চুয়াডাঙ্গার হিজলগাড়ী এলাকায় সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে ডাকাতদের আনাগোনা : নারীরা শ্লীলতাহানীর আতঙ্কে : অনেকেই বাধ্য হচ্ছে বসতবাড়ি ছাড়তে : পুলিশি তৎপরতা আরো বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে আতঙ্কিত এলাকাবাসি

- আপডেট সময় : ০৫:১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০১৭ ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে
হিজলগাড়ী প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের হিজলগাড়ী ও আশপাশের এলাকায় সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে ডাকাতদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ এলাকায় ধারাবাহিকভাবে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকাবাসীর মধ্যে। ডাকাতি প্রতিরোধ ও ডাকাত গ্রেফতারে অন্ধকারে হাবুডুবু খাচ্ছে স্থানীয় ক্যাম্প পুলিশ। কিছুতেই প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না ডাকাতি। পুলিশ ও গ্রামবাসীর যৌথ প্রতিরোধের মাধ্যেও প্রতিরাতেই ডাকাতদের মহড়া প্রদর্শনের ফলে চরম আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছে স্থানীয়রা। প্রতিটি গ্রামের নারীদের মধ্যে বিরাজ করছে শ্লীলতাহানীর আতঙ্ক। নারীদের আর্তনাদ আর চাপা কান্নায় অনেকেই দীর্ঘদিনের বসত ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের হিজলগাড়ী, নেহালপুর, বোয়ালিয়া, ডিহি কৃষ্ণপুর, নলবিলা, পাশ্ববর্তী বলদিয়া, ফুলবাড়ীয়া গ্রামে প্রতিনিয়ত রাতে হানা দিচ্ছে ডাকাতরা। আজ এ গ্রাম, তো কাল ও গ্রামে ডাকাতি করছে ডাকাতরা। পুলিশ যদি যাচ্ছে পশ্চিমে, ডাকাতরা হানা দিচ্ছে দক্ষিণে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ডাকাতদের সোর্সরা পুলিশের গতিবিধির উপর সার্বক্ষনিক লক্ষ রেখে ডাকাতদের কাছে তথ্য সরবরাহ করছে। গত কয়েকদিন ধরে চলা ডাকাতির ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক চরম আকার ধারণ করেছে। সবচেয়ে বেশী আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকার মহিলাদের মধ্যে। কারণ এলাকায় জোর গুঞ্জন রয়েছে, যে সমস্ত বাড়ীতে ইতোমধ্যে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে সে বাড়ীগুলোর নারীদের পালাক্রমে ধর্ষন করা হয়েছে। তবে ভোক্তভোগীদের কেউই সামাজিক অবস্থানের কথা বিবেচনা করে ধর্ষনের বিষয়ে মুখ খুলছে না।অন্যদিকে ডাকাতরা হুঁশিয়ার করে বলে গেছে, যদি বাজারে চা-এর দোকানে বলিস, তাহলে রাতে এসে জবাই করে দেবো। গত ১৬ তারিখে হিজলগাড়ী মাঠপাড়ায় ডাকাতির শিকার দুটি বাড়ীর লোকজন বাড়ী ঘর ফেলে গতকাল গ্রামের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছে। রাস্তা ও গ্রামের পাশে অবস্থিত অনেক পরিবারই অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। হিজলগাড়ী এলাকাবাসীকে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি এর আগে কখনো হতে হয়নি। এলাকার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকে আরো জোরালো ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে এলাকার শান্তি প্রিয় মানুষ।