অস্বাভাবিক সরকার আনার ষড়যন্ত্র হচ্ছে : কাদের

- আপডেট সময় : ০৪:৫৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৪২ বার পড়া হয়েছে
সমীকরণ প্রতিবেদন:
ওয়ান-ইলেভেনের মতো অস্বাভাবিক সরকার আনার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ওয়ান-ইলেভেন আমরা ভুলিনি। আবারো অস্বাভাবিক সরকার আনার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তবে সেই অস্বাভাবিক সরকার বাংলার মাটিতে আমরা হতে দেবো না। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ দেশে-বিদেশে কত ষড়যন্ত্র, কত চক্রান্তের খেলা! তারা জানে, এই দেশে ৭০ ভাগ মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। নির্বাচনে তাকে হারাতে পারবে না। সেই জন্য ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা থেকে সরানোর চক্রান্ত করছে। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি প্রয়োগ করতে চাইছে।
এ সময় বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জ্বালারে জ্বালা, অন্তর জ্বালা। অন্তর জ্বালায় জ্বলছে বিএনপি। জ্বলছে তারেক জিয়া। কী করে হলো পদ্মা সেতু, ঢাকায় মেট্রোরেল; তাদের অর্ন্তজ্বালা তো থাকবে। শেখ হাসিনা করেছে, এটা তাদের অর্ন্তজ্বালা। মানুষ খুশি, আর এ দলটি অখুশি। শেখ হাসিনার অর্জনে মানুষ কেন খুশি, এ জন্য ব্যথার বিষজ্বালায় তারা মরছে। সে জন্য শেখ হাসিনাকে তারা চায় না। তিনি আরো বলেন, বিদেশী মুরুব্বিদের ডাকছে- হটাও শেখ হাসিনাকে। দরকার হলে আবার তত্ত্বাবধায়ক। আদালতের আদেশে যে তত্ত্বাবধায়ক মরে গেছে, সেটিকে তারা আবার জীবিত করতে চাচ্ছে। এটি কী হবে? শেখ হাসিনা রিজাইন করবে? সংসদ ভেঙে যাবে? এই সরকার পদত্যাগ করবে? বাংলার মানুষ যেটা চায় না, তারা কেন তা করতে চায়?’
এর আগে সকালে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন উপলক্ষে পুরনো বাণিজ্যমেলার মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সুধী সমাবেশস্থল পরিদর্শনকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার পতন তো দূরে থাক, বিএনপি এখন নিজেদের অস্তিত্ব নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছে। বিএনপির কর্মসূচির ওপর নেতাকর্মীদের আস্থা নেই, জনগণেরও নেই। কালো পতাকা নিয়ে যে মিছিল হয়, সেটি শোক মিছিল। এ মিছিল দিয়ে উত্তাল পরিস্থিতি সৃষ্টি সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন, কোথায় বিএনপির আন্দোলন? ১০ ডিসেম্বরের আন্দোলন গোলাপবাগের গরুর হাটে গিয়ে হোঁচট খেল, গর্তে পড়ে গেল। এখন আর পদযাত্রায় কাজ হয় না। তাই এখন শোকযাত্রা, বিএনপি শোক মিছিল শুরু করেছে। বিজয় আমাদের হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আছে, আমাদের ভয় নেই।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এক্সপ্রেসওয়েতে কাওলা থেকে ফার্মগেট-তেজগাঁও রেলস্টেশন পর্যন্ত ১০-১১ মিনিটে কাভার করবে। এখানে অনেক যাত্রী আসা-যাওয়া করবেন। এর সুফল অবশ্যই পাবে রাজধানীবাসী। এর সাথে যখন মতিঝিল পর্যন্ত উদ্বোধন হয়ে যাবে, তখন সুফল অনেক বেড়ে যাবে এবং ঢাকা আরো আধুনিক শহরে রূপ নেবে। যান চলাচল আরো সহজ হবে। তিনি জানান, প্রকল্পের ৬৫ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। আশা করছি আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পুরোটা চালু করতে পারব। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেট, ফার্মগেট থেকে মগবাজার, মগবাজার থেকে কুতুবখালি পর্যন্ত গন্তব্য। পুরো অংশের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার।