চুয়াডাঙ্গা ১২:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কালিদাসপুর স্টুডিও’র মধ্যে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গণধোলাই নাগদাহ ও খাসকররা ইউনিয়ন আ.লীগের কর্মী সভায় এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামিম রেজার ৫২তম জন্মবার্ষিকী পালন বারাদী ইউনিয়নে গণসংযোগ, পথসভা ও লিফলেট বিতরণকালে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্বেচ্ছাসেবকদের বিরুদ্ধে রোগীর স্বজনের অভিযোগ আলমডাঙ্গায় পুত্রবধূর বটির কোপে শাশুড়ি জখম বাংলাদেশিদের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া নিউজিল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে পুলিশ-আমলা-বিচারাঙ্গন সবার মধ্যে আতঙ্ক আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা

এই সরকারের পদত্যাগ ছাড়া ঘরে ফিরে যাবো না: ফখরুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৪:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৫ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সমীকরণ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সমীকরণ প্রতিবেদন:
এই সরকারের পদত্যাগ ছাড়া আমরা আর ঘরে ফিরে যাব না বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমাদের দাবি এক দফা, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। যদি আপনি পদত্যাগ না করেন, তাহলে জনগণ তৈরি হয়ে গেছে। সব আন্দোলনে লাখ লাখ মানুষের তরঙ্গ তৈরি হয়েছে। সেই উত্তাল তরঙ্গে এই সরকার ভেসে যাবে। এর পর জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে শপথ নেই এই সরকারের পদত্যাগ ছাড়া আমরা আর ঘরে ফিরে যাব না।
গতকাল শনিবার বেলা সোয়া ১১টায় রংপুর মহানগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের তারুণ্যের রোডমার্চের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই ঘোষণা দেন তিনি। যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
উদ্বোধনী বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে এই রোডমার্চ শুরু হলো। এই রোড মার্চ শেষ হবে সে দিন, যে দিন আমরা এই সরকারের পতন ঘটাতে পারবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করে তিনি বলেন, আপনাকে (শেখ হাসিনা) আর দেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সংসদ বিলুপ্ত করুন। পার্লামেন্ট ভেঙে দিন। আর নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। আপনাদের করা নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারবে না। তাই নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। তাতে জনগণ অংশগ্রহণ করবে। তারা যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। নতুন পার্লামেন্ট তৈরি হবে। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে।
রংপুর থেকে কেন রোডমার্চ সেই ব্যাখ্যা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রংপুরের মানুষের ঐতিহ্য হচ্ছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ঐতিহ্য। এখানে তেভাগা আন্দোলন হয়েছে। কৃষক বিপ্লব হয়েছে। কোনঠে বাহে জাগো সবায়, সেই সেøাগানের মালিক আপনারাই। আজকে এই রংপুর থেকেই আমাদের তরুণরা আপনাদের সবাইকে ডাক দিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষকে ডাক দিচ্ছে। ভয়াবহ আওয়ামী লীগ নামের এক স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ, লুটেরা, তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার জন্য আজকে তারা ডাক দিচ্ছে। সে কারণেই রংপুর থেকেই সেই রোডমার্চটি শুরু হচ্ছে।
রোডমার্চের কারণ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বন্ধুগণ কেন আমরা রোডমার্চ করছি। আপনারা জানেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। তার পর থেকেই তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, সুচিন্তিতভাবে এই বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্র নির্বাসন করার কাজটি করে যাচ্ছে। আজকে বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে না।
নিত্যপণ্যের দুর্মূল্যের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বাংলাদেশের মানুষ অসহায়, অতিষ্ঠ হয়ে গেছে দ্রব্যমূল্য নিয়ে। চালের দাম, সারের দাম, তেলের দাম সব কিছুর দাম কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। বিদ্যুতেরও দাম বেড়েছে অনেক। কিন্তু বিদ্যুৎ পায় না মানুষ। সেচ দিতে পারছে না কৃষক। আওয়ামী লীগ নেতারা রিজার্ভ চুরি করে পাচার করেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ব্যাংকগুলোতে দুর্নীতি করে চুরি করে আওয়াম লীগের লোকেরা বিদেশে টাকা পাচার করে দিচ্ছে। রিজার্ভ ক্রমে নিচের দিকে নেমে গেছে। পত্রপত্রিকা খুললেই দেখবেন রিজার্ভ কিভাবে কমে যাচ্ছে। রিজার্ভ তো তারা চুরি করছে। সেই সাথে এই সরকার অর্থনীতিকে সঠিকভাবে নিতে ব্যর্থ হয়েছে। যেহেতু সরকার নিজেরা দুর্নীতি করে নিজেরা টাকার পাহাড় তৈরি করেছে। সে কারণে আজকে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। সে কারণে আজকে অর্থনীতির চাকা ঘুরছে না। আজকে তরুণরা ভুগছে। অথচ তারাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ। আজ তরুণরা চাকরি পায় না। ব্যবসা বাণিজ্য করতে গেলে বিএনপির নাম গন্ধ যদি থাকে, তাহলে তারা ব্যবসাও করতে পারে না। এই সরকার গত ১৫ বছরে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

এই সরকারের পদত্যাগ ছাড়া ঘরে ফিরে যাবো না: ফখরুল

আপডেট সময় : ০৯:১৪:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:
এই সরকারের পদত্যাগ ছাড়া আমরা আর ঘরে ফিরে যাব না বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমাদের দাবি এক দফা, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। যদি আপনি পদত্যাগ না করেন, তাহলে জনগণ তৈরি হয়ে গেছে। সব আন্দোলনে লাখ লাখ মানুষের তরঙ্গ তৈরি হয়েছে। সেই উত্তাল তরঙ্গে এই সরকার ভেসে যাবে। এর পর জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে শপথ নেই এই সরকারের পদত্যাগ ছাড়া আমরা আর ঘরে ফিরে যাব না।
গতকাল শনিবার বেলা সোয়া ১১টায় রংপুর মহানগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের তারুণ্যের রোডমার্চের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই ঘোষণা দেন তিনি। যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
উদ্বোধনী বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে এই রোডমার্চ শুরু হলো। এই রোড মার্চ শেষ হবে সে দিন, যে দিন আমরা এই সরকারের পতন ঘটাতে পারবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করে তিনি বলেন, আপনাকে (শেখ হাসিনা) আর দেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সংসদ বিলুপ্ত করুন। পার্লামেন্ট ভেঙে দিন। আর নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। আপনাদের করা নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারবে না। তাই নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। তাতে জনগণ অংশগ্রহণ করবে। তারা যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। নতুন পার্লামেন্ট তৈরি হবে। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে।
রংপুর থেকে কেন রোডমার্চ সেই ব্যাখ্যা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রংপুরের মানুষের ঐতিহ্য হচ্ছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ঐতিহ্য। এখানে তেভাগা আন্দোলন হয়েছে। কৃষক বিপ্লব হয়েছে। কোনঠে বাহে জাগো সবায়, সেই সেøাগানের মালিক আপনারাই। আজকে এই রংপুর থেকেই আমাদের তরুণরা আপনাদের সবাইকে ডাক দিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষকে ডাক দিচ্ছে। ভয়াবহ আওয়ামী লীগ নামের এক স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ, লুটেরা, তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার জন্য আজকে তারা ডাক দিচ্ছে। সে কারণেই রংপুর থেকেই সেই রোডমার্চটি শুরু হচ্ছে।
রোডমার্চের কারণ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বন্ধুগণ কেন আমরা রোডমার্চ করছি। আপনারা জানেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। তার পর থেকেই তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, সুচিন্তিতভাবে এই বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্র নির্বাসন করার কাজটি করে যাচ্ছে। আজকে বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে না।
নিত্যপণ্যের দুর্মূল্যের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বাংলাদেশের মানুষ অসহায়, অতিষ্ঠ হয়ে গেছে দ্রব্যমূল্য নিয়ে। চালের দাম, সারের দাম, তেলের দাম সব কিছুর দাম কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। বিদ্যুতেরও দাম বেড়েছে অনেক। কিন্তু বিদ্যুৎ পায় না মানুষ। সেচ দিতে পারছে না কৃষক। আওয়ামী লীগ নেতারা রিজার্ভ চুরি করে পাচার করেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ব্যাংকগুলোতে দুর্নীতি করে চুরি করে আওয়াম লীগের লোকেরা বিদেশে টাকা পাচার করে দিচ্ছে। রিজার্ভ ক্রমে নিচের দিকে নেমে গেছে। পত্রপত্রিকা খুললেই দেখবেন রিজার্ভ কিভাবে কমে যাচ্ছে। রিজার্ভ তো তারা চুরি করছে। সেই সাথে এই সরকার অর্থনীতিকে সঠিকভাবে নিতে ব্যর্থ হয়েছে। যেহেতু সরকার নিজেরা দুর্নীতি করে নিজেরা টাকার পাহাড় তৈরি করেছে। সে কারণে আজকে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। সে কারণে আজকে অর্থনীতির চাকা ঘুরছে না। আজকে তরুণরা ভুগছে। অথচ তারাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ। আজ তরুণরা চাকরি পায় না। ব্যবসা বাণিজ্য করতে গেলে বিএনপির নাম গন্ধ যদি থাকে, তাহলে তারা ব্যবসাও করতে পারে না। এই সরকার গত ১৫ বছরে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে।