ইসলামে সময়ের মূল্য

- আপডেট সময় : ১০:৪৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০১৬ ৪৪৪১ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: ইসলামের সব কর্মপদ্ধতিতে সময়ের মূল্য অপরিসীম। কিন্তু আমরা নানাভাবে অবহেলায় মূল্যবান সময় নষ্ট করি, ইবাদতে ব্যয় করি না। অথচ সুস্থতা আল্লাহর অপার নিয়ামত। বিষয়টি প্রিয় নবী (সা.) স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন এভাবে, ‘মানুষ দু’টি নিয়ামতের ব্যাপারে বড়ই উদাসীন, তা হলো- সুস্থতা ও অবসর’ -সহিহ বোখারি। তাই সময়ের মূল্য উপলব্ধি করা খুবই জরুরি। মানুষের সুকোমল মনোবৃত্তির অংশ তার সময়জ্ঞান। জীবন চলার বাঁকে বাঁকে সুখ-দুঃখের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ মানুষ ব্যাধি ও জরাগ্রস্ত হয়ে মৃত্যুর পথে এগিয়ে যায়। কাজেই সবাইকে সময় সচেতন হতে হবে। জ্ঞানীদের কাছে দুনিয়ার মূল্য খুব সামান্য, কিন্তু সময়ের মূল্য অনেক বেশি। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘এমনভাবে দুনিয়ায় বসবাস করো, যেন তুমি একজন মুসাফির অথবা পথ অতিক্রমকারী’ -সহিহ বোখারি। মানুষ অসুস্থতার আগে সুস্থতার এবং মৃত্যুর আগে জীবন যে মূল্যবান- সেটা বুঝতে চায় না। অথচ এটাই বাস্তবতা। জীবনে এক মিনিটের নেই কোনো ভরসা। হাদিসের শিক্ষা হলো, ‘নিজের হিসাব নিজে করা, হিসাব দেওয়ার আগে, আমলগুলোর পরিমাপ করা ওই দিনের আগে, যেদিন তা পরিমাপ করা হবে এবং মরার আগেই মরে যাওয়া।’ শুধু তা-ই নয়, অন্য এক হাদিস থেকে জানা যায়, ‘যৌবনকাল কিভাবে অতিবাহিত করা হয়েছে’, তার হিসাব পরকালে দিতে হবে। আত্মপ্রত্যয় ও সময়জ্ঞান, জীবনসংগ্রাম-সাধনা সব কিছু পরস্পর সম্পৃক্ত। সময়জ্ঞান ও কর্তব্য চেতনার কারণেই মানুষের ভাগ্য স্থির হয়ে যায় এবং স্বয়ং আল্লাহতায়ালা তখন বান্দার অভিপ্রায়কেই যথার্থতা দান করেন। সময় হলো, এক অবাক বিস্ময় ও প্রতারণার খেলা! আমাদের প্রতিদিনের যাপিত জীবন খাতার ৮৬ হাজার ৪০০ সেকেন্ডের অব্যবহƒত একটি সেকেন্ডও আমরা কি জমা রাখতে পারি? না, বরং তা তো হারিয়ে যায় মহাকালের অতলান্ত গভীরে। প্রকৃতপক্ষে মানুষের জীবনে ওই কাজ আর কখনোই করা হয় না যা সুযোগ ও অবসরের জন্য রেখে দেয়া হয়। একটা কাজ শেষ না হতেই চলে আসে আরো হাজারো কাজ, অনেক অসুবিধা ও অজুহাত। বুদ্ধিমানরা প্রতিটি কাজ নগদে নগদ শুধু সেরেই ফেলেন না বরং একটি কাজের ফাঁকে আরেকটি কাজ জোর করে হলেও ঢুকিয়ে দেন। দেখা যায় দু’টি কাজই তার হয়ে যায়। কিন্তু আফসোস হয় অলসদের জন্য।