চুয়াডাঙ্গা ০২:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কালিদাসপুর স্টুডিও’র মধ্যে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গণধোলাই নাগদাহ ও খাসকররা ইউনিয়ন আ.লীগের কর্মী সভায় এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামিম রেজার ৫২তম জন্মবার্ষিকী পালন বারাদী ইউনিয়নে গণসংযোগ, পথসভা ও লিফলেট বিতরণকালে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্বেচ্ছাসেবকদের বিরুদ্ধে রোগীর স্বজনের অভিযোগ আলমডাঙ্গায় পুত্রবধূর বটির কোপে শাশুড়ি জখম বাংলাদেশিদের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া নিউজিল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে পুলিশ-আমলা-বিচারাঙ্গন সবার মধ্যে আতঙ্ক আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা

ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় চাঞ্চল্যকর অমিতাভ হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

এখনো ধোঁয়াশার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের মোটিভ ও ক্লু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪১:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৪১ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সমীকরণ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের চাঞ্চল্যকর অমিতাভ সাহা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজলু ওরফে রাজু নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাটগোপালপুর এলাকার মুনাব্বর হোসেনের ছেলে। পুলিশের দাবি, ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় মেহেরপুর সীমান্ত থেকে গত রোববার রাতে রাজলুকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া এই তথ্য জানান। এসময় ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ও সদর থানার ওসি শেখ সোহলে রানাসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে হত্যার মোটিভ ও ক্লু সম্পর্কে এখনো পর্যাপ্ত তথ্য পুলিশের কাছে নেই বলে জানানো হয়। পুলিশ জানায়, অমিতাভ সাহা গত ৩১ আগস্ট নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পর গত ৩ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ শহরের ধোপাঘাটা ব্রিজ এলাকায় তার বস্তাবন্দি লাশ খুঁজে পায় পুলিশ। অমিতাভ সাহা মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের অশোক সাহার ছেলে। তিনি ঝিনাইদহ আদালত চত্বরে একটি ক্যান্টিন পরিচালনা করতেন। লাশ উদ্ধারের পর তার কথিত স্ত্রী তিশা নন্দি লাশটি অমিতাভের বলে শনাক্ত করেন।

পুলিশের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অমিতাভ ও তিশা নন্দি স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ঝিনাইদহ শহরের সড়ক ও জনপথ অফিসের বিপরীতে ওলিয়ার রহমানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। এর আগেও তারা একাধিক বাড়িতে ভাড়া ছিলেন। তাদের ঘন ঘন বাসা পরিবর্তনের নেপথ্যে কি কারণ থাকতে পারে তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। তিশা নন্দি কালীগঞ্জের বিনয় নন্দিকে ছেড়ে অমিতাভকে বিয়ে করে ঝিনাইদহ শহরে বসবাস করলেও তাদের বাসায় অচেনা মানুষের আনাগোনা ছিল। এদিকে তিশা নন্দির অভিযোগ হাটগোপালপুর এলাকার রাজলু ওরফে রাজু নামের এক ব্যক্তি চাকরি দেওয়ার নাম করে গত ৩১ আগস্ট অমিতাভ সাহাকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, অমিতাভ সাহা ও তার কথিত স্ত্রী তিশা নন্দি একাধিক চেক ডিজঅনার মামলার আসামি ছিলেন। এ নিয়ে তারা জেলও খেটেছেন। ডিসি কোর্ট এলাকায় দোকানদারি করার সুবাদে নতুন কোর্টপাড়া এলাকার ওয়াজেদ আলীর ছেলে মশিউর রহমান মিন্টুর কাছ থেকে ৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে আর দেননি। এ নিয়ে তিনি ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। এর আগে মাগুরার চেক ডিজঅনার মামলায় কারাগারে ছিলেন অমিতাভ।

চাকলাপাড়ার কার্তিক শর্মার স্ত্রী বাসন্তি শর্মা অভিযোগ করেন, অমিতাভ জেলহাজতে গেলে তার কথিত স্ত্রী তিশা রাজলু ওরফে রাজুর সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করত। তাদের সব ঝামেলা রাজু সামাল দিতেন। বাসন্তি শর্মা আরও জানান, তার কাছ থেকে অমিতাভ ৩ লাখ ১৪ হাজার টাকা নেন দোকান করার নামে। এই টাকা তিনি সৃজনী এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তাকে দেন। এনজিওর ঋণ নিয়ে এখন তিনি গভীর সংকটের মধ্যে পড়েছেন।

বাসন্তির স্বামী কার্তিক শর্মা জানান, অমিতাভ ও তার স্ত্রী চাকলাপাড়ার সজিব জোয়ারদারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। এই বাসায় এখনো মালামাল রয়েছে। টাকার বিষয়ে তার স্ত্রী ঝিনাইদহের আদালতে অমিতাভ ও তার স্ত্রী তিশা নন্দির বিরুদ্ধে ৬২৩/২৩ ও ৬৩১/২৩ নাম্বারে দুইটি চেক ডিজঅনারের মামলা করেন। টাকার শোকে বাসন্তি শর্মা এখন শয্যাশায়ী বলে যোগ করেন তার স্বামী কার্তিক। এদিকে ঝিনাইদহের সাধন কর্মকারের কাছ থেকে ৩৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন অমিতাভ ও তিশা নন্দি। তাদের বিরুদ্ধে এ নিয়ে একটি উকিল নোটিশ দিয়েছেন সাধন কর্মকার। এ তথ্য জানান সাধনের আইনজীবী অ্যাড. জাকারিয়া মিলন।

অনুসন্ধান করে জানা গেছে, তিশা ও অমতাভ ঝিনাইদহ, মাগুরা, মোহাম্মদপুর ও কালীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এই ধারের টাকার কারণে তিশা ও অমিতাভ নিজ এলাকায় যেতেন না। তাদের বিরুদ্ধে ৮/৯টি মামলা রয়েছে। ঝিনাইদহ শহরে তাদের সেল্টার দিয়ে রাখতেন রাজলু ওরফে রাজু। এই রাজুই পাওয়ানাদারদের হুমকি-ধমকি দিয়ে শান্ত রাখতেন।

ধারণা করা হচ্ছে, অমিতাভকে হত্যা করে তার কাছে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা সেই সঙ্গে তার স্ত্রীকে একান্তভাবে পাশে পেতেই হয়তো রাজলু এই হত্যার পরিকল্পনা করে।
উল্লেখ্য, তিশা নন্দি নিহত অমিতাভকে স্বামী বলে দাবি করলেও গত ৯ আগস্ট ঝিনাইদহ নোটারি পাবলিকে উপস্থিত হয়ে অমিতাভকে হিন্দু আইনমতে ত্যাগ করেন। তিশা নন্দি ত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন, অমিতাভকে বিয়ের পর থেকে তার সংসারে অশান্তি। যৌতুক নিয়ে তাকে মারধর করা হতো। অমতিাভ পরনারীতে আসক্ত। একাধিক মামলা তার নামে। চিটিংবাজ নামে পরিচিত। আগেও তার একাধিক স্ত্রী ছিল। ফলে আমি তাকে স্বামী হিসেবে ত্যাগ করলাম। তিশা নন্দি কালীগঞ্জ উপজেলার গোমরাইল গ্রামের বিশ^জিৎ বিশ^াসের মেয়ে হিসেবে ত্যাগপত্রে উল্লেখ করলেও অমিতাভের লাশ উদ্ধারের সময় মিডিয়ার সামনে নিজের বাড়ি মাগুরার বিনোদপুর বলে দাবি করেন। ফলে অমিতাভ হত্যা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েই গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় চাঞ্চল্যকর অমিতাভ হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

এখনো ধোঁয়াশার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের মোটিভ ও ক্লু

আপডেট সময় : ১২:৪১:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের চাঞ্চল্যকর অমিতাভ সাহা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজলু ওরফে রাজু নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাটগোপালপুর এলাকার মুনাব্বর হোসেনের ছেলে। পুলিশের দাবি, ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় মেহেরপুর সীমান্ত থেকে গত রোববার রাতে রাজলুকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া এই তথ্য জানান। এসময় ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ও সদর থানার ওসি শেখ সোহলে রানাসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে হত্যার মোটিভ ও ক্লু সম্পর্কে এখনো পর্যাপ্ত তথ্য পুলিশের কাছে নেই বলে জানানো হয়। পুলিশ জানায়, অমিতাভ সাহা গত ৩১ আগস্ট নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পর গত ৩ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ শহরের ধোপাঘাটা ব্রিজ এলাকায় তার বস্তাবন্দি লাশ খুঁজে পায় পুলিশ। অমিতাভ সাহা মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের অশোক সাহার ছেলে। তিনি ঝিনাইদহ আদালত চত্বরে একটি ক্যান্টিন পরিচালনা করতেন। লাশ উদ্ধারের পর তার কথিত স্ত্রী তিশা নন্দি লাশটি অমিতাভের বলে শনাক্ত করেন।

পুলিশের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অমিতাভ ও তিশা নন্দি স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ঝিনাইদহ শহরের সড়ক ও জনপথ অফিসের বিপরীতে ওলিয়ার রহমানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। এর আগেও তারা একাধিক বাড়িতে ভাড়া ছিলেন। তাদের ঘন ঘন বাসা পরিবর্তনের নেপথ্যে কি কারণ থাকতে পারে তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। তিশা নন্দি কালীগঞ্জের বিনয় নন্দিকে ছেড়ে অমিতাভকে বিয়ে করে ঝিনাইদহ শহরে বসবাস করলেও তাদের বাসায় অচেনা মানুষের আনাগোনা ছিল। এদিকে তিশা নন্দির অভিযোগ হাটগোপালপুর এলাকার রাজলু ওরফে রাজু নামের এক ব্যক্তি চাকরি দেওয়ার নাম করে গত ৩১ আগস্ট অমিতাভ সাহাকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, অমিতাভ সাহা ও তার কথিত স্ত্রী তিশা নন্দি একাধিক চেক ডিজঅনার মামলার আসামি ছিলেন। এ নিয়ে তারা জেলও খেটেছেন। ডিসি কোর্ট এলাকায় দোকানদারি করার সুবাদে নতুন কোর্টপাড়া এলাকার ওয়াজেদ আলীর ছেলে মশিউর রহমান মিন্টুর কাছ থেকে ৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে আর দেননি। এ নিয়ে তিনি ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। এর আগে মাগুরার চেক ডিজঅনার মামলায় কারাগারে ছিলেন অমিতাভ।

চাকলাপাড়ার কার্তিক শর্মার স্ত্রী বাসন্তি শর্মা অভিযোগ করেন, অমিতাভ জেলহাজতে গেলে তার কথিত স্ত্রী তিশা রাজলু ওরফে রাজুর সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করত। তাদের সব ঝামেলা রাজু সামাল দিতেন। বাসন্তি শর্মা আরও জানান, তার কাছ থেকে অমিতাভ ৩ লাখ ১৪ হাজার টাকা নেন দোকান করার নামে। এই টাকা তিনি সৃজনী এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তাকে দেন। এনজিওর ঋণ নিয়ে এখন তিনি গভীর সংকটের মধ্যে পড়েছেন।

বাসন্তির স্বামী কার্তিক শর্মা জানান, অমিতাভ ও তার স্ত্রী চাকলাপাড়ার সজিব জোয়ারদারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। এই বাসায় এখনো মালামাল রয়েছে। টাকার বিষয়ে তার স্ত্রী ঝিনাইদহের আদালতে অমিতাভ ও তার স্ত্রী তিশা নন্দির বিরুদ্ধে ৬২৩/২৩ ও ৬৩১/২৩ নাম্বারে দুইটি চেক ডিজঅনারের মামলা করেন। টাকার শোকে বাসন্তি শর্মা এখন শয্যাশায়ী বলে যোগ করেন তার স্বামী কার্তিক। এদিকে ঝিনাইদহের সাধন কর্মকারের কাছ থেকে ৩৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন অমিতাভ ও তিশা নন্দি। তাদের বিরুদ্ধে এ নিয়ে একটি উকিল নোটিশ দিয়েছেন সাধন কর্মকার। এ তথ্য জানান সাধনের আইনজীবী অ্যাড. জাকারিয়া মিলন।

অনুসন্ধান করে জানা গেছে, তিশা ও অমতাভ ঝিনাইদহ, মাগুরা, মোহাম্মদপুর ও কালীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এই ধারের টাকার কারণে তিশা ও অমিতাভ নিজ এলাকায় যেতেন না। তাদের বিরুদ্ধে ৮/৯টি মামলা রয়েছে। ঝিনাইদহ শহরে তাদের সেল্টার দিয়ে রাখতেন রাজলু ওরফে রাজু। এই রাজুই পাওয়ানাদারদের হুমকি-ধমকি দিয়ে শান্ত রাখতেন।

ধারণা করা হচ্ছে, অমিতাভকে হত্যা করে তার কাছে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা সেই সঙ্গে তার স্ত্রীকে একান্তভাবে পাশে পেতেই হয়তো রাজলু এই হত্যার পরিকল্পনা করে।
উল্লেখ্য, তিশা নন্দি নিহত অমিতাভকে স্বামী বলে দাবি করলেও গত ৯ আগস্ট ঝিনাইদহ নোটারি পাবলিকে উপস্থিত হয়ে অমিতাভকে হিন্দু আইনমতে ত্যাগ করেন। তিশা নন্দি ত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন, অমিতাভকে বিয়ের পর থেকে তার সংসারে অশান্তি। যৌতুক নিয়ে তাকে মারধর করা হতো। অমতিাভ পরনারীতে আসক্ত। একাধিক মামলা তার নামে। চিটিংবাজ নামে পরিচিত। আগেও তার একাধিক স্ত্রী ছিল। ফলে আমি তাকে স্বামী হিসেবে ত্যাগ করলাম। তিশা নন্দি কালীগঞ্জ উপজেলার গোমরাইল গ্রামের বিশ^জিৎ বিশ^াসের মেয়ে হিসেবে ত্যাগপত্রে উল্লেখ করলেও অমিতাভের লাশ উদ্ধারের সময় মিডিয়ার সামনে নিজের বাড়ি মাগুরার বিনোদপুর বলে দাবি করেন। ফলে অমিতাভ হত্যা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েই গেছে।