জেগে উঠুন, এই সরকারকে পরাজিত করুন : ফখরুল

- আপডেট সময় : ০৮:৫০:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১০ বার পড়া হয়েছে
সমীকরণ প্রতিবেদন:
‘ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে’ রোববার বগুড়া থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে বিএনপি’র তারুণ্যের রোড মার্চ শুরুর উদ্বোধনী বক্তব্যে বিএনপি’র মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জনগণকে জেগে উঠে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, জেগে উঠুন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করুন।’ ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে রাজপথে রুখে দাঁড়াতে হবে। শেখ হাসিনার সরকার থাকলে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। একটাই দাবি- ভোটের অধিকার ফিরে পেতে শেখ হাসিনার পদত্যাগ। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়ে বলেন, তাকে মিথ্যা মামলায় আটকে রাখা হয়েছে। খালেদা জিয়া হাসপাতালে মৃতু্যর সঙ্গে লড়ছেন। সরকারকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘সাঈদী সাহেবকে’ যেভাবে জেলে আটকে রেখে এক প্রকার মেরে ফেলা হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রেও উদ্দেশ্য একই।
যুবদল ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিএনপি’র রাজশাহী বিভাগীয় সাংগাঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, বগুড়া জেলা বিএনপি’র সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনাসহ ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও বিএনপি’র অন্য নেতারা এতে বক্তব্য রাখেন। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা রোড মার্চ বহরের ট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও মোটর সাইকেলের কারণে আশপাশের এলাকাজুড়ে তীব্র যানজট তৈরি হয়। এতে বগুড়া-নওগাঁ সড়কে সমাবেশ স্থলের এলাকা ঘিরে দীর্ঘসময় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের শুধু ভোট নয়, ভাতের অধিকারের জন্যও লড়াই করতে হচ্ছে। কারণ চাল-ডালসহ নিত্য প্রতিটি পণ্যের দাম আকাশচুম্বী। অথচ সরকার ভোটের আগে দশ টাকা কেজি চালের প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছিল। সরকার শুধু দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে ব্যর্থ হয়নি। রাষ্ট্র পরিচালনায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তারা জনগণের ভোটের অধিকার চুরি করেছে। সরকার চুরি করে আর অর্থ বিদেশে পাঠায়। বিদেশে বাড়িঘর তৈরি করেছে। তারা আবার ২০২৪ সালের নির্বাচনে ভোটচুরির পাঁয়তারা করছে। এবার মানুষ তাদের ভোটের অধিকার আর চুরি করতে দেবে না। বিশ্ব জেনে গেছে গত দুটি নির্বাচন ভোট চুরি হয়েছে। মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আর এখন বিএনপি যাতে ভোটে না আসতে পারে সেজন্য বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করা হচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপারসনকে মিথ্যা মামলা কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, চিকিৎসকরা বলেছেন তার চিকিৎসা আর দেশে করা সম্ভব না, বিদেশে চিকিৎসা করাতে হবে বার বার এ কথা বলা হয়েছে। আটকে রাখায় তিনি হাসপাতালে মৃতু্যর সঙ্গে লড়ছেন। তিনি আরও বলেন, জেগে উঠতে হবে, সমগ্র বাংলাদেশকে ঐকবদ্ধ করতে হবে। বুকের ওপর চেপে থাকা দানবীয় এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভোট চোরদের ছাড় দেওয়া যাবে না। রাজপথে থেকে সরকারকে বিদায় করতে হবে। আবার তারা ভোট চুরির পাঁয়তারা করছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের এই ভোট চোরদের মধ্যে দুর্বৃত্ত, সরকারি কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দলীয় কর্মকর্তারা রয়েছেন। এদের প্রতি নজর রাখা ও জেলায় তিনি বলেন এদের সঙ্গে বিচার বিভাগের একটি অংশ রয়েছে। নজর রেখে সবার তালিকা করে পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এদের শুধু আমেরিকার ভিসা বাতিল হবে না, দেশের ভিসাও বাতিল হবে। তিনি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে বলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অর্জন হলেই আন্দোলন সমাপ্ত হবে। সমাবেশ শেষে দুপুর পৌনে বারোটার দিকে রাজশাহীর উদ্দেশে লংমার্চ বগুড়া থেকে যাত্রা শুরু করে।