জীবননগর সীমান্তের গঙ্গাদাশপুর পুর্বপাড়ায় রাস্তার কাজের অনিয়ম চরমে : এলাকাবাসীর বাধা

- আপডেট সময় : ০৫:০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০১৭ ৩৫০ বার পড়া হয়েছে
জীবননগর অফিস: জীবননগর সীমান্ত ইউনিয়নের গঙ্গাদাশপুর পূর্বপাড়ায় রাস্তার কাজের চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন জীবননগর উপজেলার সবচেয়ে অবহেলিত ইউনিয়ন সীমান্ত আর এই ইউনিয়নের গঙ্গাদাশপুর গ্রামের পূর্বপাড়ায় প্রায় দুই হাজার লোকের বসবাস বিভিন্ন সরকারী কিংবা ইউনিয়ন নির্বাচন এলেই প্রার্থীরা এই পাড়ায় এসে ভোটের জন্য সকলে শান্তনা সরুপ রাস্তাটি তৈরি করার আশ্বাস প্রদান করেন। কিন্তু নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পরে আর কোন চেয়ারম্যান বা মেম্বারের খোজ পাওয়া যায়নি বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করে। সাবেক জেলা প্রশাসক এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে রাস্তাটি করে দিলেও বর্তমানে যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এই কাজটি পেয়েছেন তিনি এই রাস্তাটিতে নি¤œমানের ইট আর মাটি মিশ্রিত বালি দিয়ে কাজ করছে বলে াভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, গঙ্গাদাশপুর ও কয়া গ্রামে জেলা পরিষদের অর্থায়নে গঙ্গাদাশপুর পুর্বপাড়ায় চলা রাস্তার কাজে বিভিন্ন অভিযোগে তুলে পূর্বপাড়ার জনসাধারণ কাজ বন্ধ করে দেয়। এব্যাপারে স্থানীয় ওর্য়াড মেম্বার আব্দুস সালাম জানান, গঙ্গাদাশপুর পুর্বপাড়া গ্রামে রাস্তায় যে ইট আর বালি ব্যবহার করা হচ্ছে তা একেবারে নি¤œমানের। আমি তাদের নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা ওই ইট দিয়ে কাজ করতে চাই। তাই এলাকাবাসী কাজ বন্ধ করে দেয়। এব্যাপারে সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন ময়েনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, জেলা পরিষদের অর্থায়নে সীমান্ত ইউনিয়নের যে কয়টি রাস্তা করেছে বেশির ভাগ রাস্তায় নি¤œমানের ইট-বালি দিয়ে দ্রুত কাজ শেষ করা হয়েছে বলে এলাকাবাসী আমার কাজে অভিযোগ করেছে। তিনি আরও বলেন গঙ্গাদাশপুর পুর্বপাড়ার রাস্তাটি একেবারে চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে ওই রাস্তাটি দীর্ঘদিন পরে কাজ হলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রাস্তায় নি¤œমানের ইট আর মাটি মিশ্রিত বালি রাস্তার কাজে ব্যবহার করায় ক্ষীপ্ত হয়ে এলাকাবাসী ওই কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এই ঘটনার পরে ওই ঠিকাদারকে বলেছি এক নাম্বার ইট ও বালি দিয়ে কাজ করতে। তারা আমাকে এক নাম্বার ইট-বালি দিয়ে কাজ করবে বলেও আশ্বস্ত করে।
এব্যাপারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বক্তব্য নেয়ার জন্য কাজ চলাকালিন সময়ে কাজের সাইডে যেয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।