চুয়াডাঙ্গা ০১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কালিদাসপুর স্টুডিও’র মধ্যে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গণধোলাই নাগদাহ ও খাসকররা ইউনিয়ন আ.লীগের কর্মী সভায় এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামিম রেজার ৫২তম জন্মবার্ষিকী পালন বারাদী ইউনিয়নে গণসংযোগ, পথসভা ও লিফলেট বিতরণকালে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্বেচ্ছাসেবকদের বিরুদ্ধে রোগীর স্বজনের অভিযোগ আলমডাঙ্গায় পুত্রবধূর বটির কোপে শাশুড়ি জখম বাংলাদেশিদের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া নিউজিল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে পুলিশ-আমলা-বিচারাঙ্গন সবার মধ্যে আতঙ্ক আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা

ব্রিজের বেহাল অবস্থা, ২০ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৫:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩১ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সমীকরণ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঝিনাইদহ অফিস:
ইট পাথর আর লোহার রড দিয়ে তৈরি ব্রিজটি এখন গ্রামবাসীর মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রায় ১০ বছর ধরে এই ব্রিজটি ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে হওয়ায় স্থানীয়রা টাকা উঠিয়ে কাঠ দিয়ে তালি মেরে চলাচল করছে। এতে চলাচলে ঝুঁকি বাড়ছে। এদিকে এই ব্রিজ দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে গ্রামের তিনজন মানুষ মারা গেছেন। আহত হয়েছেন কয়েকজন। লন্ডভন্ড এই ব্রিজটি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গোলকনগর গ্রামে জিকে সেচ খালের ওপর নির্মিত। গোলকনগর গ্রামের বাসিন্দা শামসুদ্দিন জানান, জিকে সেচ প্রকল্পের গোলকনগর খালের ওপরের এই ব্রিজটি ১০ বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে। এতে খালের দুই পাড়ের প্রায় ২০ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। যাতায়াতের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এলাকাবাসী ভাঙা ব্রিজের ওপর কাঠের পাটাতন দিয়ে যাতায়াত করছে।

জানা গেছে, শৈলকুপার হাটফাজিলপুর-নিত্যনন্দনপুর বাঁওড় এলাকায় যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা গোলকনগর খাল। এই ব্রিজ দিয়ে এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যসহ কৃষি মালামাল পরিবহণ করা হয়। ব্রিজের পশ্চিমে নিত্যনন্দনপুর ইউনিয়ন। পূর্বদিকে হাটফাজিলপুর বাজার। নিত্যনন্দনপুর ইউনিয়নের ৮ থেকে ১০ গ্রামের মানুষ এই ব্রিজ দিয়ে চলাচল করেন। কিন্তু বছরের পর বছর ব্রিজটি ভাঙা থাকার কারণে এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ এমপিরাও ব্রিজটি নির্মাণে কোনো ভূমিকা রাখছেন না। খালের দুই পাশে পাকা রাস্তা থাকলেও ভাঙা ব্রিজের কারণে গাড়ি চলাচল করতে পারে না।

স্থানীয় বাসিন্দা ফজলুর রহমান বলেন, ‘ব্রিজটি বহুদিন ধরে ভাঙা অবস্থায় আছে। অনেকে মারা গেছে, অনেকে পড়ে আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে আমাদের এমপির কাছে গিয়েছি, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। সবাই বলে এটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্রিজ, তারা নির্মাণ করবে।’ এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান বলেন, ‘আমাদের কোনো উন্নয়ন প্রকল্প নেই। যতটুকু বাজেট হয়, সেগুলো দিয়ে আমরা মেরামত কাজ করে থাকি। এই ব্রিজের সমস্যার কথাটা আমি জানি। শুধুমাত্র এই ব্রিজ না এমন বহু ব্রিজ ভেঙে গেছে। আমরা ব্রিজগুলো নতুন করে নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। পাশ হয়ে আসলে নতুন নতুন ব্রিজ তৈরি করা হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ব্রিজের বেহাল অবস্থা, ২০ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি!

আপডেট সময় : ০৩:৫৫:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:
ইট পাথর আর লোহার রড দিয়ে তৈরি ব্রিজটি এখন গ্রামবাসীর মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রায় ১০ বছর ধরে এই ব্রিজটি ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে হওয়ায় স্থানীয়রা টাকা উঠিয়ে কাঠ দিয়ে তালি মেরে চলাচল করছে। এতে চলাচলে ঝুঁকি বাড়ছে। এদিকে এই ব্রিজ দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে গ্রামের তিনজন মানুষ মারা গেছেন। আহত হয়েছেন কয়েকজন। লন্ডভন্ড এই ব্রিজটি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গোলকনগর গ্রামে জিকে সেচ খালের ওপর নির্মিত। গোলকনগর গ্রামের বাসিন্দা শামসুদ্দিন জানান, জিকে সেচ প্রকল্পের গোলকনগর খালের ওপরের এই ব্রিজটি ১০ বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে। এতে খালের দুই পাড়ের প্রায় ২০ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। যাতায়াতের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এলাকাবাসী ভাঙা ব্রিজের ওপর কাঠের পাটাতন দিয়ে যাতায়াত করছে।

জানা গেছে, শৈলকুপার হাটফাজিলপুর-নিত্যনন্দনপুর বাঁওড় এলাকায় যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা গোলকনগর খাল। এই ব্রিজ দিয়ে এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যসহ কৃষি মালামাল পরিবহণ করা হয়। ব্রিজের পশ্চিমে নিত্যনন্দনপুর ইউনিয়ন। পূর্বদিকে হাটফাজিলপুর বাজার। নিত্যনন্দনপুর ইউনিয়নের ৮ থেকে ১০ গ্রামের মানুষ এই ব্রিজ দিয়ে চলাচল করেন। কিন্তু বছরের পর বছর ব্রিজটি ভাঙা থাকার কারণে এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ এমপিরাও ব্রিজটি নির্মাণে কোনো ভূমিকা রাখছেন না। খালের দুই পাশে পাকা রাস্তা থাকলেও ভাঙা ব্রিজের কারণে গাড়ি চলাচল করতে পারে না।

স্থানীয় বাসিন্দা ফজলুর রহমান বলেন, ‘ব্রিজটি বহুদিন ধরে ভাঙা অবস্থায় আছে। অনেকে মারা গেছে, অনেকে পড়ে আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে আমাদের এমপির কাছে গিয়েছি, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। সবাই বলে এটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্রিজ, তারা নির্মাণ করবে।’ এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান বলেন, ‘আমাদের কোনো উন্নয়ন প্রকল্প নেই। যতটুকু বাজেট হয়, সেগুলো দিয়ে আমরা মেরামত কাজ করে থাকি। এই ব্রিজের সমস্যার কথাটা আমি জানি। শুধুমাত্র এই ব্রিজ না এমন বহু ব্রিজ ভেঙে গেছে। আমরা ব্রিজগুলো নতুন করে নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। পাশ হয়ে আসলে নতুন নতুন ব্রিজ তৈরি করা হবে।’