আলমডাঙ্গার কায়েতপাড়ার বাঁওড়ের সভাপতি জিয়া হত্যা মামলা : ২ নৈশপ্রহরীর জবানবন্দী গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত খুনি ওল্টু ও পাঁচ নৈশপ্রহরী

- আপডেট সময় : ০৫:০২:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০১৭ ৩৬৮ বার পড়া হয়েছে
আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গার রামদিয়া বাঁওড়ের মৎসজীবি সমিতির সভাপতি জিয়াকে গুলি করে হত্যা মামলায় আরো দুই আসামী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। নৈশপ্রহরী আবদার ও শলোক গতকাল বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে জবানবন্দী দেয়। এ নিয়ে বাঁওড়ের পাঁচজন নৈশপ্রহরীদের মধ্যে চারজন আদালতে জবানবন্দী দিল। তবে ইতোপূর্বে জবানবন্দী দেয়া ইউনুস ও মুনিয়ার মূল ঘাতক ওল্টুকে জড়িয়ে জবানবন্দী দিয়ে হত্যাকান্ডে নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করলেও গতকাল জবানবন্দী দেয়া শলোক নিজে গুলি করেছে বলে আদালতে জানায়। এ থেকেই জিয়া হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উন্মোচিত হল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার ওসি (তদন্ত) লুৎফুল কবীর জানান, সোমবার রাতে আলমডাঙ্গার ঘোষবিলা গ্রাম থেকে জিয়া হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামী রামদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে শলোক ও কায়েতপাড়া গ্রামের মৃত দুঃখী মন্ডলের ছেলে আবদারকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল তাদেরকে নেয়া হয় বিজ্ঞ আদালতে। আদালতে জবানবন্দীতে দুই আসামী অভিন্ন তথ্য দেয়।
তারা জানায়, আলমডাঙ্গার তিয়রবিলা গ্রামের সন্ত্রাসী ওল্টু প্রথমে বাঁওড়ের পাঁচ নৈশপ্রহরীদের সাথে যোগাযোগ করে। সে পাঁচজনকে প্রস্তাব দেয়, জিয়াকে হত্যায় তারা সহযোগীতা করলে বাঁওড়ের ধরা মাছের অর্ধেক পাঁচ নৈশপ্রহরী পাবে আর বাকি অর্ধেক নেবে ওল্টু। দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে তাদের মধ্যে এই অলিখিত চুক্তি হয়। ওল্টুর সাথে জিয়া হত্যা চুক্তিতে সর্বাগ্রে ভুমিকা রাখে শলোক, আবদার ও মুনিয়ার। চুক্তি অনুযায়ী হত্যার দিন নির্ধারন করা হয় গতমাসের ১৮ তারিখ। জিয়াকে প্রতিদিনের মত মসজিদের পাশে না নামিয়ে দূরে নামানোর কথা হয়। পাঁচ নৈশপ্রহরীসহ জিয়া রাত ৩টার দিকে বাঁওড়ে ছিল। এসময় জিয়া নৌকায় ঘুমিয়েছিল। ওল্টুর সাথে চুক্তি অনুযায়ী নৌকা তীরে ভেড়ানোর আগে শলোক ঘুমন্ত জিয়ার কোমরে একটি গুলি করে। গুলির আওয়াজ পেয়ে ওল্টু ও অজ্ঞাত ৭/৮ জন বাঁওড়ের কিনারে আসে। এ সময় পাঁচ নৈশপ্রহরী ধরাধরি করে রক্তাক্ত জিয়াকে তীরে এনে ওল্টুর হাতে তুলে দেয়। জবানবন্দী অনুযায়ী ওল্টু রক্তাক্ত জিয়াকে পেয়ে মাথায় পরপর আরো দুটি গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। জিয়ার মৃত্যু হলে ওল্টু ও পাঁচ নৈশপ্রহরী পায়ে হেঁটে কায়েতপাড়া গ্রামের ভেতর দিয়ে বের হয়ে চলে যায়।