রমজানে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক থাকাই কাম্য

- আপডেট সময় : ০৫:০৩:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০১৭ ৩৭২ বার পড়া হয়েছে
মুসলমানদের জীবনে বছরে একবার করে আসে রমজান মাস। অতীত জীবনের অপরাধকে ধুয়ে মুছে ছাপ করার প্রত্যয় নিয়ে এ মহিমান্বিত মাসের আগমন ঘটে। একটা ফরজ আদায় করলে সত্তরটি ফরজ আদায়ের সমান, একটাকা দান করলে সত্তর টাকা দানের সওয়াব, মিথ্যা পরিহারকরে সত্য বলার মাধ্যমে ঈমানী তাগিদ অনুভাব করাই রমজানের শিক্ষা। মানুষকে যত ভাবে সহযোগিতা করা যাবে তার প্রতিযোগিতা হওয়া উচিত ছিল এ মাসে। বেশি বেশি ভালো কাজের মাধ্যমে নিজেকে কলুষমুক্ত করর পরিকল্পনা গ্রহন করাই উচিত সকলকে। মুসলমান হিসাবে এটাই ঈমানী তাগিদ। এটাই অন্য ধর্মের থেকে ইসলাম ধর্মের আলাদা গৌরব। সব ভালো কথার মুখে বালি দিয়ে মানুষ ঠকানোর প্রতিযোগিতায় আমরা। বিশেষ করে আমাদের ব্যবসায়ী সমাজের কাছে মানুষের অনেক চাওয়া। স্বাভাবিক ভাবে এ মাসে রোজাদারেরা একটু ভালো খাবার খেতে অভ্যস্ত। আর যারা দিন আনে দিন খায় তারাও দৈনিক বাজার করে রোজার খাবার জোগার করতে মোটেও কৃপণতা করেনা। নতুন জামা কাপর ধনী গরিব সকলেই ক্রয় করে। এক কথায় রোজার মাসে ব্যবসায়ী পণ্যেও বেচা কেনা বেশি। আর এ সুযোগটা নিচ্ছে একধরনের অসাধু ব্যবসায়ীরা। সারা বছর ব্যবসা করেন সৌদি আরবের ব্যবসায়ীরা আর রমজান মাস আসলে ব্যবসায় মুনাফার কথা বাদ দিয়ে মূলধন রক্ষা করে বাকিটা ন্যায্যমূল্যে বিক্রয় করেন। এদিকে আমাদের বাংলাদেশে সারা বছর ব্যবসা করে আর রমজান মাস আসলে ডাকাতি করা শুরু করে। রমজান মাসে নিত্য পণ্যের দাম ইচ্ছামত বায়িয়ে দেওয়ার রীতি অনেক বছর ধরেই চলে আসছে। স্বাভাবিক বাজার দর বলে এখানে কোন কিছু নাই। এধরনের ব্যবসা হালাল ব্যবসা বলে মনে হয়না মুসলিম জাতির কাছে। এক দিকে রোজা রাখলাম, নামাজ পড়লাম, মুসলমান হিসাবে দাবীও করলাম- অথচ একটু বেশি মুনাফা সংগ্রহের জন্য জুলুম, মিথ্যা কথা, প্রতারনা সবই করছি। আসলে এটা কি মুসলমান হিসাবে আমাদের কাম্য হতে পারে? রমজান মাসে স্বভাবতই বেচা কেনা বেশি। তাই অল্প লাভে বেশি বেচাকেনা করলে লাভের পরিমান যেমন বেড়ে যেতে পারে, তেমনি মানুষকে পণ্য সরবরাহ করার মাধ্যমে অনেক পূণ্য অর্জন করা যেতে পারে। ব্যবসায়ী সমাজ থেকে দু’একজন করে যদি এমন মডেল তৈরী করার সিদ্ধান্ত নিতো তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এ সমাজ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আশা করা যেত। আমরা চাই ব্যবসা করে মুনাফা খোর না হয়ে সেবার উদ্দ্যেশেই ব্যবসা পরিচালনা করি। আসছে রমজান মাসে মুনাফা কম করে ন্যায্যমূল্যে ভোক্তাকে সহযোগিতা করে হালাল ব্যবসার মাধ্যমে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করি। আসছে রমজান মাসে ন্যায্যমূল্যে কেনা- বেচাই হোক কাম্য।