স্বামীর অমানুষিক অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার : সাথী এখন হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে

- আপডেট সময় : ০৪:৪৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০১৭ ৭৫১ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বামীর অমানুষিক অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার ৩ মাসের অন্তসত্বা সাথী (২৫) এখন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বেডে এখন কাতরাচ্ছে। গতকাল দুপুর আড়াই টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া চুয়াডাঙ্গা জাফর পুরের মনিরুল ইসলামের মেয়ে সাথীর ভাই ও আত্মীয় স্বজন জানান“ দু-বছর আগে আমার বোন সাথীর সাথে আলমডাঙ্গা ভালাইপুরের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মাসুদের সাথে বিয়ে হয়। যশোর এমএম কলেজের মার্স্টাস শেষ বর্ষের ছাত্রীর সাথে বিয়ে হওয়ার পর মাস দুয়েক পর থেকেই বেকার স্বামী মাসুদ যৌতুকের দাবীতে নির্যাতন শুরু করে। দু-দফায় দেড় লাখ টাকাও দেয়া হয়। কিন্তু নির্যাতনের মাত্রা বেপোরোয়া হওয়ায় বিয়ের এক বছরের মাথায় তাদের দাম্পত্য জীবনের অবসান হয়। কিন্তু দু-মাসের ব্যবধানে সামাজিকতা ও লোক লজ্জার ভয়ে উভয় পরিবারের সম্মতিতে আবারো ঘটা করে ভাঙ্গা সংসার জোড়া লাগিয়ে দেয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় বিয়ে হওয়ার ৩ মাসের মাথায় আবারো নির্যাতন চালাতে থাকে স্বাম্ ীমাসুদ। এছাড়া স্ত্রী সাথী ৩ মাসের অন্তসত্বা হয়ে পড়ায় সাথীকে নিয়ে আনা হয় বাবার বাড়ী চুয়াডাঙ্গার জাফরপুরে। তবে গত বুধবার সন্ধ্যায় সাথীকে তার স্বামী চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের গ্রীনফুডের সামনে আসতে বলে। মাসুদ বলে তোমার জন্য একটি মোবাইল কিনেছি সেটি তোমাকে দিব। এই বলে স্বামীর কথামতো সেখানে গেলে সাথীকে অটোয় করে একপ্রকার সাথীর ই”্ছার বিরুদ্ধেই নিয়ে যাওয়া হয় ভালাইপুরে। সেখানে আটকে রেখে দু-দিন ধরে তাকে অমানুষিক নির্যাতন ও মারপিট করা হয়। সাথীর বাবার বাড়ীর লোকজন জানতে পেরে ভাল্ইাপুরে উপস্থিত হয়ে গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় সাথীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সাথী এখন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বেডে অনিশ্চয়তার প্রহর গুনছে ও কাতরাচ্ছে। গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাথীর পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে জানা যায়।