আলমডাঙ্গার গোবিন্দপুরে আদালতের রায়ে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তেও : বাড়ি বানানোর চেষ্টা : রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা

- আপডেট সময় : ০৩:২২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০১৭ ৪১৩ বার পড়া হয়েছে
আলমডাঙ্গা অফিস: মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করে আলমডাঙ্গা পৌরসভার গোবিন্দপুরে বাড়ি দখলের চেষ্টায় আইনশৃংখলা ভঙ্গের আশংকা দেখা দিয়েছে। জায়গাটিতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে স্থানীয়রা। জানা গেছে, আলমডাঙ্গার ৭২ নং গোবিন্দপুর মৌজার আরএস ১৫০৩ নং ও ৯৪৭৭ নং দাঁগের জমিটিতে ষ্ট্যাটাস্কো দেন বিজ্ঞ চার বিচারপতি এমএ ওয়াহাব মিয়া,এনএ সুলতানা,এম আরমান আলী ও মোঃ নিজামুল হকের সমন্বয়ে গঠিত আপিল বিভাগের বেঞ্চ। এরআগে বাদি হাসরআলীর ৫৭০/৮৩ মামলার আবেদনও সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে খারিজ হয়। বাদি পূনরায় আপিল করলে যুগ্ম জেলা সহকারী জজ তাঁর রায়ে ২৫ শতক জমির মধ্যে সাড়ে ১২ শতক জমি বাদি হাসরআলী গং এবং সাড়ে ১২ শতক জমি বিবাদি শুকুর আরী গংদের মধ্যে ভাগ করে দেন। এতে বাদি পুনরায় হাইকোর্টে আপিল করলে সহকারী জজ আদালতের রায় পুনর্বহাল রাখেন। এরপর সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টে আপিল করলে আপিল বিভাগের চারজন বিজ্ঞ বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মনে করেন,নালিশি জমিটি উভয়ই ওয়ারেশ সূত্রে মালিক এবং আনছার ও এলেজানের জমিতে শুকুর আলীর দখলের জায়গাটিতে সমস্বত্ব রয়েছে। পাশাপাশি আপিল বিভাগের বেঞ্চ পরামর্শ দেন,প্রয়োজনে নি¤œ আদালতে বাটোয়ারী মামলা করে নিষ্পত্তি করতে। এমতাবস্থায় আদালত আইনশৃংখলা বজায় রাখার স্বার্থে জায়গাটিতে স্ট্যাটাস্কো দিয়েছেন যাতে কোন পক্ষই জমিটিতে গিয়ে জমির কোন প্রকার পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করতে পারবে না। কিন্ত শুকুর আলী পক্ষের দাবিদাররা চাকরীর জন্যে বাইরে থাকার সুযোগে অপরপক্ষ হাসর আলী গং আইনের কোন তোয়াক্কা না করেই জায়গাটির প্রাচীর ভেঙে দিচ্ছে, জমির ভেতরের গাছ অবলীলায় কেটে নিচ্ছে। শুধু তাই নয়, জমিটিতে নতুন করে বাড়ি বানানোর সব প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। এলাকাবাসী জানিয়েছে, বাড়ির কাজ শুরু হলেই দুইপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষেও আশংকা করছেন তারা।