চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপি মেলা : শেষ হইয়াও, হচ্ছে না শেষ!

- আপডেট সময় : ০৫:৩৭:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ অগাস্ট ২০১৬ ৮৫২ বার পড়া হয়েছে
হাসান গাফ্ফার সেলিম আমার দোস্ত বললেন প্রাক্তন আয়োজক শুকুর আলী
আজ ভাঙছে রসের মেলা! শেষ হইয়াও, হচ্ছে না শেষ!
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি মোকামতলায় সার্কাস, যাত্রাপালা, র্যাফেল ড্র ও গৃহস্থলী সামগ্রী পরিচালনার জন্য গত ১ আগষ্ট ২০১৬ইং তারিখ থেকে ৭ আগষ্ট ২০১৬ইং তারিখ পর্যন্ত জেলা প্রশাসক, চুয়াডাঙ্গা ০৫.৪৪.১৮০০.১০০.৭০.০০১.১৬.২০০৭(৩) ২০১৬ইং তারিখের আবেদনের প্রেক্ষিতে ১ আগষ্ট ২০১৬ইং তারিখ থেকে ৭ই আগষ্ট ২০১৬ইং স্মারকে ১২টি শর্ত সাপেক্ষে নতুন করে আবেদনকারী হাসান গাফফার সেলিমকে অনুমতি প্রদান করেন। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড এই মেলা পরিচালনায় আপারগতা প্রকাশ করায়, তিতুদহ গ্রামের জনৈক হাসান গাফফার সেলিম একদিনে আবেদন করে দিনের দিন মেলা পরিচালনার জন্য ৭দিনের অনুমোদন পান। এ হাসান গাফফার সেলিমের কোন খোজঁ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এই হাসান গাফফার সেলিমের পরিচয় সম্পর্কে প্রথম অনুমমোদন প্রাপ্ত আলোচিত শুকুর বলেন, সে আমার দোস্ত, বাড়ি বগুড়ায়। আমি তার নামেই এই অনুমোদন নিয়েছি। অনুমোদনপ্রাপ্ত অস্তিত্ত্বহীন হাসান গাফফার সেলিমের মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। এলাকায় জোর গুঞ্জন এই মেলা শেষ হইয়াও হচ্ছে না শেষ..! গড়াইটুপি ঐতিহ্যবাহী মেলার নতুন করে একমাস সময় বাড়ানোর জন্য আবারো জোর তৎপরতা চালাচ্ছে প্রথম অনুমোদনপ্রাপ্ত তিতুদহের আলোচিত শুকুর আলী বলে জানা গেছে। শুক্রবার রাতে সরেজমিনে গেলে দেখা যায় যাত্রার নামে রাতভর চলছে অশ্লীল নিত্য আর অশ্লীলতায় ভরা গান। সব থেকে আশ্চর্য্যরে বিষয় হলো জাতির বিবেক মুক্তিযোদ্ধারা যখন এই মেলা পরিচালনা থেকে নিজেদের শুটিয়ে নিলো তখন বেনামি হাসান গাফফার সেলিম কিভাবে পায় সেটায় জনমনে প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছে। আবার কি এই মেলার বর্ধিতের অনুমোদন পাবে। এ ব্যাপারে নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানিয়েছেন, হাসান গাফফার সেলিম বগুড়া শিবগঞ্জ থানার মোকামতলা গ্রামের বাসিন্দা। এই হাসান গাফফার সেলিম বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মেলার ব্যবসা করেন বলে জানা গেছে।