জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত প্রায় ২ লাখ ৫ হাজার গরু

- আপডেট সময় : ০২:৪২:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ জুন ২০২৩ ১৭ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহে এ বছর ২ লাখ ৫ হাজার গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। ঈদের আর ১৮ দিনের মতো বাকি থাকায় খামারিরা পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস বলছে, জেলায় এ বছর চাহিদার চেয়ে প্রায় ৬০ হাজার বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। খামারিরা বলছেন, গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় এবার খরচও বেশি হয়েছে। সীমান্তবর্তী এই জেলায় ভারতীয় গরুর আমদানি ঠেকানো না গেলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়া এলাকার খামারি জিনারুল ইসলাম তরুণ বলেন, ৩ বছর ধরে লালন-পালন করছেন ব্রাহামা জাতের দুটি গরু। একেকটি গরুর ওজন ২৫ থেকে ২৭ মণ হবে। দাম হাঁকা হচ্ছে ২০ লাখ টাকা করে। তবে এখন পর্যন্ত দাম উঠেছে ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা। আর ১৮ দিন পরেই ঈদুল আজহা। তাই একটু বেশিই যত্ন চলছে তাদের পালনকৃত রাজা ও বাদশা নামের গরু দুটির।
খামারিরা জানান, আগামী সপ্তাহে পুরোদমে শুরু হবে কোরবানির পশু কেনা-বেচা। তাইতো বাজার ধরতে পশুর যত্নে ব্যস্ত তারা। প্রাকৃতিক ও স্বাভাবিক খাবার ব্যবহার করে পশু মোটাতাজা করছেন তারা। এ বছর পশুখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। খামারিরা বলছেন, এ বছর ভাবাচ্ছে প্রচণ্ড দাবদাহ। এভাবে দাবদাহ চলতে থাকলে বড় বড় গরু স্ট্রোক করতে পারে। তবে ঈদের আগে যদি দাবদাহ স্বাভাবিক হয়, তাহলে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরবে। বেশি দামে গরু বিক্রি করতে পারবেন। ঈদের আগে দেশের বাজারে ভারতীয় গরু প্রবেশে কঠোর নজরদারির দাবি জানান তারা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনোজিৎ কুমার সরকার জানান, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পশু লালন-পালন ও বাজারজাত করণের বিষয়ে জেলার সকল খামারিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য মতে, এ বছর জেলার ৬ উপজেলায় ২ লাখ ৪ হাজার ৯২৮টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এ জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৬০ হাজার পশু পাঠানো হবে ঢাকার গাবতলী, মাদারীপুর, টেকেরহাট, বরিশাল, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।