব্যাখ্যা চেয়ে আগামী ১১/০৮/২০১৬ইং তারিখে অফিসার ইনচার্জ, মেহেরপুর থানা ও সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কার্ত্তীক পাল চন্দ্র পালকে আদালতে স্বশরীরে হাজির হয়ে এবং এএসপি (সার্কেল), মেহেরপুরকে উক্ত তারিখের মধ্যে বর্ণিত বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেন।