চুয়াডাঙ্গা ০২:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কালিদাসপুর স্টুডিও’র মধ্যে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গণধোলাই নাগদাহ ও খাসকররা ইউনিয়ন আ.লীগের কর্মী সভায় এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামিম রেজার ৫২তম জন্মবার্ষিকী পালন বারাদী ইউনিয়নে গণসংযোগ, পথসভা ও লিফলেট বিতরণকালে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্বেচ্ছাসেবকদের বিরুদ্ধে রোগীর স্বজনের অভিযোগ আলমডাঙ্গায় পুত্রবধূর বটির কোপে শাশুড়ি জখম বাংলাদেশিদের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া নিউজিল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে পুলিশ-আমলা-বিচারাঙ্গন সবার মধ্যে আতঙ্ক আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা

জীবননগর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

গরু ও মানব পাচার করতেন নিহত মিজানুর, পালিয়েছেন তার সহযোগীরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:১৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সমীকরণ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জীবননগর অফিস:
জীবননগরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মিজানুর রহমান (৫০) নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। মিজানুর রহমান ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের নবীছদ্দিনের ছেলে। তিনি জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের আয়ুব আলীর জামাতা। বিয়ের পর তিনি শ্বশুর বাড়িতে ঘরজামাই থাকতেন। তার মরদেহ ভারতের কৃষ্ণনগর মহকুমা হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

জীবননগরের সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন জানান, মিজানুর রহমান কিছুদিন আগে ভারতীয় গরুর ব্যবসা করত। সম্প্রতি তিনি অবৈধভাবে মানুষ পারাপারের কাজ করছিল। গত বৃহস্পতিবার মিজানুর ও তার সহযোগীরা কয়েকজন মানুষ নিয়ে অবৈধভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে যান। ফেরার সময় বিএসএফের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মিজানুর। পালিয়ে যান তার সহযোগীরা।

নিহত মিজানুর রহমানের স্ত্রী নাসিমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার স্বামী দেড় বছর আগে গরুর ব্যবসা করত। এরপর থেকে সে আর ব্যবসা করে না। এখন সে দিনমজুরের কাজ করত। গত বুধবার সন্ধ্যার সময় পাশের বাড়ির মধুর ছেলে বাদল, কাওসারের ছেলে ফারুক ও আরিফুলের ছেলে জীবন আমার বাড়িতে এসে আমার স্বামীকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে আমার স্বামী আর বাড়িতে আসেনি। এরা তিনজন ভারত থেকে গরু ও মানুষ আনা নেওয়া করে। আমি আজ সকালে বাদলদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। তারা তিনজন বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।’
এদিকে বাদলের মা বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘বাদল তারকাটায় যায় না। মিজানুর প্রতিনিয়ত তারকাটায় যায়। সে গরুর ব্যবসা করে। তার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’ মহেশপুর-৫৮ বিজিবির পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মাসুদ পারভেজ রানা বলেন, শনিবার বেলা ১১টার দিকে এক নারী মৌখিকভাবে তার স্বামী নিখোঁজের বিষয়টি আমাদের কাছে জানিয়েছেন। কোনো বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে কিনা জানতে আমরা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কাছে চিঠি দিয়েছি। বিএসএফের কাছ থেকে জানার পর আমরা বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারব।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান জানান, মিজানুর রহমানের স্ত্রী থানায় এসে মৌখিকভাবে জানিয়েছিলেন তার স্বামীকে পাওয়া যাচ্ছে না, তিনি তিনদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। সীমান্ত এলাকায় মৃত্যুর বিষয়টি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে একপর্যায় একটা ছবি দেখে মিজানুরের স্ত্রী তার স্বামীর লাশ বলে শনাক্ত করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জীবননগর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

গরু ও মানব পাচার করতেন নিহত মিজানুর, পালিয়েছেন তার সহযোগীরা

আপডেট সময় : ০৮:১৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জীবননগর অফিস:
জীবননগরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মিজানুর রহমান (৫০) নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। মিজানুর রহমান ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের নবীছদ্দিনের ছেলে। তিনি জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের আয়ুব আলীর জামাতা। বিয়ের পর তিনি শ্বশুর বাড়িতে ঘরজামাই থাকতেন। তার মরদেহ ভারতের কৃষ্ণনগর মহকুমা হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

জীবননগরের সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন জানান, মিজানুর রহমান কিছুদিন আগে ভারতীয় গরুর ব্যবসা করত। সম্প্রতি তিনি অবৈধভাবে মানুষ পারাপারের কাজ করছিল। গত বৃহস্পতিবার মিজানুর ও তার সহযোগীরা কয়েকজন মানুষ নিয়ে অবৈধভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে যান। ফেরার সময় বিএসএফের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মিজানুর। পালিয়ে যান তার সহযোগীরা।

নিহত মিজানুর রহমানের স্ত্রী নাসিমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার স্বামী দেড় বছর আগে গরুর ব্যবসা করত। এরপর থেকে সে আর ব্যবসা করে না। এখন সে দিনমজুরের কাজ করত। গত বুধবার সন্ধ্যার সময় পাশের বাড়ির মধুর ছেলে বাদল, কাওসারের ছেলে ফারুক ও আরিফুলের ছেলে জীবন আমার বাড়িতে এসে আমার স্বামীকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে আমার স্বামী আর বাড়িতে আসেনি। এরা তিনজন ভারত থেকে গরু ও মানুষ আনা নেওয়া করে। আমি আজ সকালে বাদলদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। তারা তিনজন বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।’
এদিকে বাদলের মা বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘বাদল তারকাটায় যায় না। মিজানুর প্রতিনিয়ত তারকাটায় যায়। সে গরুর ব্যবসা করে। তার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’ মহেশপুর-৫৮ বিজিবির পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মাসুদ পারভেজ রানা বলেন, শনিবার বেলা ১১টার দিকে এক নারী মৌখিকভাবে তার স্বামী নিখোঁজের বিষয়টি আমাদের কাছে জানিয়েছেন। কোনো বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে কিনা জানতে আমরা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কাছে চিঠি দিয়েছি। বিএসএফের কাছ থেকে জানার পর আমরা বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারব।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান জানান, মিজানুর রহমানের স্ত্রী থানায় এসে মৌখিকভাবে জানিয়েছিলেন তার স্বামীকে পাওয়া যাচ্ছে না, তিনি তিনদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। সীমান্ত এলাকায় মৃত্যুর বিষয়টি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে একপর্যায় একটা ছবি দেখে মিজানুরের স্ত্রী তার স্বামীর লাশ বলে শনাক্ত করেন।