জীবননগর কালা গ্রামে কর্মসৃজন কাজে চরম অনিয়ম

- আপডেট সময় : ০৫:১৯:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০১৭ ৩৩৬ বার পড়া হয়েছে
জীবননগর অফিস: জীবননগরের নবগঠিত মনোহরপুর ইউনিয়নে কর্মসৃজন কাজে চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, প্রতি বছরেই সরকারীভাবে প্রতিটি ইউনিয়নে মজুর প্রতি ২শত টাকা হিসাবে ৪০দিনের কর্মসৃজন কাজের অর্থবরাদ্দ আসে। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কাজ করার কথা থাকলেও মাত্র দুই থেকে তিন ঘন্টা কাজ করেই সমাপ্তি ঘোষণা করে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য আনতে মূলত প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের রাস্তার মাটি ভরাটসহ বিভিন্ন ধরনের উন্নয়মূলক কাজ করতে এই কর্মসৃজন প্রকল্প গ্রহন করা হয়ে থাকে। আর এ সমস্ত কাজগুলো দরিদ্রদের নিয়ে করার কথা থাকলেও সেখানে দলীয় নেতাকর্মীর নাম দিয়ে তাদের নামে ব্যাংক হিসাব খুলে এই প্রকল্পের অর্থ লোপাট করা হয়ে থাকে। দায় এড়াতে কিছু সংখ্যক দরিদ্রদের নামে এ কাজগুলো করে থাকে দলীয় নেতাকর্মীরা। একটি সুত্রে জানা গেছে গতকাল জীবননগর উপজেলার নবগঠিত মনোহরপুর ইউনিয়নের কালা গ্রাম ও পিয়ারাতলা গ্রামে যাতায়াতের জন্য নবনির্মিত ব্রিজের পরে গ্রামবাসীর আন্তরিকতায় নির্মিত রাস্তার কাজটি ৪৩জন মজুরের মাধ্যমে কর্মসৃজন কাজ করার কথা থাকলেও সেখানে মাত্র ২৭থেকে ৩২জন মজুর কাজ করছে। অথচ সেখানে ৪৩জন মজুরের হাজিরা বাবদ টাকা তোলা হয়েছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন পরে জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যানের চেষ্টায় কালা গ্রাম ও পিয়ারতলা গ্রামের সাধারন মানুষের চলাচলের জন্য একটি ব্রিজ ও রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানে রাস্তায যে সমস্ত মজুর দিয়ে মাটি ভরাটের কাজ করছে তারা সকাল ৮টায় আসে আর ১২টায় চলে যায়। আর যতটুকু সময় থাকে তারা সব মিলিয়ে এক থেকে ২ঘন্টা কাজ করে শুয়ে বসে বাড়ি চলে যায়। তাছাড়া যে হিসাবে লেবার খাতা কলমে ৪৩জন দেখায় সেভাবে কোন লেবার এখানে আসে না। প্রতিদিন ১ থেকে ১২জন লেবার কম থাকে। অথচ ৪৩জনের নামেই হাজিরা দেওয়া হয় এবং ভুয়া ভাউচার দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করছে বলে অনেকে অভিযোগ করছে। অন্য একটি সুত্রে জানা গেছে নবগঠিত মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদটি নবগঠিত হওয়ায় এই ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত কোন নির্বাচন হয়নি, যার ফলে চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড মেম্বার না থাকায় তেমন কোন মনিটরিং নেই। ফলে প্রকল্প কমিটির সাথে অসাধু কিছু কর্মকর্তা আর দলীয় নেতাকর্মী মিলে কর্মসৃজন প্রকল্পের মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। যে কারনে কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ একবারে মুখ থুবড়ে পড়ছে। এ ব্যাপারে নবগঠিত মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক সামনুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি বিষয়টি শুনেছি এবং বেশ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করে দেখেছি যেখানে মজুর নেই। অথচ তাদের হাজিরা দেওয়া হয়েছে। এমন প্রকল্পে আমি মজুর অনুপস্থিত দেখিয়ে রিপোর্ট দিয়েছি। এ ব্যপারে মনোহারপুর ইউনিয়নের পিআইও সাত্তারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সকাল ৮টা থেকে ২টা পর্যন্ত কাজ করার নিয়ম। আমি সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কাজের কাছে ছিলাম, সেখানে ৪৩জনের মধ্যে ১১জন অনুপস্থিত ছিল। সেগুলো আমি অনুপস্থিত লিখে রিপোট দিয়েছি।