তাকওয়ার উপকারিতা

- আপডেট সময় : ০৫:২৬:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০১৭ ৯৭৩ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: তাকওয়া মানে মূলত আল্লাহকে ভয় করে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা। এর নামই তাকওয়া। এই তাকওয়া হলো মুমিনের সাফল্যের মাপকাঠি। যে যত বেশি তাকওয়াবান আল্লাহর কাছে সে তত বেশি প্রিয় ও গ্রহণযোগ্য। তাকওয়ার উপকারিতা দুই ধরনের পার্থিব ও পরকালীন। তাকওয়ার ফলে পার্থিব জগতে আল্লাহ মানুষের কাজগুলো সহজ করে দেন। তারা তাদের জরুরি প্রয়োজন সহজে সম্পাদন করতে সক্ষম হয়। তাকওয়ার মাধ্যমে মানুষ শয়তানের সব অনিষ্ঠতা থেকে বেঁচে থাকে। দুনিয়াবাসীর তাকওয়ার ফলে আসমান ও জমিনের বরকত উš§ুক্ত হয়। বান্দা তাকওয়ার ফলে হক ও বাতিলের মাঝে পার্থক্য নির্ণয় করতে সক্ষম হয় এবং বোঝার তাওফিক লাভ করে। তাকওয়া অর্জনকারী ব্যক্তি তার তাকওয়ার ফলে কষ্টের জীবন থেকে মুক্তি পায় এবং এমন জায়গা থেকে রিজিক লাভ করে যা কল্পনার ঊর্ধ্বে। তাকওয়ার দ্বারা পার্থিব জগতে বান্দা আল্লাহর বন্ধুত্ব অর্জন করতে সক্ষম হয়। কারণ তিনি মুত্তাকিদের বন্ধু ঘোষণা করেছেন। পার্থিব জগতে মুত্তাকি তাকওয়ার ফলে কাফেরদের অনিষ্ঠ থেকে নিরাপত্তা লাভ করে। তাকওয়ার ফলে মুসিবত ও দুশমনের মোকাবিলার মুহূর্তে আসমান থেকে সাহায্য অবতীর্ণ হয়। তাকওয়ার ফলে আল্লাহর বান্দারা মুসিবত ও সীমালঙ্ঘন থেকে নিরাপত্তা লাভ করে। তাকওয়া অর্জনকারী প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর নিদর্শনাবলির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়। তাকওয়ার ফলে আমল বিশুদ্ধ হয়, গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে এবং পাপ মোচন হয়। তাকওয়ার দ্বারা আল্লাহর মহব্বত লাভ হয়। এ মহব্বত যেমন দুনিয়াতে লাভ হয় অনুরূপ আখেরাতেও লাভ হবে। তাকওয়ার ফলে আখেরাতে আল্লাহর কাছে সম্মান লাভ হবে। তাকওয়া পরকালীন সফলতা ও কামিয়াবির চাবিকাঠি। কেয়ামতের দিন তাকওয়ার ফলে আল্লাহর শাস্তি থেকে নাজাত মিলবে। তাকওয়ার ফলে আমল কবুল হয়। আখেরাতে জান্নাতের মিরাস ও উত্তরাধিকার লাভ হবে। তাকওয়া অবলম্বনকারীদের জন্য আখেরাতে জান্নাতে সুদঢ় প্রাসাদ থাকবে যার উপরেও থাকবে প্রাসাদ। মুত্তাকিরা কেয়ামতের দিন পুনরুত্থানের মুহূর্তে, হাশরের ময়দানে, চলার পথে ও বসার স্থানে কাফেরদের ওপরে অবস্থান করবে। তারা জান্নাতের সুউচ্চ স্থানে সমাসীন হবে। তাকওয়ার একমাত্র পুরস্কার হলো জান্নাত। মুত্তাকিনদের জন্য আখেরাত হবে সম্পূর্ণ নির্বিঘœ। এক কথায় দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতার মাপকাঠি হলো তাকওয়া।