চুয়াডাঙ্গা ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কালিদাসপুর স্টুডিও’র মধ্যে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গণধোলাই নাগদাহ ও খাসকররা ইউনিয়ন আ.লীগের কর্মী সভায় এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামিম রেজার ৫২তম জন্মবার্ষিকী পালন বারাদী ইউনিয়নে গণসংযোগ, পথসভা ও লিফলেট বিতরণকালে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্বেচ্ছাসেবকদের বিরুদ্ধে রোগীর স্বজনের অভিযোগ আলমডাঙ্গায় পুত্রবধূর বটির কোপে শাশুড়ি জখম বাংলাদেশিদের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া নিউজিল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে পুলিশ-আমলা-বিচারাঙ্গন সবার মধ্যে আতঙ্ক আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা

চুয়াডাঙ্গার সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সাক্ষাৎ

এ জেলার উন্নয়নে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০৮:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪৭ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সমীকরণ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সমীকরণ প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় এবং সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য চুয়াডাঙ্গার কৃতী সন্তান দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গণভবনে শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সাথে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দিলীপ কুমার আগরওয়ালা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন, দলীয় নানা বিষয়সহ চুয়াডাঙ্গার সার্বিক পরিস্থিতি জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের ফাঁকে এ সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসিমুখে দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সব কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং চুয়াডাঙ্গাবাসীর উন্নয়নে করা সকল কাজ অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন।

এরপর জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এদেশে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন, তারা যে ধর্মেরই হোক, কেউই সংখ্যালঘু নয়। এদেশে সব ধর্মের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আর ধর্ম যার যার, উৎসব সবার- এই নীতিতে আওয়ামী লীগ সরকার বিশ্বাস করে। তাই নিজেদের সংখ্যালঘু না ভাবতে সনাতন ধর্মের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান সরকার প্রধান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সব ধর্মের উন্নয়নে সমানভাবে কাজ করছে। মসজিদভিত্তিক শিক্ষার যেমন ব্যবস্থা করা হয়েছে, তেমনি মন্দিরভিত্তিক শিক্ষারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। হিন্দুরা মন্দিরে যাবে আর মুসলিমরা মসজিদে যাবে। সবার ধর্মের প্রাথমিক শিক্ষাও এখান থেকে নিশ্চিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব হয়েছিল দুষ্টের দমন শিষ্টের লালনের জন্য। সেই শিক্ষা বাস্তবায়নের তাগিদ দেন সরকার প্রধান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব ধর্মের মর্মবাণী এক ও অভিন্ন। ভাষা হয়ত ভিন্ন হতে পারে। আমাদের দেশের কিছু মানুষ বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের বদনাম করে। তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে গণভবনে গিয়েছিলাম। শুভেচ্ছা বিনিময় ও ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময়কালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনেক কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। আমি যখন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও দলীয় নানা বিষয়সহ চুয়াডাঙ্গার সার্বিক পরিস্থিতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করছিলাম, তখন ওনি খুব মনোযোগ দিয়ে আমার কথাগুলো শোনেন। এছাড়াও গত ১০ বছর যাবত চুয়াডাঙ্গা জেলায় আমি যেসব উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি, সে বিষয়েও কিছুটা বলার সুযোগ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে দিয়েছিলেন। আমার সব কথা শোনার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাসিমুখেই আমাকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। এছাড়া জননেত্রী তখন আমাকে আগামী দিনের পথচলার সকল নির্দেশনা প্রদান করেন এবং আরও বলেন আমি যেভাবে চুয়াডাঙ্গাবাসীর সঙ্গে আছি এবং তাদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি, সেই কাজ যেন অব্যাহত রাখি।’ দিলীপ কুমার আরও বলেন, ‘আমি জননেত্রীকে কথা দিয়েছি, আমরণ নৌকার পক্ষে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী রাখতে এবং দেশবাসীর উন্নয়নে কাজ করে যাব।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চুয়াডাঙ্গার সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সাক্ষাৎ

এ জেলার উন্নয়নে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১০:০৮:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় এবং সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য চুয়াডাঙ্গার কৃতী সন্তান দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গণভবনে শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সাথে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দিলীপ কুমার আগরওয়ালা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন, দলীয় নানা বিষয়সহ চুয়াডাঙ্গার সার্বিক পরিস্থিতি জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের ফাঁকে এ সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসিমুখে দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সব কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং চুয়াডাঙ্গাবাসীর উন্নয়নে করা সকল কাজ অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন।

এরপর জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এদেশে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন, তারা যে ধর্মেরই হোক, কেউই সংখ্যালঘু নয়। এদেশে সব ধর্মের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আর ধর্ম যার যার, উৎসব সবার- এই নীতিতে আওয়ামী লীগ সরকার বিশ্বাস করে। তাই নিজেদের সংখ্যালঘু না ভাবতে সনাতন ধর্মের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান সরকার প্রধান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সব ধর্মের উন্নয়নে সমানভাবে কাজ করছে। মসজিদভিত্তিক শিক্ষার যেমন ব্যবস্থা করা হয়েছে, তেমনি মন্দিরভিত্তিক শিক্ষারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। হিন্দুরা মন্দিরে যাবে আর মুসলিমরা মসজিদে যাবে। সবার ধর্মের প্রাথমিক শিক্ষাও এখান থেকে নিশ্চিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব হয়েছিল দুষ্টের দমন শিষ্টের লালনের জন্য। সেই শিক্ষা বাস্তবায়নের তাগিদ দেন সরকার প্রধান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব ধর্মের মর্মবাণী এক ও অভিন্ন। ভাষা হয়ত ভিন্ন হতে পারে। আমাদের দেশের কিছু মানুষ বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের বদনাম করে। তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে গণভবনে গিয়েছিলাম। শুভেচ্ছা বিনিময় ও ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময়কালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনেক কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। আমি যখন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও দলীয় নানা বিষয়সহ চুয়াডাঙ্গার সার্বিক পরিস্থিতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করছিলাম, তখন ওনি খুব মনোযোগ দিয়ে আমার কথাগুলো শোনেন। এছাড়াও গত ১০ বছর যাবত চুয়াডাঙ্গা জেলায় আমি যেসব উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি, সে বিষয়েও কিছুটা বলার সুযোগ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে দিয়েছিলেন। আমার সব কথা শোনার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাসিমুখেই আমাকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। এছাড়া জননেত্রী তখন আমাকে আগামী দিনের পথচলার সকল নির্দেশনা প্রদান করেন এবং আরও বলেন আমি যেভাবে চুয়াডাঙ্গাবাসীর সঙ্গে আছি এবং তাদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি, সেই কাজ যেন অব্যাহত রাখি।’ দিলীপ কুমার আরও বলেন, ‘আমি জননেত্রীকে কথা দিয়েছি, আমরণ নৌকার পক্ষে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী রাখতে এবং দেশবাসীর উন্নয়নে কাজ করে যাব।’