প্রয়োজন সর্বাত্মক প্রতিরোধ

- আপডেট সময় : ০৫:২৭:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০১৭ ৩১৫ বার পড়া হয়েছে
দেশের অভ্যন্তরে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট এবং এর কাঁচামাল প্রবেশ করে থাকে কক্সবাজারে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত পথে। আর এই ইয়াবার ভয়ানক ছোবলে দেশের তরুণ-যুবক সমাজ নিজেদের ধ্বংস করে দিচ্ছে। মানবিক কারণে বাংলাদেশ মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। অথচ দেখা যাচ্ছে, এই রোহিঙ্গারা নানা অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকা- এমনকি ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক পাচারের ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। এর ফলে নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে আমাদের দেশে। ইয়াবা-মাদকে জড়িত হয়ে আমাদের তরুণ-তরুণীরা বিভিন্ন অপরাধে ও অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। ইয়াবার আগ্রাসন থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে হলে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যেমন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। তেমনি সন্তানদের প্রতি বাবা-মার বিশেষ নজর রাখাও একান্ত প্রয়োজন। তারা কোথায় যায়, কী করে, কার সঙ্গে সময় কাটায় সেসবের প্রতি নজর রাখতে হবে। দেশের অভ্যন্তরে প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক ইয়াবা ট্যাবলেট মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত পথে প্রবেশ করে। সীমান্তরক্ষী বাহিনীসহ স্থানীয় পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের অভিযানে প্রায় প্রতিদিন ধরাও পড়ে বিপুল পরিমাণে। সীমান্তে কঠোর তৎপরতা এবং গোয়েন্দা নজরদারিও রয়েছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর। কিন্তু তার পরও এর অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাচ্ছে না। এর কারণ, স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেটসহ বিত্তশালী ব্যক্তিদের হাত রয়েছে এতে। ইয়াবা পাচারের অভিযোগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পরিবারের সম্পৃক্ততার অভিযোগে জেল-জরিমানাও হয়েছে। তা সত্ত্বেও ইয়াবার ছোবল ঠেকানো যাচ্ছে না। তবে এলাকার জনগণ সততা ও সদিচ্ছার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসলে সীমান্ত পথে অবৈধভাবে ইয়াবার চোরাচালান ঠেকানো সম্ভব হতে পারে। আমাদের তরুণ সমাজকে রক্ষা এবং তাদের নৈতিক অবক্ষয় ঠেকাতে হলে ইয়াবা নিয়ন্ত্রণে আরো কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ইয়াবাসহ বিভিন্ন রকম মাদকের সর্বাত্মক প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও তৎপর হওয়া প্রয়োজন। ইয়াবা ব্যবসায়ীরা যত প্রভাবশালীই হোক না কেন, আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে।