শয়তান থেকে সাবধান

- আপডেট সময় : ১১:৫১:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৬ ৫১৭ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতায়ালা কোরানে কারিমের বিভিন্ন সূরার একাধিক স্থানে মানুষকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, ‘ইবলিশ (শয়তান) মানুষের প্রকাশ্য শত্রু।’ কোরানে বিবৃত হয়েছে, কত প্রকারে এবং কিভাবে শয়তান মানুষকে প্রবঞ্চনা, মিথ্যা আশ্বাস ও ধোঁকার মাধ্যমে বিপথগামী করে। আরও বলা হয়েছে, শয়তানের অনুসারীদের সর্বশেষ পরিণতি কী হবে। ইবলিশের দাসত্ব থেকে মুক্তির উপায় কী আল্লাহ তা বিষদভাবে কোরানে কারিমের সর্বমোট ৩২টি সূরার ২২৮টি আয়াতে উল্লেখ করেছেন। জ্ঞানপিপাসু ইমানদার মুসলমানরা একটু চেষ্টা করলেই শয়তান সম্পর্কীয় ওইসব বিবরণের সঠিক চিত্র বের করে তা অনুসরণ করতে পারেন। মানুষের সব কুকর্মের প্রধান হোতা হল শয়তান। যে কারণে আমরা প্রতি ওয়াক্তের নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে আমাদের নিরাপত্তার জন্য দোয়া চাই। শয়তান শুধু পাপকর্মগুলোকে সুশোভন করে দেখায়ই না শয়তান মানুষকে নানাভাবে বিপথগামী করে, গোমরাহ করে ফেলে। শয়তান দারিদ্র্যের ভয় দেখিয়ে খারাপ কাজের উসকানি দেয়। আল্লাহ বলেন, ‘শয়তান মানুষকে শিক্ষা দেয় যাবতীয় মন্দ ও অশ্লীল কাজ’ সূরা বাকারা: ১৬৮-১৬৯। আমরা জানি, ইমানের সর্বাধিক ক্ষতিকর উপকরণের মধ্যে গিবত হিংসা-অহংকার-মিথ্যাচার অগ্রগণ্য। শয়তান আমাদের দিবানিশি ওই সব ধ্বংসকারী রিপুকে জাগিয়ে দিতে তৎপর। সব পাপের মূল মিথ্যা এবং শয়তানই মানুষকে পাপের পথে পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রথমেই মিথ্যা কথা বলতে শিখায়। শয়তান আরো বলে, জাকাত দিলে নিজ সম্পত্তি শেষ হয়ে যাবে। যথাসময়ে তওবা না করার প্রধান অন্তরায় ইবলিশই। যদি আমরা আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রমের দিকে নজর দেই তাহলে দেখব ক. মিথ্যা কথা বলা, খ. পরনিন্দা-পরিচর্চা-গিবত করা, গ. অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করা, ঘ. সুযোগ পেলেই অন্যের হক অধিকার করা, ঙ. কোরান-সুন্নাহর পরিপন্থী ভোগ-বিলাসে নিমগ্ন থাকা, চ. নাম কামানোর লক্ষ্যে বেহুদা খরচ করা, ছ. আল্লাহর হুকুম প্রতিপালনে নাফরমানি করা, জ. ব্যবসায়ীদের মধ্যে চোরাকারবারী, ভেজাল, জীবননাশক উপাদান মিশ্রণ প্রবণতা, ঝ. শিক্ষার ক্ষেত্রে জ্ঞানার্জনের পরিবর্তে নকল বা অবৈধ পন্থায় সনদ সংগ্রহ করা, ঞ. ভয়াবহ আকারে যৌনাচার-ব্যভিচারের সর্বনাশী বিস্তার, ট. দাঙ্গা-হাঙ্গামা, খুন-খারাবি ইত্যাদি অনাকাক্সিক্ষত বিষয় মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এসব কাজ ইসলামবিরোধী, মানবতাবিরোধী। এগুলো মানুষ করে শয়তানের ইন্ধনে। তাই, মানুষ হিসেবে আমাদের উচিত শয়তানের প্ররোচণা থেকে নিজেকে রক্ষা করা। আর বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমেই কেবল তা সম্ভব।