চুয়াডাঙ্গা ০২:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কালিদাসপুর স্টুডিও’র মধ্যে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গণধোলাই নাগদাহ ও খাসকররা ইউনিয়ন আ.লীগের কর্মী সভায় এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামিম রেজার ৫২তম জন্মবার্ষিকী পালন বারাদী ইউনিয়নে গণসংযোগ, পথসভা ও লিফলেট বিতরণকালে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্বেচ্ছাসেবকদের বিরুদ্ধে রোগীর স্বজনের অভিযোগ আলমডাঙ্গায় পুত্রবধূর বটির কোপে শাশুড়ি জখম বাংলাদেশিদের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া নিউজিল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে পুলিশ-আমলা-বিচারাঙ্গন সবার মধ্যে আতঙ্ক আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা

ইসলামে উত্তম চরিত্রের মূল্যায়ন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১২:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সমীকরণ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ধর্ম প্রতিবেদন:
উত্তম চরিত্র মানব জীবনের অতি মূল্যবান সম্পদ। ইসলাম ধর্মে উত্তম চরিত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। এ ধর্মে প্রতিটি মানুষকে সচ্চরিত্র অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইহ ও পরকালে ভালো চরিত্রবানদের অশেষ কল্যাণের আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে। কোরআন-সুন্নায় মন্দ চরিত্র পরিহার করার আদেশ রয়েছে। বর্ণিত হয়েছে ইহ ও পরকালের শাস্তির বিধান।উন্নত চরিত্র ছাড়া জাতি উন্নত মর্যাদা লাভ করতে পারে না। আশা করতে পারে না ইহ ও পরকালে শান্তি ও কল্যাণ। সব নবী ও রসুল নিজ নিজ জাতিকে উত্তম চরিত্রের শিক্ষা দিয়েছেন। বারণ করেছেন যাবতীয় মন্দ চরিত্র থেকে। উন্নত চরিত্রের পূর্ণতাদানের জন্য আল্লাহ শেষনবী মুহাম্মদ (সা.)-কে প্রেরণ করেছেন। রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘উন্নত চরিত্রের পূর্ণতা-দানের জন্যই আমি প্রেরিত হয়েছি।’ (ইবনে মাজাহ, আদাবুল মুফরাদ)। মহান প্রভু ঘোষণা করেন, ‘আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী’ (সুরা আল কলম-৪)। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সে, যে ভালো চরিত্রবান।’ (মুসলিম)। অন্য এক হাদিসে তিনি উল্লেখ করেন, ‘কেয়ামত দিবসে মিজানের পাল্লায় সচ্চরিত্র অপেক্ষা ভারী আর কিছুই হবে না।’ (তিরমিজি)।
অতএব, মানুষের সঙ্গে সুন্দরভাবে কথা বলা, সত্য কথা বলা, পরস্পরের সাহায্য-সহযোগিতায় নিবেদিত হওয়া, দান-অনুদানে এগিয়ে আসা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, মানুষের প্রতি সুধারণা পোষণ, সহনশীল হওয়া, সবার যথাযথ মর্যাদা ও অঙ্গীকার রক্ষা করা ইত্যাদি উত্তম চরিত্রের অন্তর্ভুক্ত। পক্ষান্তরে মিথ্যা বলা, মিথ্যা চর্চা করা, ঝগড়া-বিবাদ করা ও গালমন্দ করা, কারও ক্ষতি করা বা ক্ষতির প্রচেষ্টা করা, দুর্নীতি করা, প্রতারণা, হিংসা-বিদ্বেষ, পরনিন্দা ইত্যাদি অপকর্মে লিপ্ত হওয়া মন্দ চরিত্র হিসেবে গণ্য হবে। বিবেচিত হবে উত্তম চরিত্রের অন্তরায় হিসেবে। মানুষের চরিত্র সুন্দর হওয়ার জন্য অন্তর সুন্দর ও স্বচ্ছ হওয়া অতি জরুরি। বাহ্যিক আচার-আচরণের মাধ্যমে অন্তরের অবস্থাও প্রকাশ পায়। উত্তম চরিত্র ও মন্দ চরিত্র অন্তর থেকে উদ্গত হয়। তাই উত্তম চরিত্র সৃষ্টিার জন্য অন্তরের অনুশীলন করা প্রয়োজন। একজন মানুষ সত্যিকারের মানুষ হিসেবে তখনই গণ্য হবে যখন তার অন্তরটা মানুষ হিসেবে গণ্য হবে। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘জেনে রাখ, শরীরের মধ্যে একটি মাংসের টুকরা আছে, তা যখন ঠিক হয়ে যায়, গোটা শরীরই তখন ঠিক হয়ে যায়। আর তা যখন খারাপ হয়ে যায়, গোটা শরীরই তখন খারাপ হয়ে যায়। জেনে রাখ, সেই মাংসের টুকরোটি হলো অন্তর বা কলব।’ (বুখারি, মুসলিম)। উত্তম চরিত্র লাভের জন্য অন্তর কলুষমুক্ত করা প্রধান কাজ। সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে জিব, হাত ও যাবতীয় অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। পরিচালনা করতে হবে আল্লাহ ও রসুলুল্লাহ (সা.)-এর নির্দেশ অনুযায়ী। কেননা একজন মুসলিম হিসেবে উত্তম চরিত্রবানের পৃথক বৈশিষ্ট্য হলো, স্রষ্টার প্রতি সঠিক ইমান ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁর আনুগত্য করা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইসলামে উত্তম চরিত্রের মূল্যায়ন

আপডেট সময় : ০৪:১২:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ধর্ম প্রতিবেদন:
উত্তম চরিত্র মানব জীবনের অতি মূল্যবান সম্পদ। ইসলাম ধর্মে উত্তম চরিত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। এ ধর্মে প্রতিটি মানুষকে সচ্চরিত্র অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইহ ও পরকালে ভালো চরিত্রবানদের অশেষ কল্যাণের আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে। কোরআন-সুন্নায় মন্দ চরিত্র পরিহার করার আদেশ রয়েছে। বর্ণিত হয়েছে ইহ ও পরকালের শাস্তির বিধান।উন্নত চরিত্র ছাড়া জাতি উন্নত মর্যাদা লাভ করতে পারে না। আশা করতে পারে না ইহ ও পরকালে শান্তি ও কল্যাণ। সব নবী ও রসুল নিজ নিজ জাতিকে উত্তম চরিত্রের শিক্ষা দিয়েছেন। বারণ করেছেন যাবতীয় মন্দ চরিত্র থেকে। উন্নত চরিত্রের পূর্ণতাদানের জন্য আল্লাহ শেষনবী মুহাম্মদ (সা.)-কে প্রেরণ করেছেন। রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘উন্নত চরিত্রের পূর্ণতা-দানের জন্যই আমি প্রেরিত হয়েছি।’ (ইবনে মাজাহ, আদাবুল মুফরাদ)। মহান প্রভু ঘোষণা করেন, ‘আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী’ (সুরা আল কলম-৪)। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সে, যে ভালো চরিত্রবান।’ (মুসলিম)। অন্য এক হাদিসে তিনি উল্লেখ করেন, ‘কেয়ামত দিবসে মিজানের পাল্লায় সচ্চরিত্র অপেক্ষা ভারী আর কিছুই হবে না।’ (তিরমিজি)।
অতএব, মানুষের সঙ্গে সুন্দরভাবে কথা বলা, সত্য কথা বলা, পরস্পরের সাহায্য-সহযোগিতায় নিবেদিত হওয়া, দান-অনুদানে এগিয়ে আসা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, মানুষের প্রতি সুধারণা পোষণ, সহনশীল হওয়া, সবার যথাযথ মর্যাদা ও অঙ্গীকার রক্ষা করা ইত্যাদি উত্তম চরিত্রের অন্তর্ভুক্ত। পক্ষান্তরে মিথ্যা বলা, মিথ্যা চর্চা করা, ঝগড়া-বিবাদ করা ও গালমন্দ করা, কারও ক্ষতি করা বা ক্ষতির প্রচেষ্টা করা, দুর্নীতি করা, প্রতারণা, হিংসা-বিদ্বেষ, পরনিন্দা ইত্যাদি অপকর্মে লিপ্ত হওয়া মন্দ চরিত্র হিসেবে গণ্য হবে। বিবেচিত হবে উত্তম চরিত্রের অন্তরায় হিসেবে। মানুষের চরিত্র সুন্দর হওয়ার জন্য অন্তর সুন্দর ও স্বচ্ছ হওয়া অতি জরুরি। বাহ্যিক আচার-আচরণের মাধ্যমে অন্তরের অবস্থাও প্রকাশ পায়। উত্তম চরিত্র ও মন্দ চরিত্র অন্তর থেকে উদ্গত হয়। তাই উত্তম চরিত্র সৃষ্টিার জন্য অন্তরের অনুশীলন করা প্রয়োজন। একজন মানুষ সত্যিকারের মানুষ হিসেবে তখনই গণ্য হবে যখন তার অন্তরটা মানুষ হিসেবে গণ্য হবে। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘জেনে রাখ, শরীরের মধ্যে একটি মাংসের টুকরা আছে, তা যখন ঠিক হয়ে যায়, গোটা শরীরই তখন ঠিক হয়ে যায়। আর তা যখন খারাপ হয়ে যায়, গোটা শরীরই তখন খারাপ হয়ে যায়। জেনে রাখ, সেই মাংসের টুকরোটি হলো অন্তর বা কলব।’ (বুখারি, মুসলিম)। উত্তম চরিত্র লাভের জন্য অন্তর কলুষমুক্ত করা প্রধান কাজ। সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে জিব, হাত ও যাবতীয় অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। পরিচালনা করতে হবে আল্লাহ ও রসুলুল্লাহ (সা.)-এর নির্দেশ অনুযায়ী। কেননা একজন মুসলিম হিসেবে উত্তম চরিত্রবানের পৃথক বৈশিষ্ট্য হলো, স্রষ্টার প্রতি সঠিক ইমান ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁর আনুগত্য করা।