চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের প্রসেস সার্ভার ওসমান গনির বিরুদ্ধে : পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে দ্বিতীয় বিয়ে ও স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ

- আপডেট সময় : ০৫:১৯:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০১৭ ৪৩৮ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের প্রসেস সার্ভার ওসমান গনি শাহ’র বিরুদ্ধে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে স্ত্রী বিদ্যমান থাকা অবস্থায় তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় বিয়ে ও স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওসমান গনির স্ত্রী নাসিমা খাতুন এক লিখিত অভিযোগে জানায়, দীর্ঘ ২৭/২৮ বছর আগে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুরের হামিদ শাহ’র ছেলে ওসমান গনি শাহ’র সাথে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয় তাদের। তার স্বামী বর্তমানে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসের প্রসেস সার্ভার হিসেবে কর্মরত আছে। দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসারে দু’মেয়ে ও এক পুত্র সন্তানও আছে। আনুমানিক ২ বছর ধরে ওসমান গনি রেবা বিশ্বাস নামের এক ভিন্নধর্মের মহিলার সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। রেবা বিশ্বাস সদর উপজেলায় বই বিক্রির কাজে আসা যাওয়া করতো। সে বরিশাল জেলার আগোলঝারা উপজেলার শিবপুর বিশারকানি গ্রামের অনন্ত বিশ্বাসের মেয়ে। বর্তমানে ওসমানের সাথে গোপনে বিয়ে করে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ঢাকায় একটি বাসা ভাড়া করে থাকে। ওসমান প্রায়ই ওই বাসায় যাতায়াত করে জানতে পেরে স্ত্রী নাসিমা খাতুন প্রতিবাদ করে। প্রদিবাদে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে।
এ ব্যাপারে নাসিমা খাতুন আরো বলেন, সম্প্রতি তার স্বামী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসে রাত্রিযাপন করছেন জানতে পেরে তাকে আনতে যান। ওই সময় সকলের সামনেই তাকে মারধর করে এবং হুমকী ধামকী দেয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বাধ্যহন নাসিমা খাতুন। তাতেও কোনো ফল পাননি স্বামীর হাতে একের পর এক নির্যাতনের শিকার স্ত্রী নাসিমা। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন ডিসি। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বিচারের আশায় উপজেলায় গেলে তারা ওসমানের গ্রামের বাড়িতে ফিরে পারিবারিক ভাবে আপোষের সিদ্ধান্ত জানায়। ওই দিন ওসমানের গ্রামের বাড়ি জয়রামপুরে যায়। সেখানে পৌছানো মাত্র ওসমান নয়ন নামে কথিত এক সাংবাদিককে নিয়ে ওই বাড়িতে হাজির হয়। আপোষের বিপরীতে এক পর্যায়ে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয় সেখানে। স্বামীর অপকর্মের দায় কথিত সাংবাদিক নয়নের, এ কথা বলা মাত্র নাসিমা খাতুনের উপর চড়াও হয় তারা। এ সময় শারীরিক ভাবে নির্যাতন চালানো হয় নাসিমার উপর। স্বামীর হাতে একের পর এক নির্যাতনের শিকার নাসিমা খাতুন কান্না জড়ানো কন্ঠে বলেন, আমি এখন দু’কন্যা আর ছেলেকে নিয়ে কোথায় যাবো। প্রশাসনের কাছে বিচারের দাবি জানাচ্ছি। এদিকে, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের প্রসেস সার্ভার ওসমান গনি শাহ’র ব্যাপারে খোঁজ নিতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে আরো চমকপ্রদ কাহিনী। দিনে দিনে ওসমানের আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়ার ঘটনাসহ তার অপকর্মের আরো খবর জানতে চোখ রাখুন পত্রিকার পাতায়।