চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে কালবৈশাখী ঝড় : জাতীয় গ্রীড ফেল করায় বিদ্যুতের চরম বিপর্যয় ॥ হাসপাতাল অফিস আদালতে জনদূর্ভোগ

- আপডেট সময় : ০৪:৪৬:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০১৭ ৩০৬ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা জেলায় বিদ্যুতের চরম বিপর্যয় ঘটেছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টা ৪৭ মিনিটে গ্রীড ফেল করায় জেলায় বিদ্যুত সরবরাহ সম্পূর্ণরুপে বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ২টা ১০মিনিট থেকে সীমিত আকারে বিদ্যুত সরবরাহ করা চালু করা হয়। এদিকে এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যায় কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে বিদ্যুতের বিতরণ ব্যবস্থা। সেটা সামাল দিতে না দিতেই দুপুর থেকে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলা কার্যত্য বিদ্যুত বিহীন হয়ে পড়ে। সন্ধ্যার পর প্রধান সড়ক, পাড়া মহল্লা ঘুটঘুটে অন্ধকারে ডুবে যায়। দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যুত নেই। জেনারেটর চলছে না। রোগীরা গরমে ছটফট করছে। ঘেমে অস্থির রোগিরা। স্বজনেরা তালপাখা দিয়ে বাতাস করে রোগীদের কষ্ট নিবারনের চেষ্টা করছেন। আকর্ষিক বিদ্যূত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অফিস আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা ও বাসা বাড়িতে কাজ কর্ম ব্যহত হয়। বেশিরভাগ আইপিএস ও সৌর বিদ্যুতের ব্যাটারীর চার্জ শেষ হয়ে যায়। ওজোপাডিকোর চুয়াডাঙ্গা উপকেন্দ্রের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানায়, প্রায় দুই ঘন্টা জাতীয় গ্রীড বন্ধ থাকার পর সোয়া ২টার দিকে বিদ্যুত সরবরাহ চালু করা হয়। তবে তা খুবই সীমিত আকারে। ২০ মেগাওয়াটের স্থলে ৫ মেগাাওয়াট দিয়ে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও আলমডাঙ্গায় মেটানো হচ্ছে। সেখানে একটি ফিডার চালু রাখতে ২-৩ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। রাতে এ রির্পোট লেখার সময় পর্যন্ত শহরের বেশিরভাগ এলাকা বিদ্যুত বিহীন হয়ে রয়েছে। এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় কালবৈশাখি ঝড় ও সেই সাথে বৃষ্টি শুরু হলে বিদ্যুত চলে যায়। সারারাত অন্ধকার থাকার পর সকালের দিকে বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। এর কয়েক ঘন্টা পর জাতীয় গ্রীডে বিপর্যয় দেখা যায়।