পরিপাটি ইসলামের নির্দেশ

- আপডেট সময় : ০৯:২০:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ অগাস্ট ২০১৬ ৫২১ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে মানুষের বাহ্যিক দিকটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ না হলেও সামাজিক জীব হিসেবে মানুষকে সুন্দর ও পরিপাটি হয়ে থাকার কথা বলেছে ইসলাম। উসকোখুসকো আর এলোমেলোভাবে থাকলে দরবেশি ভাব ফুটে উঠবে আর সুন্দর-পরিপাটি অবস্থায় থাকলে তা হবে না এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। আমাদের সমাজে একটি ধারণা প্রচলিত আছে, যারা ধর্মকর্ম করে তাদের এতটা পরিপাটি হয়ে থাকার দরকার নেই। কেউ একটু গোছালো ও পরিপাটি হয়ে থাকলে তাকে মনে করা হয় ধর্মকর্ম পরিপন্থী কাজ তিনি করছেন। অথচ এটা ভুল ধারণা। আল্লাহ বলেছেন, তিনি সুন্দর আর সুন্দরকে তিনি ভালোবাসেন। কাউকে আল্লাহ নেয়ামত তথা ধনসম্পদ দিলে এর প্রকাশ জীবনাচারে ঘটবে এটাই স্বাভাবিক। এটা দোষেরও কিছু নয়। ইসলামে অপচয় ও অপব্যয়কে নিষেধ করা হয়েছে, আরাম-আয়েশ ও পরিপাট্য জীবনযাপনে কোনো বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়নি। প্রিয়নবী (সা.) ছিলেন পৃথিবীর সবচেয়ে আদর্শ মানুষ। একবার সাহাবিদের একটি দল রাসূলের (সা.) সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তার ঘরের দরজায় অপেক্ষা করছিলেন। তিনি তাদের সঙ্গে দেখা করতে বের হওয়ার আগে পানি রাখা একটি পাত্রের ভেতর তাকিয়ে নিজের চুল-দাড়ি ঠিক করে নিচ্ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.), আপনিও এমন করছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, কোনো ব্যক্তি তার ভাইদের সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশে বের হওয়ার আগে যেন প্রস্তুতি নিয়ে পরিপাটি হয়ে বের হয়। জেনে রেখো, আল্লাহ নিজে সুন্দর এবং তিনি সৌন্দর্যকে ভালোবাসেন। রাসূলের কাছে কোনো প্রতিনিধি দল এলে তিনি সে যুগের অভিজাত ইয়েমেনি পোশাক পরতেন যার গলার কাছে হাতের কাজ থাকত। রাসূল (সা.) যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতেন তা সুগন্ধে ভরে যেত। পরবর্তী সময়ে যে কেউ বুঝতে পারত এই পথ ধরে রাসূল (সা.) গেছেন। আর উসকোখুসকো চুল-দাড়িবিশিষ্ট লোকদের তিনি শয়তানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। সুতরাং যারা অগোছালো, নোংরা জীবনযাপন করে, তারা কখনোই আল্লাহর প্রিয়ভাজন হতে পারে না। পরিপাটি থাকার অর্থ এই নয় যে, তাকে দামি ও সুন্দর সুন্দর পোশাক পরতে হবে। যার যেমন সামর্থ্য তেমন পোশাকই পরবে। তবে সব সময় গোছালো ও সুশৃঙ্খলভাবে চলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।