যুগপৎ আন্দোলন: যৌথ ঘোষণার ৩১ দফা খসড়া বিএনপির

- আপডেট সময় : ১২:১৭:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩ ৭ বার পড়া হয়েছে
সমীকরণ প্রতিবেদন:
সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের ভিত্তি হিসেবে যৌথ ঘোষণার ৩১ দফার একটি খসড়া রূপরেখা প্রণয়ন করেছে বিএনপি। দলের রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ২৭ দফা রূপরেখার সাথে নতুন আরও চারটি দফা সংযুক্ত করে যৌথ ঘোষণাপত্রের এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
জানা গেছে, গণতন্ত্র মঞ্চের প্রস্তাবিত ৩৫ দফা ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের ১৩ দফার সাথে সমন্বয় করে প্রস্তুতকৃত এই খসড়া রূপরেখা নিয়ে ইতোমধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা হয়েছে। সেখানে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সাথে আলোচনা করে দ্রুত এটি চূড়ান্ত করার কথা বলা হয়েছে।
গত শুক্রবার গুলশান কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোটের সাথে বৈঠকে রূপরেখার একটি খসড়া হস্তান্তর করে বিএনপি। গণতন্ত্র মঞ্চসহ অন্য শরিকদের সাথেও এ সপ্তাহে রূপরেখার খসড়া নিয়ে বৈঠক করবে দলটি। ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার এ বিষয়ে বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের যৌথ ঘোষণাপত্র চূড়ান্তকরণের কাজ চলছে। ১২ দলীয় জোটের সাথে বিএনপির বৈঠকে এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করি, অচিরেই যৌথ ঘোষণাপত্র আসবে।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফার ভিত্তিতে গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে যুগপৎ আন্দোলন শুরু হয়। এ আন্দোলন শুরুর আগে রাষ্ট্রের সার্বিক সংস্কারে গত ১৯ ডিসেম্বর রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করে বিএনপি। তবে যুগপৎ আন্দোলন শুরুর পর আন্দোলনের ভিত্তি হিসেবে একটি যৌথ ঘোষণাপত্র প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা সামনে আসে।
জানা গেছে, বিএনপি ৩১ দফার খসড়ায় কয়েকটি বিষয় আরও স্পষ্ট করেছে। ২৭ দফার একটি দফায় বলা হয়েছে, পরপর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। আর প্রস্তাবিত ৩১ দফায় বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, পরপর দুই টার্ম দায়িত্ব পালন করার পর তিনি আর কখনোই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। অন্য দিকে ২৭ দফা রূপরেখার ১৮ দফায় বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ খাতে দায়মুক্তি আইনসহ সব কালাকানুন বাতিল করা হবে। খসড়া ৩১ দফায় সেখানে বলা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪সহ মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী সব কালাকানুন বাতিল করা হবে; যা দলটির গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার ১০ দফায় বলা হয়েছে।