চুয়াডাঙ্গা ০১:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কালিদাসপুর স্টুডিও’র মধ্যে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গণধোলাই নাগদাহ ও খাসকররা ইউনিয়ন আ.লীগের কর্মী সভায় এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামিম রেজার ৫২তম জন্মবার্ষিকী পালন বারাদী ইউনিয়নে গণসংযোগ, পথসভা ও লিফলেট বিতরণকালে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্বেচ্ছাসেবকদের বিরুদ্ধে রোগীর স্বজনের অভিযোগ আলমডাঙ্গায় পুত্রবধূর বটির কোপে শাশুড়ি জখম বাংলাদেশিদের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া নিউজিল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে পুলিশ-আমলা-বিচারাঙ্গন সবার মধ্যে আতঙ্ক আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা

বিশ্বে প্রতি ১০ জনে একজন ক্ষুধার্ত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৭:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৮ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সমীকরণ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সমীকরণ প্রতিবেদন:
পৃথিবীতে এই মুহূর্তে ৭০ কোটি মানুষ জানেন না, তারা আবার কখন খেতে পাবেন বা আদৌ পাবেন কিনা। প্রতি ১০ জনে এক জন ক্ষুধার্ত অবস্থায় রাতে ঘুমাতে যান। জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থার পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার এই হিসাব পেশ করা হয়েছে। সংস্থার উদ্বেগ, ক্ষুধার সংকট ক্রমবর্ধমান। কিন্তু সংস্থার কোষাগার ক্রমশ খালি হয়ে আসছে। সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ

বিশ্ব খাদ্য প্রকল্পের কার্যনির্বাহী প্রধান সিন্ডি ম্যাকেন নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছেন, অনুদানের অভাবে খাদ্য রেশনে কাটছাঁট করতে হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতেও তা করতে হবে।

সিন্ডি প্রয়াত আমেরিকান সিনেটর জন ম্যাকেনের স্ত্রী। নিরাপত্তা পরিষদে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, “আমরা এমন সব ঘটমান এবং দীর্ঘমেয়াদি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, যাতে মানবিক অভাব-অনটন বেড়ে যাচ্ছে। এটাই এখন ‘নিউ নরমাল’। এর ধাক্কা আরও অনেক বছর ধরে ভুগতে হবে।”

এই সংকটের মধ্যে রয়েছে সামরিক সংঘর্ষ, অর্থনৈতিক ধাক্কা, পরিবেশের সংকট ও সারের দাম বৃদ্ধি। এসবের মিলিত অভিঘাতে, বিশ্ব খাদ্য প্রকল্পের নিজস্ব হিসাব বলছে, ৫০টি দেশে চার কোটি ৭০ লাখ মানুষ এখন দুর্ভিক্ষের ঠিক আগের অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন। পাঁচের কম

বয়সি সাড়ে চার কোটি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে।

বিশ্ব খাদ্য প্রকল্পের (ডাবিস্নউএফপি) সদর দপ্তর রোমে। ৭৯টি দেশে কাজ করে তারা। সেখানে ৭৮ কোটির বেশি মানুষের মধ্যে প্রতি ১০ জনে একজনকে প্রতি রাতে ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যেতে হয়। সাড়ে ৩৪ কোটির বেশি মানুষের কাছে খাদ্যের কোনো নিরাপত্তা নেই। এই সংখ্যাটা ২০২১ সালের শুরুর চেয়ে ২০ কোটি কম ছিল বলে ডাবিস্নউএফপি জানিয়েছে।

করোনা মহামারি ও ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি অনেক বেশি জটিল করে তুলেছে বলে সরাসরিই মানছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা। সারের দাম বাড়ায় ধান, গম, ভুট্টা, সয়াবিনের ফলন কমেছে। এ অবস্থায় ক্ষুধার সংকটকে সামাল দিতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে ডাবিস্নউএফপি। বাণিজ্যিক সংস্থাগুলো অবশ্য এতে নারাজি নয়। ‘মাস্টারকার্ড’র সিইও মাইকেল মিব্যাচ যেমন নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠকে বলেছেন, ‘এত দিন ত্রাণের কাজটা সরকারের হাতেই থেকেছে। বাণিজ্যিক সংস্থাগুলো অর্থ জুগিয়েছে। কিন্তু তারা চাইলে এর বেশিও করতে পারে। সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে পারে।’

‘গোল্ডম্যান স্যাক্স’র পক্ষ থেকে জ্যারেড কোহেন বলেন, এমন অনেক বহুজাতিক সংস্থা আছে, যাদের আয় জি-২০-ভুক্ত কিছু দেশের জিডিপির চেয়ে বেশি। এই সংকটকালে তাদের অনেক বেশি করে দায়িত্ব নিতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিশ্বে প্রতি ১০ জনে একজন ক্ষুধার্ত

আপডেট সময় : ০৮:৫৭:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:
পৃথিবীতে এই মুহূর্তে ৭০ কোটি মানুষ জানেন না, তারা আবার কখন খেতে পাবেন বা আদৌ পাবেন কিনা। প্রতি ১০ জনে এক জন ক্ষুধার্ত অবস্থায় রাতে ঘুমাতে যান। জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থার পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার এই হিসাব পেশ করা হয়েছে। সংস্থার উদ্বেগ, ক্ষুধার সংকট ক্রমবর্ধমান। কিন্তু সংস্থার কোষাগার ক্রমশ খালি হয়ে আসছে। সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ

বিশ্ব খাদ্য প্রকল্পের কার্যনির্বাহী প্রধান সিন্ডি ম্যাকেন নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছেন, অনুদানের অভাবে খাদ্য রেশনে কাটছাঁট করতে হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতেও তা করতে হবে।

সিন্ডি প্রয়াত আমেরিকান সিনেটর জন ম্যাকেনের স্ত্রী। নিরাপত্তা পরিষদে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, “আমরা এমন সব ঘটমান এবং দীর্ঘমেয়াদি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, যাতে মানবিক অভাব-অনটন বেড়ে যাচ্ছে। এটাই এখন ‘নিউ নরমাল’। এর ধাক্কা আরও অনেক বছর ধরে ভুগতে হবে।”

এই সংকটের মধ্যে রয়েছে সামরিক সংঘর্ষ, অর্থনৈতিক ধাক্কা, পরিবেশের সংকট ও সারের দাম বৃদ্ধি। এসবের মিলিত অভিঘাতে, বিশ্ব খাদ্য প্রকল্পের নিজস্ব হিসাব বলছে, ৫০টি দেশে চার কোটি ৭০ লাখ মানুষ এখন দুর্ভিক্ষের ঠিক আগের অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন। পাঁচের কম

বয়সি সাড়ে চার কোটি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে।

বিশ্ব খাদ্য প্রকল্পের (ডাবিস্নউএফপি) সদর দপ্তর রোমে। ৭৯টি দেশে কাজ করে তারা। সেখানে ৭৮ কোটির বেশি মানুষের মধ্যে প্রতি ১০ জনে একজনকে প্রতি রাতে ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যেতে হয়। সাড়ে ৩৪ কোটির বেশি মানুষের কাছে খাদ্যের কোনো নিরাপত্তা নেই। এই সংখ্যাটা ২০২১ সালের শুরুর চেয়ে ২০ কোটি কম ছিল বলে ডাবিস্নউএফপি জানিয়েছে।

করোনা মহামারি ও ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি অনেক বেশি জটিল করে তুলেছে বলে সরাসরিই মানছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা। সারের দাম বাড়ায় ধান, গম, ভুট্টা, সয়াবিনের ফলন কমেছে। এ অবস্থায় ক্ষুধার সংকটকে সামাল দিতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে ডাবিস্নউএফপি। বাণিজ্যিক সংস্থাগুলো অবশ্য এতে নারাজি নয়। ‘মাস্টারকার্ড’র সিইও মাইকেল মিব্যাচ যেমন নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠকে বলেছেন, ‘এত দিন ত্রাণের কাজটা সরকারের হাতেই থেকেছে। বাণিজ্যিক সংস্থাগুলো অর্থ জুগিয়েছে। কিন্তু তারা চাইলে এর বেশিও করতে পারে। সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে পারে।’

‘গোল্ডম্যান স্যাক্স’র পক্ষ থেকে জ্যারেড কোহেন বলেন, এমন অনেক বহুজাতিক সংস্থা আছে, যাদের আয় জি-২০-ভুক্ত কিছু দেশের জিডিপির চেয়ে বেশি। এই সংকটকালে তাদের অনেক বেশি করে দায়িত্ব নিতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।