ফারাক্কা বাঁধ তুলে দেওয়ার প্রস্তাব বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর

- আপডেট সময় : ১১:০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ অগাস্ট ২০১৬ ৪৬৪ বার পড়া হয়েছে
বিশ্ব ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে বহুল বিতর্কিত ফারক্কা বাঁধ তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দেখা করে এ প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। বিহারের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য মোদির সঙ্গে দেখা করেন নীতিশ কুমার। এসময় তিনি মোদিকে জানান, ফারাক্কা বাঁধের কারণে গঙ্গায় বিপুল পরিমাণ পলি জমছে। আর এ কারণে প্রতিবছর বিহারে বন্যা হচ্ছে। এর একটা স্থায়ী সমাধান হলো ফারাক্কা বাঁধ তুলে দেওয়া। ফারাক্কা নিয়ে বাংলাদেশের আপত্তি বহুদিন ধরেই। কিন্তু ভারতের একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও মুখ্যমন্ত্রী এই প্রথম ফারাক্কা বাঁধ প্রত্যাহারের দাবি তুললেন। ৪১ বছর আগে গঙ্গার ওপর যখন ফারাক্কা বাঁধ চালু করা হয়, তখন এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল জলপ্রবাহের একটা অংশ হুগলী নদীতে চালিত করে কলকাতা বন্দরকে পুনরুজ্জীবিত করা। তবে সে উদ্দেশ্য পুরোপুরি সফল না হলেও ফারাক্কার জেরে গঙ্গার উজানে যে পলি পড়া শুরু হয়েছে, তারে জেরে প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে বন্যাকবলিত হয়ে পড়ছে বিহার ও উত্তরপ্রদেশের একটি বিস্তীর্ণ অংশ। বৈঠকের আগে নীতিশ কুমার সাংবাদিকদের বলেন, আগে যেসব পলি নদীর প্রবাহে ভেসে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়ত, এখন ফারাক্কার কারণে সেগুলোই নদীর বুকে জমা হয়ে বন্যা ডেকে আনছে। তাই আমি ১০ বছর ধরে বলে আসছি, এই বিষয়ে কোন ব্যবস্থা না নিলে বিহার কিছুতেই বন্যা থেকে পরিত্রাণ পাবে না।
তিনি বলেন, আমরা কোনো পয়সা চাই না, কিন্তু চাই কেন্দ্রীয় সরকার বা তাদের সংস্থাগুলো এসে দেখুক কীভাবে এই পলি সরানো যায়। এর একটা রাস্তা হতে পারে ফারাক্কা বাঁধটাই সরিয়ে দেওয়া। আর আপনাদের কাছে বিকল্প কোনো প্রস্তাব থাকলে সেটাও অনুসরণ করে দেখা যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বিহার সরকারের পক্ষ থেকে একটি চার্টও তুলে দেওয়া হয়েছে। এতে ফারাক্কা তৈরি হওয়ার আগে ও পরে বিহারে গঙ্গা নদীর গভীরতা বা নাব্যতা কতটা কমেছে সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।