চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মেহেরপুরে নানা আয়োজনে বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন
‘আন্দোলনের মাধ্যমে অবৈধ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে’

- আপডেট সময় : ১০:১৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫৪ বার পড়া হয়েছে
সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মেহেরপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদ্যাপিত হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। গতকাল শনিবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় জেলা সাহিত্য পরিষদ চত্বরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ হাসান খান বাবু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘কোনো ষড়যন্ত্র করেই আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না। এবার তাদের প্রয়োজনে টেনে হিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামানো হবে। আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নামে হোক বা অন্য যেকোনো নামেই হোক নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। শেখ হাসিনার অধীনে দেশে আর কোনো সংসদ নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ কোনো বিরোধী দল অংশও নিবে না। আওয়ামী লীগ দেশে আর কখনো একদলীয় নির্বাচন করার অপচেষ্টা করলে দেশের সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাদের সেই অপচেষ্টা রুখে দিবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলনের মাধ্যমে এই অবৈধ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। বর্তমান অবৈধ সরকার সংবিধানের দোহাই দিয়ে আরো একটি পাতানো নির্বাচনের আয়োজন করতে চায়। কিন্তু তা কোনোভাবেই করতে দেয়া হবে না, আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে তা প্রতিহত করা হবে।’
আলোচনা সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ। তিনি বলেন, ‘১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর বিএনপি গঠন করেন দেশের ইতিহাসের এক কঠিন সময়ে সেনাবাহিনী থেকে রাজনীতিতে আসা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। নানা চড়াই-উতরাই পার করে প্রতিষ্ঠার ৪৫ বছরে পা দিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। বিএনপি জনগণের দল, যে দল সংগ্রাম, ত্যাগ আর আন্দোলনের মাধ্যমেই জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। আগামী দিনে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোটে জাতীয়তাবাদী দলের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। দূর হবে আগামী দিনে জনগণের সকল সমস্যা।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আবুল হাসনাত, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রউফ উর নাহার রিনা, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিণ্টু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম নজু, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মোকাররম হোসেন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, জীবননগর পৌর বিএনপির সভাপতি শাহাজাহান কবির, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান আলী, দর্শনা পৌর সমন্বয়ক কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান বুলেট, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপ্টন, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জীবননগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মহিলা যুগ্ম আহ্বায়ক সালমা জাহান পারুল, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নূর নবী সামদানী, আলমডাঙ্গা উপজেলার বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আখতার হোসেন জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুর রহমান পল্টু, জীবননগর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান ডাবলু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিম ইফতেখারুল হক বনল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝণ্টু, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক তরফদার সাবু, জেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব তোবারক হোসেন, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাজাহান খান ও সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিন। সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন জেলা ওলামা দলের সদস্যসচিব মওলানা আনোয়ার হোসেন।
আলোচনা সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইদ্রিস আলী, আলমডাঙ্গার জেহেলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহিদুজ্জাহ মিল্টন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান আখতার, আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহ আলম, মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নূর গনী সামদানি, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন মাস্টার, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুল ইসলাম, পদ্মবিলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান কাজল, ডাউকি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদার আলী, চিৎলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজিব হাসান ফেরদৌস পাপেন, বেলগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ হোসেন, নাগদাহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বোরহান উদ্দিন, খাদিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেরেগুল বিশ্বাস, ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি টিপু সুলতান, কুমারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান মাস্টার, কালিদাসপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লালন আলী, খাসকররা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাজা মিয়া, গাংনী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইনাল হক, বাড়াদী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শুকুর আলী, আইলহাঁস ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ডা. শহিদুল ইসলাম, আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিয়ার রহমান, মনোহরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিনুল সর্দার, হাসাদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহজাহান আলী, কেডিকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনোয়ার হোসেন, রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান সজল, উথলী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবর রহমান, সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব আলী বিশ্বাস, নতিপোতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, নাটুদাহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শামসুল আলম খান, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ বিশ্বাস, হাউলি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কুতুবউদ্দিন কুতুব, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান লাল, কুড়ালগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল রশিদ, পারকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিউল্লাহ শফি, গড়াইটুপি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মহব্বত আলী, তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম টোটন, নেহালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফরজ আলী, বেগমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাদশা প্রমুখ।

ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ও হরিণাকুণ্ডুতে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যদিয়ে বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপিত হয়েছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শনিবার সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিরাট শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে নলডাঙ্গা ভ্যান স্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহাবুবার রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম তোতা, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম সাইদুল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াস রহমান মিঠু, আনোয়ার হোসেন, জাবেদ আলী, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহসহ বিএনপি নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ বলেন, অবৈধ সরকার আজ দেশের গণতন্ত্র হত্যা করে মানুষের স্বাধীনতা হরণ করে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। দেশের মানুষের ভোটাধিকার আদায়ে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।
এদিকে, হরিণাকুণ্ডুতে গতকাল বিকেল বেল্টু মোড় থেকে বিএনপির একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি হল বাজারে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. এম এ মজিদ। তিনি বলেন, হাসিনা সরকারের সময় শেষ হয়ে আসছে। দ্রুত এই সরকারের পতন ঘটবে। এসময় হরিণাকুণ্ডু উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক তাইজাল হোসেন, আব্দুল মোমিন, নজির উদ্দীন, জন্নাতুল হক, ঝিনাইদহ জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আবু বক্কার, জেলা যুবদলের সভাপতি আহসান হাবিব রণক, সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম পিণ্টু ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এসকে সোমেন বক্তব্য দেন।
মেহেরপুর:
বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে সরকারি কলেজ মোড় থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পৌর কলেজের কাছে এসে শেষ হয়। এর আগে সরকারি কলেজ মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত। সমাবেশের বক্তারা বলেন, গুম, খুন ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। আমাদের আন্দোলনকে দমানো যাবে না। মামলা-হামলার অনেক শিকার হয়েছি, আর না। জনগণ যখন রাস্তায় নেমেছে, এ সরকারের পতন করেই আমরা ঘরে ফিরবো।