হরিণাকুণ্ডু পৌর মেয়রের অনিয়ম, অর্থ লোপাট ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে কাউন্সিলরদের সংবাদ সম্মেলন

- আপডেট সময় : ১১:৫৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩ ৯৮ বার পড়া হয়েছে
প্রতিবেদক, হরিণাকুণ্ডু:
ঝিনাদহের হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার মেয়র ফারুক হোসেনের নানা অনিয়ম, অর্থ লোপাট ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পৌরসভার কাউন্সিলরগণ। গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তাঁরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু আসাদ রনু। এসময় কাউন্সিলর হাসেম আলী, রেজাউল করিম, নাসির উদ্দীন, নিখিল কুমার, শারমীন আক্তারসহ অন্যান্য কাউন্সিলর ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে কাউন্সিলর রনু জানান, হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার মেয়র ফারুক হোসেন জন্ম নিবন্ধনে ৫০ টাকার পরিবর্তে ৫ শ টাকা নিয়ে থাকেন। সে জন্য মানুষ জন্ম নিবন্ধন করাতে পৌরমুখী হতে চান না। ফলে জেলায় সবচেয়ে পিছিয়ে আছে আমাদের পৌরসভা। এর আগে এই নিয়ে স্থানীয় সর্বস্তরের মানুষ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। যার নিউজ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত ফিস অদায় ও পৌরসভার বিভিন্ন কাজে অনিয়মের জন্য পৌরবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে ফুসে উঠেছে বলেও জানান।
সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলররা আরও জানান, পৌরসভার বিভিন্ন অর্থবছরে টিআর, কাবিখা প্রকল্প বাস্তবায়নে যে অর্থ বরাদ্দ হয়, তার কোনো কাজ না করে এবং কোনো কাউন্সিলরকে না জানিয়ে নিজের মতো করে বিল উত্তোলন করে নেন। এছাড়াও পৌরসভার গাড়ি থাকা সত্ত্বেও নিজস্ব গাড়ির মেরামত খরচ, নিজের প্রচারণার জন্য বিলবোর্ড স্থাপনসহ অবৈধ বিল ভাউচার করে টাকা লুটপাট করে নিচ্ছে। পৌরসভায় অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা বিষয়ে কোনো কাউন্সিল প্রতিবাদ করতে গেলে হুমকি-ধমকি দিয়ে সভা থেকে বের করে দেন। এছাড়া ভিজিএফ-এর চাল বিতরণে তার বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ। কাউন্সিলরদের কাছ থেকে কোনো তালিকা না নিয়ে তিনি নিজেই এই তালিকা তৈরি করেন এবং তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের চাল দেন। তাছাড়া পৌরসভার একটি গার্ভেজ ট্রাক অবৈধভাবে নিজের ইটভাটায় ব্যবহার করে আসছেন।
হরিণাকুণ্ডু পৌর মার্কেটের একটি বাথরুম ভেঙে ফেলে মার্কেট করে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই মেয়রের বিরুদ্ধে। তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনে পাশ করলেও সার্বক্ষণিক বিএনপির নেতাদের সুযোগ-সুবিধা বেশি দিয়ে থাকেন। এতে স্থানীয় ত্যাগী আওয়ামী লীগের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলেও কাউন্সিলররা জানান। এই অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিকার চেয়ে কাউন্সিলররা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।